General Knowledge Story: কখনও ভেবে দেখেছেন কলা কেন বাঁকা হয়? উত্তর শুনলে চমকে যাবেন আপনিও!

Last Updated:
কলা এমন একটি ফল, যা প্রায় সব মরশুমেই বিক্রি হয়। এমনকি সস্তার ফলের তালিকায় এর নাম রয়েছে। কিন্তু কখনও মনে এমন প্রশ্ন এসেছে যে, কলা কেন বাঁকা হয়?
1/6
*কলার অনেক জাত বা ধরন রয়েছে, স্বাদ কম-বেশি একই। বাজারে অনেক আসল এবং নকল জিনিস ছড়িয়ে রয়েছে। এমনকি কলাও আসল এবং নকল হয়। তবে কোন কলা খাওয়ার উপযুক্ত এবং কোন কলা আপনার ক্ষতি করতে পারে, তা দ্রুত বোঝা যায় না।
কলা এমন একটি ফল, যা প্রায় সব মরশুমেই বিক্রি হয়। এমনকি সস্তার ফলের তালিকায় এর নাম রয়েছে। কিন্তু কখনও মনে এমন প্রশ্ন এসেছে যে, কলা কেন বাঁকা হয়? কলা কি সোজা হতে পারে না? নাকি শুধু পাকা কলাই বাঁকা হয়? এমন তো আর কোনও ফল নেই যারা গাছেই বেঁকে যায়। তাহলে কলাই কেন সোজা না হয়ে বেঁকে যায়? (প্রতীকী ছবি)
advertisement
2/6
*কিছু ফল বিক্রেতা কলা রান্না করতে কার্বাইড ব্যবহার করেন। এভাবে রান্না করা কলা খেলে আপনার ক্ষতি হতে পারে। কলার খোসায় সাদা দাগ থাকলে তা কার্বাইড দিয়ে পাকানো কলা হতে পারে। এই কলা কিনবেন না।
সব কিছুর পিছনেই কোনও না কোনও কারণ থাকে। আর তাই কলার বাঁকা হওয়ার পিছনেও একটি বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। আর সেই কারণ বহু মানুষেরই অজানা। তাই সব প্রশ্নের উত্তর এখানে পেয়ে যাবেন।কলা সোজা হয় না কেন? (প্রতীকী ছবি)
advertisement
3/6
 শুরুতে গাছে যখন কলার ফুল আসে অর্থাৎ মোচা ধরে, তখন মোচার পাপড়ির নীচে সারি সারি ছোট কলা গজাতে থাকে। প্রতিটি পাতার নীচে এক গুচ্ছ করে কলা থাকে। প্রথমে কলা মাটির দিকে চলে যায়। কয়েকদিন পরে কলাগুলি বড় হওয়ার সময় ধীরে-ধীরে বেঁকতে থাকে। এক কারণকে বিজ্ঞানের ভাষায় নেগেটিভ জিওট্রপিজম বলা হয়।<br />কী এই নেগেটিভ জিওট্রপিজম? (প্রতীকী ছবি)
শুরুতে গাছে যখন কলার ফুল আসে অর্থাৎ মোচা ধরে, তখন মোচার পাপড়ির নীচে সারি সারি ছোট কলা গজাতে থাকে। প্রতিটি পাতার নীচে এক গুচ্ছ করে কলা থাকে। প্রথমে কলা মাটির দিকে চলে যায়। কয়েকদিন পরে কলাগুলি বড় হওয়ার সময় ধীরে-ধীরে বেঁকতে থাকে। এক কারণকে বিজ্ঞানের ভাষায় নেগেটিভ জিওট্রপিজম বলা হয়।কী এই নেগেটিভ জিওট্রপিজম? (প্রতীকী ছবি)
advertisement
4/6
ইউরিক অ্যাসিড স্তর নিয়ন্ত্রণে সাহায্যকারী একটি ফল সম্পর্কে এখন জানুন। সেটি হল কলা।
যখন সূর্যের দিকে কোনও ফল বেড়ে ওঠে তখন তাকে নেগেটিভ জিওট্রপিজম বলা হয়। গাছের ফলের বৃদ্ধি ফটোট্রপিজম , গ্র্যাভিটিজম ও অক্সিনের উপর নির্ভর করে। সে হিসেবে অন্যান্য বৃক্ষ বা ফলের মতো কলার পাতা ও ফল গ্র্যাভিটির জন্য নিচের দিকে ঝুলে থাকে। কিন্তু কলা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের আলোর দিকে বাড়তে শুরু করে, যার কারণে কলার আকৃতি বাঁকা হয়ে যায়। ঠিক যেমন সূর্যমুখী ফুল সবসময় সূর্যের আলোর দিকে থাকে এবং সন্ধ্যায় সূর্য যেমন তার দিক পরিবর্তন করে, সূর্যমুখী ফুলও তার দিক পরিবর্তন করে। এ কারণে এই ফুলের নাম সূর্যমুখী, যার অর্থ সূর্যের দিকে মুখ করা। ঠিক কলার ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
5/6
*হার্টঃ কলায় পটাশিয়াম বেশি থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং হৃদয়কে সুস্থ রাখতে সহায়ক। সংগৃহীত ছবি।
কলার বটানিক্যাল হিস্ট্রি অনুসারে, কলাগাছ ট্রপিকাল রেইনফরেস্ট বৃক্ষ হওয়ায়, এটিকে অনেক গাছের মাঝখানে ও নীচে থাকতে হয়। সেজন্য সুর্যের আলো কলা গাছে পৌঁছাত না। তাই কলা জন্মানোর জন্য গাছগুলি সেই পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নেয়। তবে, আজকালকার দিনে অনেক খোলা জায়গায় কলা গাছ হয়। আর তাই কলা গাছ রোদ পায়। যেহেতু কলা গাছ রোদ কম পায় তাই সূর্যের আলো পাওয়ার জন্য কলার কুড়ি থেকে ফল গ্র্যাভিটির দিকে বৃদ্ধি পায়। প্রথমে মাটির দিকে, তারপর আকাশের দিকে বাড়তে থাকায় কলার আকার বাঁকা হয়ে যায়। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
6/6
*কলায় রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন সি-এর মতো অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান, যা শরীরকে অনেক সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। আপনি যদি শরীরে শক্তির অভাব অনুভব করেন তবে তৎক্ষণাৎ কলা খেতে পারেন। সংগৃহীত ছবি।
পৃথিবীতে এক হাজারেরও বেশি প্রজাতির কলা রয়েছে। রং, আকৃতি বিশেষে অনেক ধরনের কলা পাওয়া যায়। তবে সেই সব কলার মধ্য়ে বেশিরভাগ কলাই বাঁকা। তবে সোজা কলা পাওয়া যায় না এ ধারণা একেবারেই ভুল। এমন অনেক প্রজাতির কলা আছে, যেগুলি সূর্যের দিকে বাড়ে না। অর্থাৎ ওদের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নেগেটিভ জিওট্রপিজমের কোনও ভূমিকা নেই। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
advertisement
advertisement