'পেট্রোল' গাড়িতে 'ডিজেল' ঢাললে কী হয় বলুন তো...? শুনলেই চমকাবেন, শিওর!

আজকাল দিন দিনই রাস্তায় ক্রমশ বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা। এমনকি মধ্যবিত্তরাও ঘরে ঘরে গাড়ি কিনতে আগ্রহী। সেই অনুযায়ী, বাজারে বিভিন্ন দামের ও বিভিন্ন ধরণের গাড়িও পাওয়া যাচ্ছে।

সিএনজি, বৈদ্যুতিক এবং হাইব্রিডের মতো বিভিন্ন জ্বালানিতে চালিত গাড়ির প্রাপ্যতা সত্ত্বেও, ভারতীয় অটোমোবাইল বাজারে পেট্রোল এবং ডিজেল গাড়ির আধিপত্য রয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ উচ্চ-কার্যক্ষমতার জন্য পেট্রোল গাড়ি কেনেন।

বাজারে পেট্রোল ইঞ্জিনের গাড়ির দাম বেশি। ডিজেল গাড়ির দাম কম। তবে, কখনও কখনও ভুল করে পেট্রোল গাড়িতে ডিজেল ঢেলে দেওয়া হতে পারে। অন্যথায়, ডিজেল গাড়িতে পেট্রোল ঢালার সম্ভাবনাও রয়েছে।

কিন্তু জানেন কি এমনটা হলে কী হয়? এই ধরনের ক্ষেত্রে গাড়ি কি ক্ষতিগ্রস্ত হবে? নাকি আদৌ বিশেষ কোনও ক্ষতি হবে না গাড়িটির? জানলে চমকে যাবেন উত্তর।

বাস্তব হল, পেট্রোল এবং ডিজেল খুবই আলাদা দুই জ্বালানি। যদি আপনি ভুল করে পেট্রোল গাড়িতে ডিজেল ঢেলে চালান, তাহলে গাড়িটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশেষ করে গাড়ির ইঞ্জিনের এক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়। পেট্রোল এবং ডিজেল জ্বালানির জন্য বিভিন্ন ধরণের ইঞ্জিনের প্রয়োজন হয়।

পেট্রোল ইঞ্জিনটি খুব ঘন, আঠালো ডিজেল। এতে জ্বালানি ফিল্টার এবং স্পার্ক প্লাগটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শুধু তাই নয়, গাড়ির ইঞ্জিন সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। ভুল জ্বালানি দিয়ে ট্যাঙ্ক ভরলে গাড়িটি স্টার্ট নাও হতে পারে। গাড়িটি স্টার্ট দিলেও, ধীরে চলবে।

এক্ষেত্রে ইঞ্জিনে ডিজেল ঠিকমতো পৌঁছয় না, যার ফলে এটি জোরে শব্দ করতে শুরু করে। গাড়ি থেকে প্রচুর ধোঁয়া বের হতে পারে। এই কারণেই এই ভুল করলে গাড়ির বড় রকমের ক্ষতি হবে। সেক্ষেত্রে গাড়িটি মেরামত করতে অনেক টাকা খরচ হতে পারে।

একইভাবে, যদি আপনি একটি ডিজেল গাড়িতে পেট্রোল ভরেন, তাহলে জ্বালানি ট্যাঙ্ক, পাইপ এবং ইনজেক্টরের মতো যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ডিজেল ইঞ্জিন জ্বালানি সংকুচিত করে জ্বালানি জ্বালায়। তারপর জ্বালানি ইঞ্জিনে যায়।

তবে, পেট্রোল খুব দ্রুত পুড়ে যায়। এর ফলে ডিজেল ইঞ্জিন থেকে জোরে শব্দ হতে থাকে। তাই গাড়ির জ্বালানি ট্যাঙ্ক রিফিল করার সময় আপনার সতর্ক থাকা উচিত। পেট্রোল পাম্পে আপনার জ্বালানির লেবেলগুলি সবসময় বার দুয়েক পরীক্ষা করা উচিত।

যদি আপনি ভুল করে ভুল জ্বালানি দিয়ে দেন ট্যাঙ্কে এবং সঙ্গে সঙ্গে তা বুঝতে পারেন, তাহলে আপনার সেক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

প্রথমত, কোনও অবস্থাতেই গাড়ি চালু করবেন না। এটি অনেক ক্ষতি রোধ করতে পারে। আপনার গাড়ি কোম্পানির গ্রাহক পরিষেবার সঙ্গে অবিলম্বে যোগাযোগ করা উচিত এবং তাদের এই বিষয়টি জানানো উচিত।

গাড়িটিকে অন্য গাড়ির মাধ্যমে টেনে নিকটতম পরিষেবা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে মেকানিক গাড়ির জ্বালানি ট্যাঙ্ক সম্পূর্ণ খালি করে দেবেন। এরপর সে জ্বালানি লাইনও পরিষ্কার করে দেয়, ইঞ্জিনটি পরীক্ষা করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন করে দেয়।