হাতে প্রাণঘাতী অস্ত্র! সীমান্তে বেড়া ভাঙতে এগিয়ে আসছিল '৬ জন'...! রুখে দাঁড়ালেন BSF নারী! তার পর?

পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার অর্ধাপুর সীমান্তে বুধবার এক বড় ধরনের অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিলেন বিএসএফ-এর এক সাহসী মহিলা কনস্টেবল। বিএসএফ-এর দাবি, পাঁচ থেকে ছয়জন বাংলাদেশি নাগরিক প্রাণঘাতী অস্ত্রসহ সীমান্তের বেড়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছিল।

৮৮তম বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ওই মহিলা কনস্টেবল একাই অনুপ্রবেশকারীদের মুখোমুখি হয়ে তাদের চ্যালেঞ্জ করেন। মহিলা কনস্টেবলের তৎপরতায় এই অনুপ্রবেশকারীদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায়।

বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের মুখপাত্র ও ডিআইজি এন. কে. পাণ্ডে জানান, "মহিলা কনস্টেবল অসাধারণ সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বুঝতে পারছিলেন যে অনুপ্রবেশকারীদের কাছে প্রাণঘাতী অস্ত্র রয়েছে, তবুও বিন্দুমাত্র দ্বিধা না করে তাদের চ্যালেঞ্জ করেছেন।"

তিনি আরও বলেন, "এই অনুপ্রবেশকারীরা চোরাচালানকারী কিনা নিশ্চিত নয়, তবে তারা বেআইনিভাবে ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে বেড়া ভাঙার চেষ্টা করছিল।"

ডিআইজি পাণ্ডে জানান, "মহিলা কনস্টেবল দ্বিতীয় শিফটে ডিউটিতে ছিলেন, তখনই তিনি দেখতে পান অনুপ্রবেশকারীরা বেড়ার দিকে এগোচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সতর্কবার্তা দেন ও ওয়াকিটকিতে সহকর্মীদের খবর দেন। কিন্তু সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেও বাংলাদেশিরা আগ্রাসী ভঙ্গিতে এগিয়ে আসতে থাকে।"

কিন্তু ওই সাহসী মহিলা কনস্টেবল নিজের নিরাপত্তার পরোয়া না করেই একাই তাদের দিকে এগিয়ে যান। ঘন কুয়াশার সুযোগ নিয়ে পালায় অনুপ্রবেশকারীরা।

ডিআইজি বলেন, "ততক্ষণে তারা সীমান্তের খুব কাছে চলে আসে। যদি মহিলা কনস্টেবল গুলি না চালাতেন, তবে তারা বেড়া ভাঙতে শুরু করত। গোলাগুলির শব্দ শুনে ও পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে অনুপ্রবেশকারীরা কুয়াশার সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে গুলিতে কেউ আহত হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত নয়।"

**নারী কনস্টেবলদের অপরিসীম সাহস ও দক্ষতা** ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মোতায়েন মহিলা কনস্টেবলদের কাজের প্রশংসা করে ডিআইজি পাণ্ডে বলেন, "তাদের দক্ষতা, সাহস ও দায়বদ্ধতা অতুলনীয়। তারা যে কোনও ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে এবং দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে সম্পূর্ণ সক্ষম।"