সত্যিই কি শবের সঙ্গে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হন অঘোরীরা? জেনে নিন বাস্তব সত্যি

Last Updated:
অঘোরীদের জীবনধারা এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলন সব সময়ই কৌতূহলের বিষয়। তাঁদের জীবন অনেকটাই রহস্যে মোড়া। এঁরা শ্মশানে থাকেন, ধ্যান করেন। মৃতদেহকেই তাঁদের আধ্যাত্মিক সাধনার মূল ভিত্তি করে তোলেন। কাশী-সহ দেশের অনেক জায়গায় তাঁদের মঠ রয়েছে।
1/8
Sanjay Srivastava (संजय श्रीवास्तव): নতুন বছর পড়তে না পড়তেই বাবুঘাটে ভিড় জমতে শুরু করে। দূর-দূরান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা গঙ্গাসাগরে যাত্রার আগে কলকাতার এই অংশেই এসে জড়ো হন। সেখানেই দেখা মেলে অঘোরীদেরও। সর্বাঙ্গে ছাইমাখা সাধুদের দূর থেকে দেখলেও কেমন ভয় লাগে। আসলে সাদা ছাইয়ের মতো রহস্য সব সময় ঘিরে থাকে এঁদের, তাই তাঁদের নিয়ে আলোচনারও শেষ নেই। অঘোরীদের জীবনধারা এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলন সব সময়ই কৌতূহলের বিষয়। তাঁদের জীবন অনেকটাই রহস্যে মোড়া। এঁরা শ্মশানে থাকেন, ধ্যান করেন। মৃতদেহকেই তাঁদের আধ্যাত্মিক সাধনার মূল ভিত্তি করে তোলেন। কাশী-সহ দেশের অনেক জায়গায় তাঁদের মঠ রয়েছে। (Representative Image)
Sanjay Srivastava (संजय श्रीवास्तव): নতুন বছর পড়তে না পড়তেই বাবুঘাটে ভিড় জমতে শুরু করে। দূর-দূরান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা গঙ্গাসাগরে যাত্রার আগে কলকাতার এই অংশেই এসে জড়ো হন। সেখানেই দেখা মেলে অঘোরীদেরও। সর্বাঙ্গে ছাইমাখা সাধুদের দূর থেকে দেখলেও কেমন ভয় লাগে। আসলে সাদা ছাইয়ের মতো রহস্য সব সময় ঘিরে থাকে এঁদের, তাই তাঁদের নিয়ে আলোচনারও শেষ নেই। অঘোরীদের জীবনধারা এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলন সব সময়ই কৌতূহলের বিষয়। তাঁদের জীবন অনেকটাই রহস্যে মোড়া। এঁরা শ্মশানে থাকেন, ধ্যান করেন। মৃতদেহকেই তাঁদের আধ্যাত্মিক সাধনার মূল ভিত্তি করে তোলেন। কাশী-সহ দেশের অনেক জায়গায় তাঁদের মঠ রয়েছে। (Representative Image)
advertisement
2/8
শিব এবং শবের উপাসক: অঘোরীরা নিজেকে সম্পূর্ণরূপে শিবের মধ্যে মিশিয়ে দিতে চান। অঘোর হল শিবের পাঁচটি রূপের একটি। শিবের উপাসনা করার উপচার হিসেবে অঘোরীরা শব-সাধনার পথ বেছে নেন। মৃতদেহের উপর বসে সাধনা করেন। 'শব থেকেই শিব প্রাপ্তি'— এই হল তাঁদের ধারণা। অঘোরীরা মূলত তিনটি ধাপে সাধনা করেন। শব সাধনা— এই পর্যায়ে মৃতদেহের উদ্দেশে মাংস ও মদ নিবেদন করা হয়। শিব সাধনা— এখানে মৃতদেহের উপর এক পায়ে দাঁড়িয়ে শিবের উপাসনা করেন অঘোরী এবং শ্মশান সাধনা— যেখানে যজ্ঞাদি সম্পন্ন করা হয়।
শিব এবং শবের উপাসক: অঘোরীরা নিজেকে সম্পূর্ণরূপে শিবের মধ্যে মিশিয়ে দিতে চান। অঘোর হল শিবের পাঁচটি রূপের একটি। শিবের উপাসনা করার উপচার হিসেবে অঘোরীরা শব-সাধনার পথ বেছে নেন। মৃতদেহের উপর বসে সাধনা করেন। 'শব থেকেই শিব প্রাপ্তি'— এই হল তাঁদের ধারণা। অঘোরীরা মূলত তিনটি ধাপে সাধনা করেন। শব সাধনা— এই পর্যায়ে মৃতদেহের উদ্দেশে মাংস ও মদ নিবেদন করা হয়। শিব সাধনা— এখানে মৃতদেহের উপর এক পায়ে দাঁড়িয়ে শিবের উপাসনা করেন অঘোরী এবং শ্মশান সাধনা— যেখানে যজ্ঞাদি সম্পন্ন করা হয়।
advertisement
3/8
শব-সঙ্গম: শবের সঙ্গে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হন অঘোরীরা, এমনই মনে করেন সাধারণ মানুষ। অঘোরীদের মধ্যেও এই বিশ্বাস প্রচলিত। তাঁরা ব্যাখ্যা করে বলেন, এটিই উপাসনা করার সবচেয়ে সহজ উপায় পথ— বীভৎসের মধ্যেও ঈশ্বরে সমর্পণ। তাঁরা বিশ্বাস করেন যে, মৃতদেহের সঙ্গে শারীরিক ক্রিয়াকলাপের সময়ও যদি মন ঈশ্বরের ভক্তিতে নিযুক্ত থাকে তবে এর চেয়ে উচ্চ আধ্যাত্মিক সাধনার স্তর আর কিছু হতে পারে না।
শব-সঙ্গম: শবের সঙ্গে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হন অঘোরীরা, এমনই মনে করেন সাধারণ মানুষ। অঘোরীদের মধ্যেও এই বিশ্বাস প্রচলিত। তাঁরা ব্যাখ্যা করে বলেন, এটিই উপাসনা করার সবচেয়ে সহজ উপায় পথ— বীভৎসের মধ্যেও ঈশ্বরে সমর্পণ। তাঁরা বিশ্বাস করেন যে, মৃতদেহের সঙ্গে শারীরিক ক্রিয়াকলাপের সময়ও যদি মন ঈশ্বরের ভক্তিতে নিযুক্ত থাকে তবে এর চেয়ে উচ্চ আধ্যাত্মিক সাধনার স্তর আর কিছু হতে পারে না।
advertisement
4/8
জীবিতও সংসর্গও সাধনমার্গ: সাধন-ভজনের অন্য পথগুলির মতো ব্রহ্মচর্য পালনে ব্রতী হন না অঘোরীরা। বরং শারীরিক মিলনের মাধ্যমেই তাঁরা শক্তি অর্জন করতে চান বলে দাবি করেন। এটি তাঁদের অন্যতম একটি পালনীয় আচরণ।
জীবিতও সংসর্গও সাধনমার্গ: সাধন-ভজনের অন্য পথগুলির মতো ব্রহ্মচর্য পালনে ব্রতী হন না অঘোরীরা। বরং শারীরিক মিলনের মাধ্যমেই তাঁরা শক্তি অর্জন করতে চান বলে দাবি করেন। এটি তাঁদের অন্যতম একটি পালনীয় আচরণ।
advertisement
5/8
নরমুণ্ড: অঘোরীদের ছবি দেখলেই লক্ষ্য করা যাবে, তাঁদের সঙ্গে সব সময় একটি মানুষের মাথার খুলি থাকে। অঘোরীরা মানুষের মাথার খুলিকে খাবারের পাত্র হিসেবে ব্যবহার করেন। কপাল বা খুলি ব্যবহার করার কারণেই তাঁদের 'কাপালিক' বলা হয়।
নরমুণ্ড: অঘোরীদের ছবি দেখলেই লক্ষ্য করা যাবে, তাঁদের সঙ্গে সব সময় একটি মানুষের মাথার খুলি থাকে। অঘোরীরা মানুষের মাথার খুলিকে খাবারের পাত্র হিসেবে ব্যবহার করেন। কপাল বা খুলি ব্যবহার করার কারণেই তাঁদের 'কাপালিক' বলা হয়।
advertisement
6/8
জীবিতও সংসর্গও সাধনমার্গ: সাধন-ভজনের অন্য পথগুলির মতো ব্রহ্মচর্য পালনে ব্রতী হন না অঘোরীরা। বরং শারীরিক মিলনের মাধ্যমেই তাঁরা শক্তি অর্জন করতে চান বলে দাবি করেন। এটি তাঁদের অন্যতম একটি পালনীয় আচরণ।
জীবিতও সংসর্গও সাধনমার্গ: সাধন-ভজনের অন্য পথগুলির মতো ব্রহ্মচর্য পালনে ব্রতী হন না অঘোরীরা। বরং শারীরিক মিলনের মাধ্যমেই তাঁরা শক্তি অর্জন করতে চান বলে দাবি করেন। এটি তাঁদের অন্যতম একটি পালনীয় আচরণ।
advertisement
7/8
সঙ্গী কুকুর: অঘোরীদের সঙ্গে ছায়ার মতো থাকে কুকুর। অঘোরীরাও কুকুরদের খুব ভালোবাসেন। গরু, ছাগল বা মানুষের মতো প্রাণীদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখলেও অঘোরীদের আশপাশে কুকুর দেখা যায় প্রায় সব সময়।
সঙ্গী কুকুর: অঘোরীদের সঙ্গে ছায়ার মতো থাকে কুকুর। অঘোরীরাও কুকুরদের খুব ভালোবাসেন। গরু, ছাগল বা মানুষের মতো প্রাণীদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখলেও অঘোরীদের আশপাশে কুকুর দেখা যায় প্রায় সব সময়।
advertisement
8/8
সব মানুষই অঘোরী: অঘোরীরা বিশ্বাস করেন, প্রতিটি মানুষই অঘোরী হিসেবে জন্মগ্রহণ করে। তাঁদের দার্শনিক ব্যাখ্যা বলে, একটি ছোট অবোধ শিশু যেমন তার বর্জ্য ও খাদ্যের মধ্যে কোনও পার্থক্য করতে পারে না, তেমনই করেন না অঘোরীরাও। তাঁদের চোখে ভাল বা খারাপের কোনও প্রভেদ নেই, আছেন শুধু ঈশ্বর!
সব মানুষই অঘোরী: অঘোরীরা বিশ্বাস করেন, প্রতিটি মানুষই অঘোরী হিসেবে জন্মগ্রহণ করে। তাঁদের দার্শনিক ব্যাখ্যা বলে, একটি ছোট অবোধ শিশু যেমন তার বর্জ্য ও খাদ্যের মধ্যে কোনও পার্থক্য করতে পারে না, তেমনই করেন না অঘোরীরাও। তাঁদের চোখে ভাল বা খারাপের কোনও প্রভেদ নেই, আছেন শুধু ঈশ্বর!
advertisement
advertisement
advertisement