Knowledge News| Karate-Kung fu: চিনা না জাপানি, কোন আত্মরক্ষার পদ্ধতি বেশি কার্যকরী?
- Published by:Pooja Basu
Last Updated:
Martial Arts: সন্তানকে কোন খেলা শেখাতে চান আপনি?
ব্রুস লি থেকে জ্যাকি চ্যান, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম এবং মার্শাল আর্টের মাস্টার৷ নিজেদের দক্ষতার মাধ্যমে মার্শল আর্টসকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করেছেন দু’জনেই৷ এই দুই অভিনেতার থেকেই সকলের মনে মার্শল আর্টসকে নিয়ে উৎসাহ তৈরি হয়৷ ভারতে বিদ্যুৎ জামওয়াল, অক্ষয় কুমার বা টাইগার শ্রফের মতো অনেক অভিনেতা রয়েছেন, যাঁরা মার্শাল আর্টে বিশেষজ্ঞ। কিন্তু আপনি কি জানেন মার্শাল আর্টস কী? ক্যারাটে, কুং ফু, তায়কোয়ান্ডা সঙ্গের এর কী কোন পার্থক্য রয়েছে?
advertisement
মার্শাল আর্ট এমন একটি খেলা বা শিল্প যা শারীরিক শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে৷ চিন, জাপান ও কোরিয়া বা এশিয়ার অন্যান্য দেশে প্রথম শুরু হয় এই ধরণের খেলা। আত্মরক্ষা, প্রতিযোগিতা, শারীরিক স্বাস্থ্য এবং ফিটনেসের কথা মাথায় রেখে এগুলো অনুশীলন করা হয়। এটি ল্যাটিন শব্দ থেকে এসেছে, মার্সের খেলা । মার্স, প্রাচীন রোমের যুদ্ধের দেবতা।
advertisement
জাপানের ওকিনাওয়াতে কারাটের সূচনা হয়৷ কারাটে দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। 'কারা' মানে 'খালি' আর 'টে' মানে 'হাত', অর্থাৎ 'খালি হাত'। বর্তমানে, কারাটে সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। এর মূল লক্ষ্য হল নিজের শরীরকে পাথরের মতো শক্ত করে তোলা৷ ফলে কেউ আক্রমণ করলে, তাতে আঘাত না লাগে৷ মূলত আত্মরক্ষার স্বার্থে ব্যবহার করা হয় কারাটে৷ পাঞ্চ, কিক, কনুইতে আঘাত এবং হাঁটুতে আঘাত করা এর প্রধান কৌশল। কারাটের শিক্ষককে 'সেনসি' বলা হয়।
advertisement
কুংফুকে বিশ্বের প্রাচীনতম মার্শাল আর্ট হিসাবে বিবেচিত হয়৷ শরীরচর্চা এবং আত্মরক্ষার এই বিদ্যা শুরু চিনে৷ চিনের শাওলিন মন্দির কুংফু আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। এটি দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। 'কুং' মানে 'কাজ' বা 'সাফল্য' এবং 'ফু' মানে 'তীব্রতা' বা 'আবেগ'। এর অর্থ 'সাফল্য অর্জনের জন্য একজন ব্যক্তির মধ্যে যে আবেগ কাজ করে৷ কুংফুর মূল উদ্যেশ্য হল আক্রমণের সময় সামনের ব্যক্তির সর্বোচ্চ ক্ষতি করা এবং ভারসাম্য না হারানো। যে গুরু কুংফু শেখান তাঁকে সি ফু বলা হয়।
advertisement
তায়কোন্ডো মানে 'পা ও হাত চালনার শিল্প'। মার্শাল আর্টের এই ফর্মটি কোরিয়ায় উৎপত্তি। লাথি ও ঘুষির সাহায্যে হয় এই খেলা৷ পায়ের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ ১৯৫০-৬০-তে কোরিয়ায় সামরিক বাহিনীতে সরকারিভাবে তায়কোন্ডোর ব্যবহার শুরু হয়৷ শক্তি, গতি, ভারসাম্য এবং নমনীয়তার বৃদ্ধিতে কাজে আসে। এই মার্শাল আর্ট এখন প্রায় ১৮৪দেশে অনুশীলন করা হয় এবং এটি অলিম্পিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যে মাস্টার তায়কোয়ান্দো শেখান তাঁকে সা বুম নিম বলা হয়।