MahaKumbh 2025: স্বাধীনতার পর থেকে মহাকুম্ভে মোট ছ'বার ঘটেছিল পদপিষ্টের ঘটনা! মারা যান কয়েক হাজার মানুষ!

Last Updated:
গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতী— তিন নদীর সঙ্গমস্থলে মৌনী অমাবস্যায় ‘পুণ্য স্নান’ করতে বিপুল সংখ্যায় পুণ্যার্থীদের ভিড় হবে, এমন সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকেই মহাকুম্ভে ‘শাহি স্নান’কে কেন্দ্র করে ভিড় করতে শুরু করেন পুণ্যার্থীরা।
1/9
 গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতী— তিন নদীর সঙ্গমস্থলে মৌনী অমাবস্যায় ‘পুণ্য স্নান’ করতে বিপুল সংখ্যায় পুণ্যার্থীদের ভিড় হবে, এমন সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকেই মহাকুম্ভে ‘শাহি স্নান’কে কেন্দ্র করে ভিড় করতে শুরু করেন পুণ্যার্থীরা। সন্ধ্যা যত গড়ায়, ভিড় ততই বাড়তে থাকে। দেশ-বিদেশ থেকে বহু পুণ্যার্থী কুম্ভে এসেছেন। প্রতীকী ছবি
গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতী— তিন নদীর সঙ্গমস্থলে মৌনী অমাবস্যায় ‘পুণ্য স্নান’ করতে বিপুল সংখ্যায় পুণ্যার্থীদের ভিড় হবে, এমন সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকেই মহাকুম্ভে ‘শাহি স্নান’কে কেন্দ্র করে ভিড় করতে শুরু করেন পুণ্যার্থীরা। সন্ধ্যা যত গড়ায়, ভিড় ততই বাড়তে থাকে। দেশ-বিদেশ থেকে বহু পুণ্যার্থী কুম্ভে এসেছেন। প্রতীকী ছবি
advertisement
2/9
মৌনী অমাবস্যায় স্নান করতে গিয়ে হুড়োহুড়ি
তাঁরা সবাই সঙ্গমে আসতে শুরু করেন। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে ত্রিবেণী সঙ্গম থেকে এক কিলোমিটার দূরে বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করেছিল প্রশাসন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে জ়োন ভাগ করে করে ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও এড়ানো গেল না দুর্ঘটনা। প্রতীকী ছবি
advertisement
3/9
 দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম ১৯৫৪ সালে প্রয়াগরাজে কুম্ভের আয়োজন করা হয়েছিল। ভারতে তখন নতুন সরকার। বড় দুর্ঘটনা মোকাবিলা করার পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও ছিল না। ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে কোটি কোটি মানুষের জমায়েত হয়েছিল ইলাহাবাদের মেলাপ্রাঙ্গণে। সেই ভিড়েই পদপিষ্টের ঘটনায় ৫০০ জনের বেশি পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছিল। প্রতীকী ছবি
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম ১৯৫৪ সালে প্রয়াগরাজে কুম্ভের আয়োজন করা হয়েছিল। ভারতে তখন নতুন সরকার। বড় দুর্ঘটনা মোকাবিলা করার পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও ছিল না। ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে কোটি কোটি মানুষের জমায়েত হয়েছিল ইলাহাবাদের মেলাপ্রাঙ্গণে। সেই ভিড়েই পদপিষ্টের ঘটনায় ৫০০ জনের বেশি পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছিল। প্রতীকী ছবি
advertisement
4/9
প্রবল ঠান্ডাকে নস‍্যাত্‍ করেই ১.৫ কোটি পূণ‍্যার্থীর ‘অমৃত স্নান’! মকর সংক্রান্তির সকাল থেকেই ভিড়ে ঠাসা কুম্ভ
তার পরে ধীরে ধীরে দেশে সরকার হয়েছে ধীরে ধীরে। কিন্তু কুম্ভস্নানে গিয়ে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা বেড়েছে। ১৯৮৬ সালের কুম্ভতেও পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। ওই বছর হরিদ্বারে কুম্ভমেলা হয়। সেই কুম্ভতে পদপিষ্ট হয়ে অনেকের পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়। কী কারণে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছিল? সেই সময়কার বিভিন্ন প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল, ১৯৮৬ সালের ১৪ এপ্রিল অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং সাংসদদের সঙ্গে কুম্ভে স্নান করতে এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর সিংহ। তাঁদের নিরাপত্তার কারণে সাধারণ পুণ্যার্থীরা নদীর কাছাকাছি পৌঁছতে বাধা পান বলে অভিযোগ ওঠে। আর তাতেই ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, পদপিষ্টের ঘটনায় সে বার ২০০ জনের বেশি পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছিল। প্রতীকী ছবি
advertisement
5/9
সংখ্যা শুনলে আঁতকে উঠবেন
১৯৮৬ সালের পর দীর্ঘ সময় কুম্ভমেলায় কোনও পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেনি। তবে ২০০৩ সালে নাসিকে অনুষ্ঠিত কুম্ভমেলায় পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, সেই দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হন শতাধিক। প্রতীকী ছবি
advertisement
6/9
এই ঘটনার সর্বশেষ আপডেট দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজেই। সিএম যোগীর মতে, বর্তমানে প্রয়াগরাজে ৮ থেকে ৯ কোটি ভক্ত উপস্থিত রয়েছেন। বর্তমানে সব আখড়াই অমৃতস্নান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। Photo- AP
২০১০ সালের কুম্ভতেও পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। সে বছর হরিদ্বারে আয়োজিত হয়েছিল কুম্ভমেলা। ১৪ এপ্রিল, ২০১০ সালে ‘শাহি স্নানে’র সময় বিপর্যয় ঘটে। ‘শাহি স্নান’ করতে আসা সাধুসন্তদের সঙ্গে সাধারণ পুণ্যার্থীদের সংঘর্ষ বেধে গিয়েছিল। তাতেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। সে বছর সাত জনের মৃত্যু হয়েছিল। প্রতীকী ছবি
advertisement
7/9
জানা গিয়েছে, মৌনী অমাবস্যায় ‘অমৃত স্নান’ করার হুড়োহুড়ি শুরু হয় তিন নদীর সঙ্গমে। তাতেই ঘটে বিপত্তি। ঘটনায় বহু পুণ্যার্থী আহত হন, অনেকে আবার ভিড়ের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বুধবার ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করতে গিয়ে পদপিষ্টের ঘটনায় অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কাও করা হচ্ছিল। অবশেষে ৩০ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়ে দেওয়া হল সরকারি তরফে।
ঠিক তার তিন বছর পর ২০১৩ সালে প্রয়াগরাজের কুম্ভে বড় দুর্ঘটনা ঘটে। তবে সে বার মেলাপ্রাঙ্গণে নয়, দুর্ঘটনা ঘটেছিল ইলাহাবাদ স্টেশনে। পদপিষ্টের ঘটনায় ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই বছর ইলাহাবাদ স্টেশনে একটি ফুটব্রিজের রেলিং ভেঙে বিপত্তি ঘটে। রেলিং ভেঙে পড়ায় স্টেশনে থাকা যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন মহিলা। প্রতীকী ছবি
advertisement
8/9
অন্যদিকে মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পুণ্যার্থীদের যাবতীয় সামগ্রী ৷ পুণ্যার্জনে এসে প্রিয়জনকে হারিয়ে মহাকুম্ভের আকাশে বাতাসে কান্নার আওয়াজ ৷ কেউ সঙ্গমে স্নান করতে নেমে হারিয়ে যাচ্ছেন তো কেউ আবার মানুষের ভিড়ে । Photo- AP
২০১৩ সালের পর ২০২৫। পদপিষ্টের ঘটনায় অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত আরও অনেকে হাসপাতালে ভর্তি। স্বজনদের খোঁজে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছোটাছুটি করছেন বহু পুণ্যার্থী। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী থেকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ-সহ সকলেই। প্রতীকী ছবি
advertisement
9/9
মৌনী অমাবস্যার দিনে যে কোনও শিব মন্দিরে যেতে হবে গ্রহ দোষ থেকে মুক্তি লাভের জন্য। সেখানে শিবকে রুদ্রাক্ষের মালা অর্পণ করতে হবে। এর পরে, ধূপ নিবেদন করে ভগবান শিবের আরতি করতে হবে এবং ওই নিবেদিত রুদ্রাক্ষের জপমালাতে ভগবান শিবের এই মন্ত্র জপ করতে হবে- রূপম দেহি, যশো দেহি, ভোগম দেহি চ শঙ্কর। ভুক্তি মুক্তি ফলম্ দেহি, গৃহিতবর্ঘ্য নমোস্তুতে। বিধিমতে ভগবান শঙ্করের পূজা এবং মন্ত্র জপ করার পরে হয় এই রুদ্রাক্ষের মালা নিজের পার্সে রাখতে হবে বা তা কণ্ঠে ধারণ করতে হবে। এছাড়া কুষ্ঠ রোগীদের খাদ্য দান করা অবশ্য কর্তব্য। পাশাপাশি, তিল থেকে তৈরি মিষ্টি, কালো বা নীল রঙের কম্বল, উলের কাপড় ইত্যাদি দরিদ্রদের বিতরণ করতে হবে। Representative Image
অন্য দিকে, বিরোধীরা চরম অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। তবে কুম্ভে দুর্ঘটনার বিষয় নতুন নয়। বিশ্বের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান কুম্ভমেলা। অতীতেও পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। প্রতীকী ছবি
advertisement
advertisement
advertisement