বিপদে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে? হনুমান চলিশা পাঠে নিশ্চিত শুভ ফল, জেনে নিন উপকারগুলি
স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্রে হনুমান চলিশা পাঠ করলে সব বিপদ কেটে যায়, এটি প্রমাণিত সত্য৷ কিন্তু আবারও বলছি, বিশ্বাস৷ অপার বিশ্বাস না-থাকলে হবে না৷ দেখে নেওয়া যাক হনুমান চলিশা উচ্চারণের উপকারিতাগুলি৷


সমস্যা জর্জরিত জীবন থেকে মুক্তির পথ খুঁজছেন? বিপদ এলে প্রথমেই যা দরকার, তা হল সঠিক সিদ্ধান্ত৷ কিন্তু দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে? ঠিক সেই সময়ই ত্রাতা হিসেবে আসেন ভগবান হনুমান৷ কিন্তু পুরোটাই নির্ভর করছে বিশ্বাসের উপর৷ মনপ্রাণ দিয়ে ভগবান হনুমানের উপর বিশ্বাস করলে ফল পাবেনই৷ বিশ্বাসেই তো মিলায়ে বস্তু! হনুমান চলিশা পাঠ করা যে কী পরিমাণ উপকারী, তা যারা ফল পেয়েছেন, তারাই জানেন৷ জীবনের সব সমস্যা দূর হয়ে যায় হনুমান চলিশা পাঠ করলে বা শুনলে৷


মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব কবি তুলসীদাসকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন, রামকে দেখাতে৷ তুলসীদাসকে বন্দি করে রেখেছিলেন ঔরঙ্গজেব৷ তুলসীদাস মুঘল সম্রাটকে বলেছিলেন, রামকে একমাত্র দেখতে পাবেন, যদি আপনি মনপ্রাণ দিয়ে তাঁকে স্মরণ করেন৷ এরপরেই তুলসীদাস জেলে বসেই লিখলেন হনুমান চলিশা৷


স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্রে হনুমান চলিশা পাঠ করলে সব বিপদ কেটে যায়, এটি প্রমাণিত সত্য৷ কিন্তু আবারও বলছি, বিশ্বাস৷ অপার বিশ্বাস না-থাকলে হবে না৷ দেখে নেওয়া যাক হনুমান চলিশা উচ্চারণের উপকারিতাগুলি৷


দুষ্ট, অতৃপ্ত আত্মা, নেতিবাচক বা নেগেটিভ এনার্জি দূর হয়ে যায় হনুমান চলিশা পাঠ করলে৷ জীবনে অপার শান্তি বিরাজ করে৷ শনির সাড়ে সাতি চলাকালীন অনেকেরই একের পর এক বিপদ আসতে থাকে৷ এ অবস্থায় আপনাকে বাঁচাতে পারে একমাত্র হনুমান চলিশাই৷ রোজ নিয়ম করে পাঠ করলে বা উচ্চারণ করলে সাড়ে সাতির প্রভাব থেকে মুক্তি মেলে৷


রাতে অনেকেরই দুঃস্বপ্নে ঘুম ভেঙে যায়৷ আসলে মনের গভীরে ভয় থেকেই এটা হয়৷ হনুমান চলিশা পাঠ করলে দুঃস্বপ্ন আসে না৷ বরং স্বপ্নে ঈশ্বর দর্শনও হতে পারে৷ অতীতের কোনও খারাপ স্মৃতি অনেককেই তাড়া করে বেড়ায়৷ এ ক্ষেত্রে মুক্তির উপায় হনুমান চলিশা পাঠ৷


কর্মফলের জেরে জীবনে একের পর এক দুঃখ, বিপদে অনেকেই ক্লান্ত৷ হনুমান চলিশা পাঠ করে এই বিপদ থেকে উদ্ধার হয়েছেন পৃথিবীর বহু মানুষ৷ দেখা গিয়েছে, যাঁরা প্রতিদিন নিয়ম করে পূর্ণ নিষ্ঠাভরে হনুমান চলিশা পাঠ করেন, তাঁরা যে কোনও বাধা বিপত্তি কাটিয়ে ওঠেন৷ জীবনে সফল হন৷