Dreamliner Plane Crash: ৬০০০ বিমান দুর্ঘটনা, ৯০০০ মানুষের মৃত্যু! এটাই কি পৃথিবীর সব থেকে 'অভিশপ্ত' বিমান!

Last Updated:
Dreamliner Plane Crash- শুধু ভারতের কথা বললে, গত ১০ বছরে দুটি বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে — এবং দুটিতেই বোয়িং বিমান ছিল। অগাস্ট ২০২০ সালে কেরালার কোঝিকোড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং 737-8HG বিমান বিধ্বস্ত হয়, আর ২০২৫ সালে আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং 787-8 ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনার শিকার হয়।
1/9
কলকাতা: আহমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর বিমান ভ্রমণের নিরাপত্তা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠছে।এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমান AI-171 অহমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দর থেকে ওড়ার মাত্র ৫ মিনিট পরেই ভেঙে পড়ে ও আগুনের গোলায় পরিণত হয়। এই দুর্ঘটনার পর বোয়িং বিমানের নিরাপত্তা আবারও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার পর একাধিক খবর সামনে এসেছে—
কখনও বিমানের জরুরি অবতরণ করাতে হয়েছে, তো কখনও প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে।
কলকাতা: আহমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর বিমান ভ্রমণের নিরাপত্তা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠছে।এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমান AI-171 অহমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দর থেকে ওড়ার মাত্র ৫ মিনিট পরেই ভেঙে পড়ে ও আগুনের গোলায় পরিণত হয়। এই দুর্ঘটনার পর বোয়িং বিমানের নিরাপত্তা আবারও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার পর একাধিক খবর সামনে এসেছে—কখনও বিমানের জরুরি অবতরণ করাতে হয়েছে, তো কখনও প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে।
advertisement
2/9
বিশ্বজুড়ে একাধিক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে,কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো—গত এক দশকে যতগুলো বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে,
তার প্রায় অর্ধেকই বোয়িং এয়ারক্রাফ্ট-এ ঘটেছে।

শুধু ভারতের কথাই যদি বলা হয়,
গত দশ বছরে দুটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং দুটিতেই ব্যবহৃত বিমান ছিল বোয়িং-এর।
বিশ্বজুড়ে একাধিক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো—গত এক দশকে যতগুলো বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার প্রায় অর্ধেকই বোয়িং এয়ারক্রাফ্ট-এ ঘটেছে।শুধু ভারতের কথাই যদি বলা হয়, গত দশ বছরে দুটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং দুটিতেই ব্যবহৃত বিমান ছিল বোয়িং-এর।
advertisement
3/9
তা হলে প্রশ্ন হচ্ছে —যে বোয়িং একসময় সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং নিরাপদ বিমান হিসেবে পরিচিত ছিল,
আজ তা কেন সন্দেহ ও প্রশ্নের কেন্দ্রবিন্দুতে?

কেন বোয়িং বিমানের নিরাপত্তা নিয়ে এত প্রশ্ন উঠছে?
এর পেছনে কি নির্মাণগত ত্রুটি, নকশার ভুল, নাকি কোম্পানির গাফিলতি?
তা হলে প্রশ্ন হচ্ছে — যে বোয়িং একসময় সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং নিরাপদ বিমান হিসেবে পরিচিত ছিল, আজ তা কেন সন্দেহ ও প্রশ্নের কেন্দ্রবিন্দুতে?কেন বোয়িং বিমানের নিরাপত্তা নিয়ে এত প্রশ্ন উঠছে? এর পেছনে কি নির্মাণগত ত্রুটি, নকশার ভুল, নাকি কোম্পানির গাফিলতি?
advertisement
4/9
১৬১.৩৬ বিলিয়ন ডলারের নেটওয়ার্বো য়িং কোম্পানির। এখন তারা দুর্ঘটনার জন্য কুখ্যাত হয়ে উঠেছে। আমেরিকার সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী,বোয়িং-এর ১০৮ বছরের ইতিহাসে ৬০০০-টিরও বেশি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৯০০০-এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
১৬১.৩৬ বিলিয়ন ডলারের নেটওয়ার্বো য়িং কোম্পানির। এখন তারা দুর্ঘটনার জন্য কুখ্যাত হয়ে উঠেছে। আমেরিকার সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী,বোয়িং-এর ১০৮ বছরের ইতিহাসে ৬০০০-টিরও বেশি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৯০০০-এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
advertisement
5/9
বোয়িং বিমানের ৪৫০টিরও বেশি দুর্ঘটনা এমন যেখানে ২ জন থেকে শুরু করে ৫৮৩ জন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন। বোয়িং বিমানের নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত ত্রুটি আগে থেকেই আলোচনার বিষয় ছিল—কখনও বিমানের ব্যাটারিতে সমস্যা ধরা পড়েছে, আবার কখনও আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় দরজা খুলে যাওয়ার মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে।
বোয়িং বিমানের ৪৫০টিরও বেশি দুর্ঘটনা এমন যেখানে ২ জন থেকে শুরু করে ৫৮৩ জন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন। বোয়িং বিমানের নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত ত্রুটি আগে থেকেই আলোচনার বিষয় ছিল। কখনও বিমানের ব্যাটারিতে সমস্যা ধরা পড়েছে, আবার কখনও আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় দরজা খুলে যাওয়ার মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে।
advertisement
6/9
২০১৩ সালে বোয়িং ড্রিমলাইনারে ব্যাটারির সমস্যা দেখা দেয়।বোয়িং-এর লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ায় জাপানের দুটি বিমানে আগুন ধরে যায়।
এই ঘটনার পর, বোয়িং ড্রিমলাইনারকে তিন মাসের জন্য উড়ান নিষিদ্ধ করা হয়।

২০১৩ সালেই, লন্ডনের রানওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বোয়িং বিমানে আগুন ধরে যায়,
এবং এর কারণ হিসেবে শর্ট সার্কিট-কে দায়ী করা হয়।

২০২১ সালে তদন্তে দেখা যায় যে,
বোয়িং ড্রিমলাইনারের ১০০-র বেশি বিমানে বৈদ্যুতিক সিস্টেমে ত্রুটি রয়েছে।
এই ত্রুটির কারণে ওইসব বিমানকে গ্রাউন্ডেড, অর্থাৎ চলাচলের বাইরে রাখা হয়।
২০১৩ সালে বোয়িং ড্রিমলাইনারে ব্যাটারির সমস্যা দেখা দেয়। বোয়িং-এর লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ায় জাপানের দুটি বিমানে আগুন ধরে যায়। এই ঘটনার পর বোয়িং ড্রিমলাইনারকে তিন মাসের জন্য উড়ান নিষিদ্ধ করা হয়। ২০১৩ সালেই লন্ডনের রানওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বোয়িং বিমানে আগুন ধরে যায়, এর কারণ হিসেবে শর্ট সার্কিট-কে দায়ী করা হয়।২০২১ সালে তদন্তে দেখা যায় ,বোয়িং ড্রিমলাইনারের ১০০-র বেশি বিমানে বৈদ্যুতিক সিস্টেমে ত্রুটি রয়েছে। এই ত্রুটির কারণে ওইসব বিমানকে গ্রাউন্ডেড, অর্থাৎ চলাচলের বাইরে রাখা হয়।
advertisement
7/9
২০২৪ সালে সিডনি থেকে অকল্যান্ড যাওয়ার পথে একটি বোয়িং বিমান মাঝআকাশে কেঁপে উঠেছিল। ঠিক একই বছরে সান ফ্রান্সিসকো যাওয়া একটি বোয়িং বিমানের উইন্ডস্ক্রিন মাঝআকাশে ফেটে যায়। ২০২৪ সালেই আলাস্কা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে উড়ানের সময় বোয়িং বিমানের একটি দরজা ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় বোয়িংকে ১৬০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছিল। এতেই শেষ নয় —বোয়িং বিমানের বিরুদ্ধে আগুন লাগার সতর্কতা, উইন্ডস্ক্রিনে ফাটল,
এমনকী ল্যান্ডিং গিয়ার আটকে যাওয়ার মতো বহু অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
২০২৪ সালে সিডনি থেকে অকল্যান্ড যাওয়ার পথে একটি বোয়িং বিমান মাঝআকাশে কেঁপে উঠেছিল। ঠিক একই বছরে সান ফ্রান্সিসকো যাওয়া একটি বোয়িং বিমানের উইন্ডস্ক্রিন মাঝআকাশে ফেটে যায়। ২০২৪ সালেই আলাস্কা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে উড়ানের সময় বোয়িং বিমানের একটি দরজা ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় বোয়িংকে ১৬০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছিল। এতেই শেষ নয় — বোয়িং বিমানের বিরুদ্ধে আগুন লাগার সতর্কতা, উইন্ডস্ক্রিনে ফাটল, এমনকী ল্যান্ডিং গিয়ার আটকে যাওয়ার মতো বহু অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
advertisement
8/9
বোয়িং-এর এক ইঞ্জিনিয়ার জোশুয়া ডিন৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের নির্মাণজনিত ত্রুটি তুলে ধরেছিলেন।
এরপর তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
২০২৪ সালে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

২০১৯ সালে, বোয়িং-এর কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজার ডন বারনেট
৭৮৭ ড্রিমলাইনারে ত্রুটি থাকার কথা প্রকাশ্যে আনেন এবং
বোয়িং-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
কিন্তু ২০২৪ সালে তিনিও মারা যান।

বোয়িং-এর শুধু যাত্রীবাহী বিমানে নয়,
সামরিক (মিলিটারি) বিমানে‌ও ত্রুটি ধরা পড়েছে।

একাধিকবার অভিযোগ উঠলেও,
বোয়িং কোম্পানি একটার পর একটা অর্ডার পেতে থাকছে।
বোয়িং-এর এক ইঞ্জিনিয়ার জোশুয়া ডিন ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের নির্মাণজনিত ত্রুটি তুলে ধরেছিলেন। এর পর তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।২০২৪ সালে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ২০১৯ সালে, বোয়িং-এর কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজার ডন বারনেট ৭৮৭ ড্রিমলাইনারে ত্রুটি থাকার কথা প্রকাশ্যে আনেন এবংবোয়িং-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ২০২৪ সালে তিনিও মারা যান। বোয়িং-এর শুধু যাত্রীবাহী বিমানে নয়, সামরিক (মিলিটারি) বিমানে‌ও ত্রুটি ধরা পড়েছে। একাধিকবার অভিযোগ উঠলেও,বোয়িং কোম্পানি একটার পর একটা অর্ডার পায়।
advertisement
9/9
শুধু ভারতের কথা বললে, গত ১০ বছরে দুটি বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে— এবং দুটিতেই বোয়িং বিমানের সম্পৃক্ততা ছিল।

আগস্ট ২০২০ সালে কেরালার কোঝিকোড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং 737-8HG বিমান বিধ্বস্ত হয়,

আর ২০২৫ সালে আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং 787-8 ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনার শিকার হয়।

বোয়িং-এর বিমানে বারবার প্রশ্ন উঠলেও,
তাদের অর্ডারের সংখ্যায় কখনও কোনও ঘাটতি দেখা যায়নি।

২০২৫ সাল বোয়িং কোম্পানির জন্য সবচেয়ে লাভজনক বছর হয়েছে।
এই বছরে ৫১২টি বোয়িং বিমানের অর্ডার এসেছে,
যা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি এয়ারবাসের দ্বিগুণ।
শুধু ভারতের কথা বললে, গত ১০ বছরে দুটি বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে — এবং দুটিতেই বোয়িং বিমান ছিল। অগাস্ট ২০২০ সালে কেরালার কোঝিকোড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং 737-8HG বিমান বিধ্বস্ত হয়, আর ২০২৫ সালে আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং 787-8 ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনার শিকার হয়। বোয়িং-এর বিমানে বারবার প্রশ্ন উঠলেও, তাদের অর্ডারের সংখ্যায় কখনও কোনও ঘাটতি দেখা যায়নি। ২০২৫ সাল বোয়িং কোম্পানির জন্য সবচেয়ে লাভজনক বছর হয়েছে। এই বছরে ৫১২টি বোয়িং বিমানের অর্ডার এসেছে, যা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি এয়ারবাসের দ্বিগুণ।
advertisement
advertisement
advertisement