‘ডেলয়েট থেকে ছাঁটাই করায় খুব খুশি, এখন সুখে আছি’, ৭৬ লাখ টাকা বেতন পেলেও জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল প্রাক্তন কর্মচারীর

Last Updated:
শিকাগোর ডেলয়েটে চাকরি করতেন ২৪ বছর বয়সী সিয়েরা ডেসমারাত্তি। তিনি ছিলেন অ্যাকচুয়ারিয়াল অ্যানালিস্ট। একদিন HR জানান, তাঁকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। ৯০ হাজার ডলার বেতন পেতেন। মানে ভারতীয় মুদ্রায় ৭৬ লাখ টাকা। এখন চাকরি হারালে খাবেন কী!
1/6
আজকের দিনে একটা চাকরি জোটানোই দুষ্কর। আর যদি চাকরি পেয়েও হারাতে হয়, তাহলে? মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। তবে চাকরি হারিয়ে খোশমেজাজে রয়েছেন সিয়েরা ডেসমারাত্তি। বলছেন, তাঁর জীবনের সেরা ঘটনা এটাই। শিকাগোর ডেলয়েটে চাকরি করতেন ২৪ বছর বয়সী সিয়েরা ডেসমারাত্তি। তিনি ছিলেন অ্যাকচুয়ারিয়াল অ্যানালিস্ট। একদিন এইচআর জানান, তাঁকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। ৯০ হাজার ডলার বেতন পেতেন। মানে ভারতীয় মুদ্রায় ৭৬ লাখ টাকা। এখন চাকরি হারালে খাবেন কী! Representative Image
আজকের দিনে একটা চাকরি জোটানোই দুষ্কর। আর যদি চাকরি পেয়েও হারাতে হয়, তাহলে? মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। তবে চাকরি হারিয়ে খোশমেজাজে রয়েছেন সিয়েরা ডেসমারাত্তি। বলছেন, তাঁর জীবনের সেরা ঘটনা এটাই। শিকাগোর ডেলয়েটে চাকরি করতেন ২৪ বছর বয়সী সিয়েরা ডেসমারাত্তি। তিনি ছিলেন অ্যাকচুয়ারিয়াল অ্যানালিস্ট। একদিন এইচআর জানান, তাঁকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। ৯০ হাজার ডলার বেতন পেতেন। মানে ভারতীয় মুদ্রায় ৭৬ লাখ টাকা। এখন চাকরি হারালে খাবেন কী! Representative Image
advertisement
2/6
এমন কথা শুনে প্রথমে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন সিয়েরা। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। ঘুমের মধ্যে আঁতকে উঠতেন। কিন্তু এক বছর পর ডেসমারাত্তি বলছেন, “হাঁফিয়ে উঠেছিলাম। এখন সুখে দিন কাটাচ্ছি।’’ Business Insider-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিয়েরা ডেসমারাত্তি বলেছেন, “নিজের সঙ্গে আপস করে সহকর্মীদের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছিলাম। মিশে গিয়েছিলাম কোম্পানির ইঁদুর দৌড়ের সংস্কৃতির সঙ্গে। তারপর একদিন ছাঁটাই করে দিল। খুব খারাপ সময় কাটিয়েছি। তারপর বুঝেছি, এটাই প্রাপ্য ছিল।’’ Representative Image
এমন কথা শুনে প্রথমে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন সিয়েরা। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। ঘুমের মধ্যে আঁতকে উঠতেন। কিন্তু এক বছর পর ডেসমারাত্তি বলছেন, “হাঁফিয়ে উঠেছিলাম। এখন সুখে দিন কাটাচ্ছি।’’ Business Insider-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিয়েরা ডেসমারাত্তি বলেছেন, “নিজের সঙ্গে আপস করে সহকর্মীদের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছিলাম। মিশে গিয়েছিলাম কোম্পানির ইঁদুর দৌড়ের সংস্কৃতির সঙ্গে। তারপর একদিন ছাঁটাই করে দিল। খুব খারাপ সময় কাটিয়েছি। তারপর বুঝেছি, এটাই প্রাপ্য ছিল।’’ Representative Image
advertisement
3/6
কোম্পানির সঙ্গে কখনওই একাত্ম বোধ করেননি ডেসমারাত্তি। নিজেই জানিয়েছেন সে কথা। তিনি বলছেন, “সবসময় মনে হত, আমি যেন বাইরের লোক। আমিও এতে স্বস্তি পেতাম।’’ তিনি নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে একসঙ্গে ৮০-৯০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল ডেলয়েটে। তাঁদের মধ্যে ডেসমারাত্তি একজন। তিনি বলছেন, “চাকরিতে ঢুকে দেখলাম স্যুটেড ব্যুটেড সংস্কৃতি। নিজেকে বড় বেমানান মনে হল।’’
কোম্পানির সঙ্গে কখনওই একাত্ম বোধ করেননি ডেসমারাত্তি। নিজেই জানিয়েছেন সে কথা। তিনি বলছেন, “সবসময় মনে হত, আমি যেন বাইরের লোক। আমিও এতে স্বস্তি পেতাম।’’ তিনি নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে একসঙ্গে ৮০-৯০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল ডেলয়েটে। তাঁদের মধ্যে ডেসমারাত্তি একজন। তিনি বলছেন, “চাকরিতে ঢুকে দেখলাম স্যুটেড ব্যুটেড সংস্কৃতি। নিজেকে বড় বেমানান মনে হল।’’
advertisement
4/6
তবে মানিয়ে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। তারপর একদিন ছাঁটাইয়ের ঘোষণা হল। ডেসমারাত্তি জানিয়েছেন, দিনে ১১ ঘণ্টা কাজ করতে হত। শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর কথায়, “সারাদিন চেয়ারে বসে বসে পিঠ ব্যথা হয়ে যেত। চাপ কাটাতে মুঠো মুঠো স্ন্যাক্স খেতাম। মাত্র কয়েক মাসে ৯ কেজি ওজন বেড়ে গিয়েছিল।’’
তবে মানিয়ে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। তারপর একদিন ছাঁটাইয়ের ঘোষণা হল। ডেসমারাত্তি জানিয়েছেন, দিনে ১১ ঘণ্টা কাজ করতে হত। শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর কথায়, “সারাদিন চেয়ারে বসে বসে পিঠ ব্যথা হয়ে যেত। চাপ কাটাতে মুঠো মুঠো স্ন্যাক্স খেতাম। মাত্র কয়েক মাসে ৯ কেজি ওজন বেড়ে গিয়েছিল।’’
advertisement
5/6
বদলে কী পেলেন? ডেসমারাত্তির অভিযোগ, পারফরম্যান্স রিভিউতে কোম্পানি বলেছিল, কাজ ভাল হচ্ছে না। তিনি আকাশ থেকে পড়েন। যখন তিনি একের পর এক প্রজেক্ট জমা দিয়েছেন, তখন কেউ এ কথা বলেনি। এখন এই কথা বলা হচ্ছে কেন? এরপর কোম্পানির সুজনরে আসতে দ্বিগুণ উদ্যমে কাজ শুরু করেন ডেসমারাত্তি। তখনই তাঁকে ছাঁটাই করা হয়। বিজনেস ইনসাইডার-কে তিনি বলেন, “কাজ করে খুব খুশি ছিলাম তা নয়, কিন্তু ৯০ হাজার ডলার বেতন ছিল আমার বেঁচে থাকার একমাত্র উপায়। কিছু সঞ্চয় ছিল। তাতে দু’সপ্তাহ মতো চলবে। তারপর? রাতে ঘুমের মধ্যে কাঁদতাম।’’
বদলে কী পেলেন? ডেসমারাত্তির অভিযোগ, পারফরম্যান্স রিভিউতে কোম্পানি বলেছিল, কাজ ভাল হচ্ছে না। তিনি আকাশ থেকে পড়েন। যখন তিনি একের পর এক প্রজেক্ট জমা দিয়েছেন, তখন কেউ এ কথা বলেনি। এখন এই কথা বলা হচ্ছে কেন? এরপর কোম্পানির সুজনরে আসতে দ্বিগুণ উদ্যমে কাজ শুরু করেন ডেসমারাত্তি। তখনই তাঁকে ছাঁটাই করা হয়। বিজনেস ইনসাইডার-কে তিনি বলেন, “কাজ করে খুব খুশি ছিলাম তা নয়, কিন্তু ৯০ হাজার ডলার বেতন ছিল আমার বেঁচে থাকার একমাত্র উপায়। কিছু সঞ্চয় ছিল। তাতে দু’সপ্তাহ মতো চলবে। তারপর? রাতে ঘুমের মধ্যে কাঁদতাম।’’
advertisement
6/6
দু’মাস পর ট্রান্সআমেরিকা-য় যোগ দেন ডেসমারাত্তি। রিমোট জব। বাড়ি থেকেই কাজ করেন তিনি। ডেসমারাত্তি বলছেন, “ডেলয়েটে যা করতাম এখানেও তাই করি। একই কাজ। তবে কর্মসংস্কৃতি কিছুটা আলাদা। এখন আমি নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে পারি। অবশেষে মনে হচ্ছে, হ্যাঁ, আমি বেঁচে আছি।’’
দু’মাস পর ট্রান্সআমেরিকা-য় যোগ দেন ডেসমারাত্তি। রিমোট জব। বাড়ি থেকেই কাজ করেন তিনি। ডেসমারাত্তি বলছেন, “ডেলয়েটে যা করতাম এখানেও তাই করি। একই কাজ। তবে কর্মসংস্কৃতি কিছুটা আলাদা। এখন আমি নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে পারি। অবশেষে মনে হচ্ছে, হ্যাঁ, আমি বেঁচে আছি।’’
advertisement
advertisement
advertisement