Burari Deaths: বুরারির অভিশপ্ত রাতের ক্ষত এখনও দেশবাসীর মনে টাটকা! ঠিক কী ঘটেছিল ওই পরিবারের সঙ্গে?
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
House Of Secrets-Burari Death Case: কী হয়েছিল বছর পাঁচেক আগে? সেটাই আরও একবার ফিরে দেখা যাক।
আজ থেকে প্রায় ৫ বছর আগের একটি ঘটনা চমকে দিয়েছিল গোটা দেশের মানুষকে। এর ফলে সংবাদের শিরোনামে চলে এসেছিল দিল্লির বুরারি এলাকা। ওই এলাকার একটি বাড়িতে রহস্যজনক ভাবে মিলেছিল ওই পরিবারের ১১ জন সদস্যের দেহ। সেই ঘটনা নিয়েই তৈরি হয়েছিল একটি ডকু-সিরিজ ‘হাউজ অফ সিক্রেটস: দ্য বুরারি ডেথস’। এবং বর্তমানে রিলিজ হয়েছে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে তমান্না ভাটিয়া অভিনিত সিরিজ ‘আখরি সচ’ ৷
advertisement
advertisement
২০১৮ সালের ১ জুলাইয়ের ঘটনা। পুলিশের কাছে একটা ফোন আসে। এর পর পুলিশ দিল্লির বুরারি এলাকার ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেখা যায় যে, সেখানকার চন্দাওয়াত পরিবারের তিন প্রজন্ম মিলিয়ে মোট ১১ জন সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলের সেই দৃশ্যের বর্ণনা শুনে শিউরে উঠেছিলেন গোটা দেশবাসী। যে পুলিশ অফিসার প্রথম ঘটনাস্থলে পৌঁছন, তিনি যা যা দেখেছেন, সমস্তটা বর্ণনা দিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। জানা গিয়েছিল, পরিবারের বেশ কয়েক জন সদস্যের দেহ সিলিংয়ের একটি গ্রিল থেকে ঝুলছিল। তাঁদের হাত পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল। ঠোঁটে লাগানো ডাক্ট-টেপ আর মুখ ছিল ঢাকা।
advertisement
প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছিল যে, এটা খুনের ঘটনা। কিন্তু তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায় যে, এটা ছিল গণ-আত্মহত্যার ঘটনা। তদন্তকারীরা ওই বাড়ি থেকে ১১টি ডায়েরিও উদ্ধার করেন। সেখানেই জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যায় গোটা ঘটনা। পরিবারের সবথেকে বয়োজ্যেষ্ঠা নারায়ণী দেবীর দেহ মিলেছিল বাড়ির শোওয়ার ঘরে। তদন্তে অনুমান, তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। বৃদ্ধার দুই পুত্র এবং এক কন্যার দেহও মিলেছিল ওই অভিশপ্ত বাড়ি থেকে। নারায়ণী দেবীর ছোট ছেলে ললিতের উপর নাকি ভর করেছিল তাঁর মৃত বাবা ভোপাল সিংয়ের আত্মা !
advertisement
২০০৭ সালে মৃত্যু হয়েছিল বৃদ্ধার স্বামীর। ললিতের ডায়েরি থেকে জানা যায়, বাবা ভোপাল সিংয়ের নির্দেশে ভাল জীবনযাপনের আশায় এমনটা করেছেন তাঁরা। এমনকী মৃত বাবার আত্মা ললিতকে এও জানিয়েছিল যে, আর্থিক উন্নতির জন্য বট বৃক্ষের পূজা করতে। এর পর ললিত যা যা বলেন, সেটাই করতে শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। এই সব রীতি-আচারে গভীর বিশ্বাস জন্মায় তাঁদের।
advertisement
বাড়ির বাইরের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে জানা যায় যে, ঘটনার দিন বাইরে থেকে বাড়িতে কেউ আসেননি। বরং দেখা যায়, পরিবারেরই কয়েক জন সদস্য ছোট্ট বসার জায়গা এবং তার নিয়ে বাড়িতে ঢুকছেন। তদন্তে আরও তথ্য বেরিয়ে আসে। ভগবানকে তুষ্ট করার জন্যই কিছু আচার পালন করছিলেন ওই পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের বিশ্বাস ছিল, ওই আচার পালন করতে করতে বেঁচে যাবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটা হয়নি।
advertisement