আজকাল সন্ধ্যা নামছে দেরিতে, দিল্লি এনসিআর-এ ১২ ঘণ্টার জায়গায় কেন ১৪ ঘণ্টা স্থায়ী হচ্ছে দিন? জেনে নিন এর বৈজ্ঞানিক কারণ

Last Updated:
আমরা এমনিতে নরওয়ের গল্প শুনে থাকি। যাকে ল্যান্ড অফ মিডনাইট সান বলে ডাকা হয়। আসলে সেখানে সূর্যাস্ত হয় রাত ১১টা নাগাদ। আর মধ্যরাতে প্রায় রাত ১টা নাগাদ আবার সূর্যোদয় হয়।
1/6
Author-Rajkumar Pandey: সন্ধ্যা নামছে ঠিকই, কিন্তু চারপাশ অন্ধকার হচ্ছে না। এটা অন্য কোনও দেশের কথা নয়। বরং আমাদের দেশের দিল্লি এনসিআর, নয়ডা এবং গাজিয়াবাদে দেখা যাচ্ছে এই দৃশ্য। আমরা এমনিতে নরওয়ের গল্প শুনে থাকি। যাকে ল্যান্ড অফ মিডনাইট সান বলে ডাকা হয়। আসলে সেখানে সূর্যাস্ত হয় রাত ১১টা নাগাদ। আর মধ্যরাতে প্রায় রাত ১টা নাগাদ আবার সূর্যোদয় হয়। ফিনল্যান্ড আর আইসল্যান্ডেও এমন ছবি দেখা যায়। (Representative Image)
Author-Rajkumar Pandey: সন্ধ্যা নামছে ঠিকই, কিন্তু চারপাশ অন্ধকার হচ্ছে না। এটা অন্য কোনও দেশের কথা নয়। বরং আমাদের দেশের দিল্লি এনসিআর, নয়ডা এবং গাজিয়াবাদে দেখা যাচ্ছে এই দৃশ্য। আমরা এমনিতে নরওয়ের গল্প শুনে থাকি। যাকে ল্যান্ড অফ মিডনাইট সান বলে ডাকা হয়। আসলে সেখানে সূর্যাস্ত হয় রাত ১১টা নাগাদ। আর মধ্যরাতে প্রায় রাত ১টা নাগাদ আবার সূর্যোদয় হয়। ফিনল্যান্ড আর আইসল্যান্ডেও এমন ছবি দেখা যায়। (Representative Image)
advertisement
2/6
এছাড়া কানাডা, রাশিয়া এবং গ্রিনল্যান্ডেও রাতে সূর্যের দেখা মেলে। একাধিক দেশে তো ৬০ থেকে ৯০ দিন সূর্যাস্তই হয় না। এমন অবস্থায় সেই সমস্ত দেশের মানুষ অন্যান্য জায়গার মানুষের মতোই কাজকর্ম করেন। আজকাল দিল্লি এনসিআর-এ দিন দীর্ঘ হতে দেখা যাচ্ছে। এর আসল কারণ বুঝতে পারছেন না অনেকেই। (Representative Image)
এছাড়া কানাডা, রাশিয়া এবং গ্রিনল্যান্ডেও রাতে সূর্যের দেখা মেলে। একাধিক দেশে তো ৬০ থেকে ৯০ দিন সূর্যাস্তই হয় না। এমন অবস্থায় সেই সমস্ত দেশের মানুষ অন্যান্য জায়গার মানুষের মতোই কাজকর্ম করেন। আজকাল দিল্লি এনসিআর-এ দিন দীর্ঘ হতে দেখা যাচ্ছে। এর আসল কারণ বুঝতে পারছেন না অনেকেই। (Representative Image)
advertisement
3/6
প্রত্যেকেই জানেন যে, মার্চ মাস থেকেই দিন বড় হতে শুরু করে। দিল্লি এনসিআর-এ মার্চ এবং এপ্রিল মাসে সূর্যাস্ত হয় সন্ধ্যা ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটের মধ্যে। সেখানে মে এবং জুন মাসে সেখানে অন্ধকার নামে সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে। ফলে এই এলাকায় জুন-জুলাই মাসে দিন হয় ১৪ ঘণ্টার জন্য। রোজ ভোর ৫টা ২০ মিনিটে সূর্যোদয় হচ্ছে আর সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত আকাশে সূর্যের দেখা মেলে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ১৯ জুনের কথা। এই দিন সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৫টা ২২ মিনিটে আর সূর্যাস্ত হয়েছে সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে। (Representative Image)
প্রত্যেকেই জানেন যে, মার্চ মাস থেকেই দিন বড় হতে শুরু করে। দিল্লি এনসিআর-এ মার্চ এবং এপ্রিল মাসে সূর্যাস্ত হয় সন্ধ্যা ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটের মধ্যে। সেখানে মে এবং জুন মাসে সেখানে অন্ধকার নামে সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে। ফলে এই এলাকায় জুন-জুলাই মাসে দিন হয় ১৪ ঘণ্টার জন্য। রোজ ভোর ৫টা ২০ মিনিটে সূর্যোদয় হচ্ছে আর সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত আকাশে সূর্যের দেখা মেলে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ১৯ জুনের কথা। এই দিন সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৫টা ২২ মিনিটে আর সূর্যাস্ত হয়েছে সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে। (Representative Image)
advertisement
4/6
শুধু দিল্লি এনসিআর-এই নয়, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা এবং পঞ্জাবের কিছু অংশেও এই ছবির দেখা মিলবে। অর্থাৎ ২৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে থাকা এলাকাগুলির ক্ষেত্রেই এমনটা দেখা যায়। কারণ এখানে পৃথিবী সূর্যের দিকে একটু বেশিই ঝুঁকে থাকে। (Representative Image)
শুধু দিল্লি এনসিআর-এই নয়, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা এবং পঞ্জাবের কিছু অংশেও এই ছবির দেখা মিলবে। অর্থাৎ ২৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে থাকা এলাকাগুলির ক্ষেত্রেই এমনটা দেখা যায়। কারণ এখানে পৃথিবী সূর্যের দিকে একটু বেশিই ঝুঁকে থাকে। (Representative Image)
advertisement
5/6
প্রায় ৫৫০ বছর আগে নিকোলাও কোপারনিকাস বলেছিলেন যে, সূর্য এক জায়গায় স্থির থাকে। আর সূর্যকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করে পৃথিবী-সব সমস্ত গ্রহ। যদিও জীবৎকালে কোনওদিনই গুরুত্ব বা স্বীকৃতি পাননি কোপারনিকাস। যখন ১৫৪৩ সালে তাঁর বই প্রকাশিত হয়, তখন তাঁর মতামত প্রসঙ্গে জানতে পারে গোটা বিশ্ব। এমনকী কোপারনিকাসের এই তত্ত্বের সঙ্গে একমত ছিলেন গ্যালিলিও। সেই সময় গির্জার অনুগামীরা অবশ্য তাঁকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল। তবে সেটা কোনও প্রধান বিষয় নয়। কিন্তু এর মাধ্যমে গোটা বিশ্বই জানতে পেরেছিল যে, সূর্যোদয়ের অর্থ হল - ওই এলাকায় দৃশ্যমান সূর্য আর সূর্যাস্তের অর্থ হল - ওই এলাকায় দেখা যাবে না সূর্যকে। কারণ সূর্য সব সময় নিজের জায়গায় স্থির থাকে। কিন্তু এটাই বলা হয় যে, সূর্য ওঠে এবং সূর্য অস্ত দেয়। (Representative Image)
প্রায় ৫৫০ বছর আগে নিকোলাও কোপারনিকাস বলেছিলেন যে, সূর্য এক জায়গায় স্থির থাকে। আর সূর্যকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করে পৃথিবী-সব সমস্ত গ্রহ। যদিও জীবৎকালে কোনওদিনই গুরুত্ব বা স্বীকৃতি পাননি কোপারনিকাস। যখন ১৫৪৩ সালে তাঁর বই প্রকাশিত হয়, তখন তাঁর মতামত প্রসঙ্গে জানতে পারে গোটা বিশ্ব। এমনকী কোপারনিকাসের এই তত্ত্বের সঙ্গে একমত ছিলেন গ্যালিলিও। সেই সময় গির্জার অনুগামীরা অবশ্য তাঁকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল। তবে সেটা কোনও প্রধান বিষয় নয়। কিন্তু এর মাধ্যমে গোটা বিশ্বই জানতে পেরেছিল যে, সূর্যোদয়ের অর্থ হল - ওই এলাকায় দৃশ্যমান সূর্য আর সূর্যাস্তের অর্থ হল - ওই এলাকায় দেখা যাবে না সূর্যকে। কারণ সূর্য সব সময় নিজের জায়গায় স্থির থাকে। কিন্তু এটাই বলা হয় যে, সূর্য ওঠে এবং সূর্য অস্ত দেয়। (Representative Image)
advertisement
6/6
নয়ডা আর গাজিয়াবাদে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের ব্যবধান বৃদ্ধির জন্য দায়ী দেরি করে সূর্যাস্ত। বৈজ্ঞানিক ভাবে তা বুঝতে গেলে আমাাদের দিল্লি এবং তার সংলগ্ন এলাকার ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে জানতে হবে। এনসিআর ২৮.৬ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে অবস্থিত। এটি উত্তর গোলার্ধে পড়ে। গ্রীষ্মকালে বিশেষ করে জুনের নাগাদ গ্রীষ্মকালীন অয়নকাল (২১ বা ২২ জুন) ঘটে। এই সময়ে, পৃথিবীর উত্তর অংশ সূর্যের দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে। এর প্রধান কারণ হল- পৃথিবীর অক্ষের ২৩.৫ ডিগ্রি হেলে থাকা। এই প্রবণতার কারণে সূর্যের রশ্মি প্রায় সরাসরি দিল্লির উপর পড়ে। আর সেই কারণে দিন বড় হয়। ফলস্বরূপ ভোরে সূর্য ওঠে এবং দেরিতে সূর্যাস্ত হয়। এখানে এটাও মনে রাখা দরকার যে, গ্রীষ্মকালে এনসিআর-এর বায়ুমণ্ডল পরিষ্কার থাকে এবং বাতাসে ধুলোবালিও কম থাকে। (Representative Image)
নয়ডা আর গাজিয়াবাদে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের ব্যবধান বৃদ্ধির জন্য দায়ী দেরি করে সূর্যাস্ত। বৈজ্ঞানিক ভাবে তা বুঝতে গেলে আমাাদের দিল্লি এবং তার সংলগ্ন এলাকার ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে জানতে হবে। এনসিআর ২৮.৬ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে অবস্থিত। এটি উত্তর গোলার্ধে পড়ে। গ্রীষ্মকালে বিশেষ করে জুনের নাগাদ গ্রীষ্মকালীন অয়নকাল (২১ বা ২২ জুন) ঘটে। এই সময়ে, পৃথিবীর উত্তর অংশ সূর্যের দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে। এর প্রধান কারণ হল- পৃথিবীর অক্ষের ২৩.৫ ডিগ্রি হেলে থাকা। এই প্রবণতার কারণে সূর্যের রশ্মি প্রায় সরাসরি দিল্লির উপর পড়ে। আর সেই কারণে দিন বড় হয়। ফলস্বরূপ ভোরে সূর্য ওঠে এবং দেরিতে সূর্যাস্ত হয়। এখানে এটাও মনে রাখা দরকার যে, গ্রীষ্মকালে এনসিআর-এর বায়ুমণ্ডল পরিষ্কার থাকে এবং বাতাসে ধুলোবালিও কম থাকে। (Representative Image)
advertisement
advertisement
advertisement