English: বলুন তো, ইংরাজি বর্ণমালায় শেষ যুক্ত হয় কোন অক্ষরটি? Z নয় কিন্তু! তাহলে কোন অক্ষর? এই অক্ষরের পিছনে রয়েছে বিরাট ইতিহাস!

Last Updated:
English: এখানেই লুকিয়ে আছে ইতিহাসের মজা। ‘Z’ শেষ অক্ষর হলেও সেটা অনেক আগেই বর্ণমালায় যুক্ত হয়ে গিয়েছিল।
1/6
বলুন তো, ইংরেজি বর্ণমালার শেষ অক্ষর কোনটি? চোখ বন্ধ করে সবাই উত্তর দিয়ে দেবেন। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই ‘স্বাভাবিক’ ব্যাপারের ভেতর থেকেই যখন অস্বাভাবিক তথ্য উঠে আসে? মনের অবস্থা ঠিক কেমন হবে যখন জানবেন ‘Z’ নয়, ইংরেজি বর্ণমালার শেষ সদস্য অন্য আরেকটি বর্ণ?
বলুন তো, ইংরেজি বর্ণমালার শেষ অক্ষর কোনটি? চোখ বন্ধ করে সবাই উত্তর দিয়ে দেবেন। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই ‘স্বাভাবিক’ ব্যাপারের ভেতর থেকেই যখন অস্বাভাবিক তথ্য উঠে আসে? মনের অবস্থা ঠিক কেমন হবে যখন জানবেন ‘Z’ নয়, ইংরেজি বর্ণমালার শেষ সদস্য অন্য আরেকটি বর্ণ?
advertisement
2/6
‘A’ থেকে ‘Z’ পর্যন্ত গড়গড় করে বলে গেছি সবাই। কোন বর্ণ কত নম্বরে সেটাও জানা আমাদের। সেখানে ‘J’-এর স্থান তো অনেক ওপরে। সে কী করে সবার শেষে আসে? এখানেই লুকিয়ে আছে ইতিহাসের মজা। ‘Z’ শেষ অক্ষর হলেও সেটা অনেক আগেই বর্ণমালায় যুক্ত হয়ে গিয়েছিল।
‘A’ থেকে ‘Z’ পর্যন্ত গড়গড় করে বলে গেছি সবাই। কোন বর্ণ কত নম্বরে সেটাও জানা আমাদের। সেখানে ‘J’-এর স্থান তো অনেক ওপরে। সে কী করে সবার শেষে আসে? এখানেই লুকিয়ে আছে ইতিহাসের মজা। ‘Z’ শেষ অক্ষর হলেও সেটা অনেক আগেই বর্ণমালায় যুক্ত হয়ে গিয়েছিল।
advertisement
3/6
বরং সবার শেষে আমাদের সামনে হাজির হয়েছে ‘J’। আরও ভাল করে বললে, ইউরোপের রেনেসাঁর সময় ইংরেজি বর্ণমালায় জায়গা করে নেয় এই অক্ষরটি।
বরং সবার শেষে আমাদের সামনে হাজির হয়েছে ‘J’। আরও ভাল করে বললে, ইউরোপের রেনেসাঁর সময় ইংরেজি বর্ণমালায় জায়গা করে নেয় এই অক্ষরটি।
advertisement
4/6
রোমান বর্ণমালার হিসেব যদি দেখা যায় তাহলে দেখা যাবে একটা সময় অবধি ‘I’-এরই ব্যবহার ছিল। নম্বরের সিস্টেমেও এর ব্যবহার বহুল প্রসিদ্ধ। সেই ‘I’-কেই একটু অন্যভাবে লেখার ফলে তৈরি হয় ‘J’। একটা সময় পর্যন্ত ‘I’ আর ‘J’-এর উচ্চারণও একই ছিল। এই কারণে বর্ণমালাতেও সেরকমভাবে জায়গা হয়নি। এখানেই প্রথমবার তফাৎটা লক্ষ্য করেন জিয়ান জিওর্জিও ট্রিসিনো।
রোমান বর্ণমালার হিসেব যদি দেখা যায় তাহলে দেখা যাবে একটা সময় অবধি ‘I’-এরই ব্যবহার ছিল। নম্বরের সিস্টেমেও এর ব্যবহার বহুল প্রসিদ্ধ। সেই ‘I’-কেই একটু অন্যভাবে লেখার ফলে তৈরি হয় ‘J’। একটা সময় পর্যন্ত ‘I’ আর ‘J’-এর উচ্চারণও একই ছিল। এই কারণে বর্ণমালাতেও সেরকমভাবে জায়গা হয়নি। এখানেই প্রথমবার তফাৎটা লক্ষ্য করেন জিয়ান জিওর্জিও ট্রিসিনো।
advertisement
5/6
রেনেসাঁ যুগে ইতালির অন্যতম কবি, নাট্যকার এবং ব্যাকরণবিদ ছিলেন ইনি। ‘J’-এরও যে একটা আলাদা অস্তিত্ব রয়েছে, আলাদা উচ্চারণ রয়েছে তা প্রথম অনুভব করেন তিনি। সেই সূত্রেই ১৫২৪ সালে লেখেন একটি লম্বা প্রবন্ধ। সেখানেই প্রথমবার ট্রিসিনো প্রস্তাব দেন ‘I’ আর ‘J’-এর উচ্চারণ আলাদা হতে হবে। এমনকি আলাদা বর্ণমালা হিসেবে একে দেখা হবে। নয়ত অনেক শব্দ উচ্চারণ করতে সমস্যা হবে।
রেনেসাঁ যুগে ইতালির অন্যতম কবি, নাট্যকার এবং ব্যাকরণবিদ ছিলেন ইনি। ‘J’-এরও যে একটা আলাদা অস্তিত্ব রয়েছে, আলাদা উচ্চারণ রয়েছে তা প্রথম অনুভব করেন তিনি। সেই সূত্রেই ১৫২৪ সালে লেখেন একটি লম্বা প্রবন্ধ। সেখানেই প্রথমবার ট্রিসিনো প্রস্তাব দেন ‘I’ আর ‘J’-এর উচ্চারণ আলাদা হতে হবে। এমনকি আলাদা বর্ণমালা হিসেবে একে দেখা হবে। নয়ত অনেক শব্দ উচ্চারণ করতে সমস্যা হবে।
advertisement
6/6
মূলত তাঁরই প্রচেষ্টায় ‘J’-কে ইংরেজি বর্ণমালায় আলাদা স্থান দেওয়া হয়। কিন্তু ঘটে যায় অদ্ভুত ব্যাপার। তথ্য অনুযায়ী ‘J’-এর শেষ অর্থাৎ ২৬তম বর্ণ হিসেবে ইংরেজিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা। কিন্তু তার স্থান হয় ‘I’-এর ঠিক পরেই, অর্থাৎ দশম স্থানে। শেষ হয়ে থেকে যায় সেই ‘Z’-ই। ভাগ্যিস ‘J’ নিজস্ব একটি স্থান পেয়েছিল। নয়তো অনেক শব্দ যে কীভাবে সকলে উচ্চারণ করত!
মূলত তাঁরই প্রচেষ্টায় ‘J’-কে ইংরেজি বর্ণমালায় আলাদা স্থান দেওয়া হয়। কিন্তু ঘটে যায় অদ্ভুত ব্যাপার। তথ্য অনুযায়ী ‘J’-এর শেষ অর্থাৎ ২৬তম বর্ণ হিসেবে ইংরেজিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা। কিন্তু তার স্থান হয় ‘I’-এর ঠিক পরেই, অর্থাৎ দশম স্থানে। শেষ হয়ে থেকে যায় সেই ‘Z’-ই। ভাগ্যিস ‘J’ নিজস্ব একটি স্থান পেয়েছিল। নয়তো অনেক শব্দ যে কীভাবে সকলে উচ্চারণ করত!
advertisement
advertisement
advertisement