GK Bird: কোন পাখি সারা বছরে মোটে একবার জল খায় জানেন! কৃষকদের বর্ষা আগমনের বার্তাও দেয় এই পাখি...

Last Updated:
GK Bird: প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই পাখি শুধু বর্ষার প্রথম বৃষ্টির ফোঁটার জলই পান করে। এই পাখির ডাক শোনা মাত্রই কৃষকেরা বুঝে নেন বৃষ্টি আসন্ন, এবং সেই আশা নিয়ে শুরু হয় মাঠের চাষের প্রস্তুতি...
1/6
আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন মানুষ দিনে একাধিকবার জল পান করে, কিন্তু আপনি কি জানেন একটি পাখি আছে, যেটি পুরো বছর মাত্র একবারই জল খায়? আর তা তখনই, যখন বর্ষার প্রথম বৃষ্টি পড়ে। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, এই বিশ্বাস শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভারতের বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলে প্রচলিত। এই পাখিটির নাম পপিহা বা চাতক, যার বৈজ্ঞানিক নাম জ্যাকোবিন কুকু।
আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন মানুষ দিনে একাধিকবার জল পান করে, কিন্তু আপনি কি জানেন একটি পাখি আছে, যেটি পুরো বছর মাত্র একবারই জল খায়? আর তা তখনই, যখন বর্ষার প্রথম বৃষ্টি পড়ে। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, এই বিশ্বাস শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভারতের বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলে প্রচলিত। এই পাখিটির নাম পপিহা বা চাতক, যার বৈজ্ঞানিক নাম জ্যাকোবিন কুকু।
advertisement
2/6
বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলের গ্রামে একটি প্রচলিত প্রবাদ আছে— “চাতক পানে বর্ষার জল, আর কিছু মানে না।” অর্থাৎ এই পাখি শুধু বর্ষার প্রথম ফোঁটার জলই খায়। এটি পুকুর, নদী বা জলাশয়ের জল স্পর্শ করে না। এমনকি জোর করে জল দিলেও তা গ্রহণ করে না। স্থানীয়রা মনে করেন, এই পাখির ডাকই বলে দেয় যে বর্ষা আসন্ন।
বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলের গ্রামে একটি প্রচলিত প্রবাদ আছে— “চাতক পানে বর্ষার জল, আর কিছু মানে না।” অর্থাৎ এই পাখি শুধু বর্ষার প্রথম ফোঁটার জলই খায়। এটি পুকুর, নদী বা জলাশয়ের জল স্পর্শ করে না। এমনকি জোর করে জল দিলেও তা গ্রহণ করে না। স্থানীয়রা মনে করেন, এই পাখির ডাকই বলে দেয় যে বর্ষা আসন্ন।
advertisement
3/6
বিজ্ঞান কী বলে? সাগর গার্লস কলেজের জীববিদ্যার অধ্যাপক মনীষ জৈন বলেন, এটি পুরোপুরি কল্পনা নয়। বরং এর পেছনে প্রাকৃতিক লক্ষণ বোঝার সক্ষমতা রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে যখন বর্ষার হাওয়া বইতে শুরু করে, তখন এই পাখির আচরণে পরিবর্তন দেখা যায়। পাখিটি হঠাৎ করে অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে, তার ডাকও বেড়ে যায়। এই কারণেই মানুষ মনে করতে শুরু করে, এ যেন বর্ষার ভবিষ্যদ্বাণী।
বিজ্ঞান কী বলে? সাগর গার্লস কলেজের জীববিদ্যার অধ্যাপক মনীষ জৈন বলেন, এটি পুরোপুরি কল্পনা নয়। বরং এর পেছনে প্রাকৃতিক লক্ষণ বোঝার সক্ষমতা রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে যখন বর্ষার হাওয়া বইতে শুরু করে, তখন এই পাখির আচরণে পরিবর্তন দেখা যায়। পাখিটি হঠাৎ করে অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে, তার ডাকও বেড়ে যায়। এই কারণেই মানুষ মনে করতে শুরু করে, এ যেন বর্ষার ভবিষ্যদ্বাণী।
advertisement
4/6
তবে মনীষ জৈন এ কথাও স্পষ্ট করেন যে, এই পাখি সারা বছর জল খায় না— এমনটা সম্পূর্ণ ঠিক নয়। অন্যান্য পাখিদের মতো এর শরীরেও জল সংরক্ষণের প্রক্রিয়া রয়েছে। এটি পোকামাকড় খেয়ে শরীরে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ও তরলতা পায়। এদের শরীর ইউরিক অ্যাসিড আকারে বর্জ্য বের করে, যাতে কম জল খরচ হয়।
তবে মনীষ জৈন এ কথাও স্পষ্ট করেন যে, এই পাখি সারা বছর জল খায় না— এমনটা সম্পূর্ণ ঠিক নয়। অন্যান্য পাখিদের মতো এর শরীরেও জল সংরক্ষণের প্রক্রিয়া রয়েছে। এটি পোকামাকড় খেয়ে শরীরে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ও তরলতা পায়। এদের শরীর ইউরিক অ্যাসিড আকারে বর্জ্য বের করে, যাতে কম জল খরচ হয়।
advertisement
5/6
লোকবিশ্বাস বনাম বিজ্ঞান বুন্দেলখণ্ডে যেখানে বর্ষার প্রতীক্ষা উৎসবের মতো হয়, সেখানে পপিহার প্রথম ডাক কৃষকের মনে আশার আলো জাগায়। মনে হয়, মেঘ আসছে। মাঠে হাল চলে, আর পপিহার ডাক যেন আকাশের সঙ্গে কথা বলে।
লোকবিশ্বাস বনাম বিজ্ঞান বুন্দেলখণ্ডে যেখানে বর্ষার প্রতীক্ষা উৎসবের মতো হয়, সেখানে পপিহার প্রথম ডাক কৃষকের মনে আশার আলো জাগায়। মনে হয়, মেঘ আসছে। মাঠে হাল চলে, আর পপিহার ডাক যেন আকাশের সঙ্গে কথা বলে।
advertisement
6/6
তাই, বিজ্ঞান এটিকে কুসংস্কার বললেও, গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে এটি একটি বিশ্বাস, আবেগ এবং প্রাকৃতিক উপলব্ধির প্রতীক। প্রকৃতি, পাখি ও সংস্কৃতির এই মিলনই লোকজীবনের আসল সৌন্দর্য।
তাই, বিজ্ঞান এটিকে কুসংস্কার বললেও, গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে এটি একটি বিশ্বাস, আবেগ এবং প্রাকৃতিক উপলব্ধির প্রতীক। প্রকৃতি, পাখি ও সংস্কৃতির এই মিলনই লোকজীবনের আসল সৌন্দর্য।
advertisement
advertisement
advertisement