এলপিজি এবং সিএনজি গ্যাসের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ! ব্যবহারেও আলাদা, কোনটি কেমন বিশদে জেনে নিন
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
সিএনজি সাধারণত বাস, অটো ও ট্যাক্সিতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়, আর এলপিজি বাড়ির রান্না বা হিটিং–এ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। উৎপত্তির দিক থেকে সিএনজি আসে প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেল কূপ থেকে; এলপিজি উৎপন্ন হয় গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ ও পেট্রোলিয়াম পরিশোধনের সময়।
advertisement
advertisement
advertisement
পরিবেশের দিক থেকে সিএনজি অনেক বেশি সবুজ জ্বালানি। এটি পুড়লে প্রায় কোনো অবশিষ্টাংশ তৈরি হয় না এবং হাওয়ার চেয়ে হালকা হওয়ায় লিক হলে দ্রুত ছড়িয়ে যায়। বিপরীতে, এলপিজি তুলনামূলকভাবে পরিষ্কার হলেও বেশি অবশিষ্টাংশ তৈরি করে এবং হাওয়ার চেয়ে ভারী হওয়ায় লিক হলে নিচে জমে গিয়ে আগুনের ঝুঁকি বাড়ায়।
advertisement
advertisement
দু’টিকেই চাপে ভরা সিলিন্ডারে রাখা হয়, কিন্তু সিএনজি তখনও গ্যাস আকারে থাকে; এলপিজি তরল আকারে সঞ্চিত হয়। সিএনজি প্রধানত মিথেন, আর এলপিজি হলো প্রোপেন (C₃H₈) ও বিউটেন (C₄H₁₀)–এর মিশ্রণ। সিএনজি–র পুরো নাম Compressed Natural Gas, আর এলপিজি হলো Liquefied Petroleum Gas। নাম, গঠন, ব্যবহার—সব ক্ষেত্রে দু’টিই আলাদা।
advertisement
সিএনজি তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে পরিষ্কার জ্বালানি হিসেবে ধরা হয়। এটি পুড়লে প্রায় কোনো অবশিষ্টাংশ তৈরি হয় না। এলপিজি অবশ্যই পেট্রল–ডিজেলের চেয়ে পরিষ্কার, কিন্তু সিএনজি–র তুলনায় বেশি অবশিষ্টাংশ তৈরি করে। সিএনজি হাওয়ার চেয়ে হালকা, তাই লিক হলে দ্রুত উপরে উঠে ছড়িয়ে যায়—ঝুঁকি কম। অন্যদিকে, এলপিজি হাওয়ার চেয়ে ভারী—ফলে লিক হলে নিচে জমে যায় এবং আগুন লাগার ঝুঁকি বাড়ায়।
advertisement
