সুপ্রিম কোর্টের সায় সবুজ বাজিতে, কিন্তু জানেন কি এই সবুজ বাজি? সাধারণ বাজি থেকে কীভাবে আলাদা?

আগামী সপ্তাহেই কালীপুজো আর দীপাবলি উৎসব। গোটা রাজ্য থেকে দেশ সেজে উঠবে আলোর উৎসবে। শুধু আলো নয় আতশবাজির রোশনাইতেও আলোকিত হতে চলেছে শহর কলকাতা থেকে দেশের রাজধানী দিল্লিও।

কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের নতুন নির্দেশে দিল্লি এবং এনসিআর অর্থাৎ ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়নে শুধু সবুজ বাজি পোড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। অক্টোবর ১৮ থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত সকাল ৬টা থেকে ৭টা এবং রাত ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বাজি পোড়াতে পারবেন সাধারণ মানুষরা।

কিন্তু, আপনি জানেন কি সবুজ বাজি আর সাধারণ বাজির মধ্যে পার্থক্য কী?সিএসআইআর এবং নিরি (ন্যাশনাল এনভায়রমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট) উদ্যোগে বানানো হয়েছে এই সবুজ বাজি। বাজির আকার, কাঁচা মালের পরিমাণ সব কিছুই কমানো হয়েছে। একইসঙ্গে এই সমস্ত বাজিতে কোনও ধরনের ছাই হয় না।

কীভাবে সবুজ বাজি আলাদা?সিএসআইআর নিরি অনুযায়ী, বাজিতে প্রধান কিছু যৌগ ভারী মেটাল জাতীয় জিনিস যুক্ত করা হয় না। ফলে তা পরিবেশ এবং শরীরের পক্ষে খুব ক্ষতিকর নয়।

সবুজ বাজির কিছু ধরনএসডবলুএএস(সেফ ওয়াটার অ্যান্ড এয়ার রিলিজ)- এই ধরনের বাজি জল থেকে ধুলো শুষে নেয়।এসএএফএল (সেফ মিনিমাল অ্যালুমিনিয়াম)- এই ধরনের বাজিতে অ্যালুমিনিয়ামের পরিমাণ কম পরিমাণে থাকে।এসটিএআর(সেফট থারমাইট ক্র্যাকার)- এই ধরনের বাজিতে পটাশিয়াম নাইট্রেট কিংবা সালফার থাকে ফলে খুব অল্প ধোঁয়া বেরোয়।