মিশরের পিরামিডকে সাক্ষী রেখে বিয়ে ! শিল্পপতি অঙ্কুর জৈন এবং এরিকা হ্যামন্ড ‘গ্র্যান্ড ওয়েডিং’-এর ছবি ভাইরাল
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Ankur Jain and Erika Hammond Wedding: বিয়ের মতোই মহাজাঁকজমকে পালিত হয়েছে এই তারকা জুটির প্রাক-বিবাহ উৎসব। যা রীতিমতো চর্চার শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে।
advertisement
বিয়ের মতোই মহাজাঁকজমকে পালিত হয়েছে এই তারকা জুটির প্রাক-বিবাহ উৎসব। যা রীতিমতো চর্চার শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে। দেখার মতো এই বিবাহের আসর শুরু হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায় তিন রাতব্যাপী সাফারির মাধ্যমে। সাফারি সেরে ওই জুটি উড়ে গিয়েছিলেন মিশরের উদ্দেশ্যে। সেখানে চার দিনের পার্টির আয়োজন করেছিলেন তাঁরা। উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১৩০ জন অতিথি।
advertisement
ওয়ার্ক আউট করতে গিয়েই এই জুটির প্রথম আলাপ। রাম্বল বক্সিংয়ে শারীরিক কসরত করতে যেতেন অঙ্কুর। সেখানেই আগে ফিটনেস ইনস্ট্রাক্টর ছিলেন এরিকা। অবশ্য এখন সেই রাম্বল বক্সিংয়ের মালিক অঙ্কুর-ঘরণী। এলাহি এই বিয়ের প্রসঙ্গে ৩৪ বছর বয়সী অঙ্কুর বলেন, “এরিকার সঙ্গে প্রথমে আমার মহাকাশে বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল।” বিয়েতে মিশরে উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন যে, “আমরা নিউ ইয়র্কার। আর তাই অন্যরকম এক বিশ্বের পরিবেশে থাকাটা একটু বিশেষই বটে! সেই কারণেই আমরা এই নতুন সূচনার মুহূর্ত উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর আমাদের বন্ধুদের জন্য একটা বিশেষ পার্টি সেখানে রেখেছি, যেখানে তাঁরা সম্পূর্ণ এক আলাদা দুনিয়ার স্বাদ পাবেন।”
advertisement
এই প্রসঙ্গ ধরে কনে এরিকা আবার বলেন, “এটা জীবনের অন্যতম সেরা একটা অভিজ্ঞতা।” এই হেভিওয়েট বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিনসেল টাউনের অন্যতম সেরা তারকারা। বলাই বাহুল্য যে, বেশ তারকাখচিত ছিল অতিথি তালিকা। যোগ দিয়েছিলেন ল্যান্স বেস ও মাইকেল তুরচিন, রবিন থেক ও এপ্রিল লাভ গিয়ারি, কেভিন ওলিয়েরি ও লিন্ডা ওলিয়েরি, ইনফ্লুয়েন্সার সেরেনা কেরিগ্যান, প্রাক্তন টেক্সাস গভর্নর রিক পেরি ও অনিতা পেরি, ব্রায়ান কেলি এবং বিশ্ববরেণ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও ব্যবসায়ীরা।
advertisement
বিয়েতে যোগ দেওয়া অতিথিদের জন্য ছিল দারুণ চমক। তাঁরা তারিয়ে তারিয়ে পিরামিড এবং স্ফিঙ্কসের সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছেন। সেই সঙ্গে গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়ামে আয়োজন করা হয়েছিল মেট গালার মতো থিমের ডিনারের। যদিও ঐতিহ্যবাহী পরম্পরাগত বিয়ের অনুষ্ঠানের পথে হাঁটেননি এই দম্পতি। বরং তাঁরা এক অন্য রকম ভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান করেছেন। যেখানে ছিল না কোনও ওয়েডিং কেক, ছিল না কোনও ব্রাইডাল পার্টি কিংবা ব্রাইডসমেডও।
advertisement
এই প্রসঙ্গে নবদম্পতি জানান যে, ক্লাসিক ওয়েডিংয়ের পরম্পরার তুলনায় তাঁরা বরং বিয়ের অভিজ্ঞতায় বেশি বিশ্বাসী। সব শেষে বিয়ের রাতের বর্ণনা দিয়ে অঙ্কুর জৈন বলেন, “আমরা সেরা সময় কাটিয়েছি। খুবই বিশেষ ছিল সেই সময়টা। আতসবাজির রোশনাই থামলে যেন একটা অদ্ভুত সুন্দর মুহূর্ত তৈরি হয়েছিল। আমি খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। এমনকী কথাই সরছিল না আমার মুখ থেকে।”