ব্যাভিচারের নানা সাজা নানা দেশে, তবে চিনে স্ত্রী নিজের হাতে ব্যভিচারী স্বামীকে হত্যা করতেও পারে

Last Updated:
এক সময়ে  প্রাচীন ভারতে একজন মানুষ অনেক বিয়ে করতে পারত। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বহু বিবাহ এখন অবৈধ।
1/9
#নয়াদিল্লি: ইন্দোনেশিয়ায়, সম্প্রতি কার্যকর হওয়া ব্যভিচার আইনের অনেক বিরোধিতা তৈরি হয়েছে, যেখানে বিবাহের বাইরে যৌন সম্পর্ককে অবৈধ এবং অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে৷ পাশাপাশি অবিবাহিত ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ ব্যতীত কোনও ধরণের যৌন সম্পর্কের অনুমতিও দেওয় হচ্ছে না। এই নতুন আইনের জেরে ইন্দোনেশিয়ায় ক্ষোভ -বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এর বিরুদ্ধে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে। আপনারা কি জানেন ভারতে এই পরিস্থিতিতে কী করা হয় বা প্রাচীনকালে কীভাবে ব্যভিচার অর্থাৎ অবৈধ যৌন সম্পর্ক দেখা হত বা কী শাস্তি দেওয়া হত৷
#নয়াদিল্লি: ইন্দোনেশিয়ায়, সম্প্রতি কার্যকর হওয়া ব্যভিচার আইনের অনেক বিরোধিতা তৈরি হয়েছে, যেখানে বিবাহের বাইরে যৌন সম্পর্ককে অবৈধ এবং অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে৷ পাশাপাশি অবিবাহিত ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ ব্যতীত কোনও ধরণের যৌন সম্পর্কের অনুমতিও দেওয় হচ্ছে না। এই নতুন আইনের জেরে ইন্দোনেশিয়ায় ক্ষোভ -বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এর বিরুদ্ধে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে। আপনারা কি জানেন ভারতে এই পরিস্থিতিতে কী করা হয় বা প্রাচীনকালে কীভাবে ব্যভিচার অর্থাৎ অবৈধ যৌন সম্পর্ক দেখা হত বা কী শাস্তি দেওয়া হত৷
advertisement
2/9
ইন্দোনেশিয়ায় নতুন নিয়ম লাগু হওয়ার পরে সারা  বিশ্বে ব্যভিচার নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত ভারতেও বিবাহের বাইরে যৌন সম্পর্ক করা অপরাধ ছিল, তবে এই ধরণের ব্যাভিচারের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র স্বামীকেই দোষী বলে গণ্য করা হত। এই আইনটি আইপিসির ৪৯৭ ধারার আওতায় পড়ত৷  কিন্তু সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে, সুপ্রিম কোর্ট এই আইনটি বাতিল করে দেয়। ভারতে  এখন  অবৈধ সম্পর্ক বলে কোনও  অপরাধ নেই, তবে ব্যাভিচারের কারণে এখনও বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হতে পারে। এখন জেনে নিন প্রাচীনকালে ব্যভিচারের ক্ষেত্রে  নিয়ম কি ছিল।
ইন্দোনেশিয়ায় নতুন নিয়ম লাগু হওয়ার পরে সারা  বিশ্বে ব্যভিচার নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত ভারতেও বিবাহের বাইরে যৌন সম্পর্ক করা অপরাধ ছিল, তবে এই ধরণের ব্যাভিচারের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র স্বামীকেই দোষী বলে গণ্য করা হত। এই আইনটি আইপিসির ৪৯৭ ধারার আওতায় পড়ত৷  কিন্তু সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে, সুপ্রিম কোর্ট এই আইনটি বাতিল করে দেয়। ভারতে  এখন  অবৈধ সম্পর্ক বলে কোনও  অপরাধ নেই, তবে ব্যাভিচারের কারণে এখনও বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হতে পারে। এখন জেনে নিন প্রাচীনকালে ব্যভিচারের ক্ষেত্রে  নিয়ম কি ছিল।
advertisement
3/9
প্রাচীনকালে, ইহুদিদের মধ্যে পুরুষদের অবিশ্বাসকে অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হত না। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে এটা অপরাধের আওতায় বিবেচিত হত৷  ধর্মীয় আইন অনুসারে, বিয়ের সময় একটি মেয়ের কুমারী হওয়া আবশ্যক ছিল, যেখানে পুরুষদের অন্য কারও স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু সময় বদলেছে এবং এখন উভয়ের জন্য একই আইন। ব্যভিচারের ক্ষেত্রে ইহুদি দম্পতি পারস্পরিক সম্মতিতে ডিভোর্স  করে দিতে পারে।
প্রাচীনকালে, ইহুদিদের মধ্যে পুরুষদের অবিশ্বাসকে অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হত না। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে এটা অপরাধের আওতায় বিবেচিত হত৷  ধর্মীয় আইন অনুসারে, বিয়ের সময় একটি মেয়ের কুমারী হওয়া আবশ্যক ছিল, যেখানে পুরুষদের অন্য কারও স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু সময় বদলেছে এবং এখন উভয়ের জন্য একই আইন। ব্যভিচারের ক্ষেত্রে ইহুদি দম্পতি পারস্পরিক সম্মতিতে ডিভোর্স  করে দিতে পারে।
advertisement
4/9
প্রাচীন গ্রীস ও রোমে পুরুষরা যৌনতার ব্যাপারে খুবই সক্রিয় ছিলেন। পুরুষরা অনেক স্ত্রী রাখতেন পাশাপাশি বিভিন্ন মহিলাদের সঙ্গে সম্পর্ক করেছিল। সেই যুগে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের মধ্যেই ব্যভিচার ছিল সাধারণ ঘটনা৷
প্রাচীন গ্রীস ও রোমে পুরুষরা যৌনতার ব্যাপারে খুবই সক্রিয় ছিলেন। পুরুষরা অনেক স্ত্রী রাখতেন পাশাপাশি বিভিন্ন মহিলাদের সঙ্গে সম্পর্ক করেছিল। সেই যুগে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের মধ্যেই ব্যভিচার ছিল সাধারণ ঘটনা৷
advertisement
5/9
১১ শতক পর্যন্ত খ্রিস্টান যাজকদের জন্য ব্রহ্মচর্য বাধ্যতামূলক ছিল না। গোড়ার দিকে খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতারা ইহুদিদের জন্য কঠোর যৌনবিধি প্রয়োগ করেছিলেন। পরবর্তীকালে অবশ্য ব্রহ্মচর্য আদর্শ বলে বিবেচিত হতে থাকে। ব্যভিচার পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্যই পাপ বলে ধরে নেওয়া হয়৷
১১ শতক পর্যন্ত খ্রিস্টান যাজকদের জন্য ব্রহ্মচর্য বাধ্যতামূলক ছিল না। গোড়ার দিকে খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতারা ইহুদিদের জন্য কঠোর যৌনবিধি প্রয়োগ করেছিলেন। পরবর্তীকালে অবশ্য ব্রহ্মচর্য আদর্শ বলে বিবেচিত হতে থাকে। ব্যভিচার পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্যই পাপ বলে ধরে নেওয়া হয়৷
advertisement
6/9
বর্তমান যুগে পশ্চিমের দেশগুলোতে ধর্মীয়ভাবে ব্যভিচারকে পাপ বা অপরাধ হিসেবে দেখা হয়। এখনও অনেক জায়গা আছে  যেখানে বহুবিবাহের প্রথা চালু আছে এবং অনেক স্ত্রীও রাখা হয়।  মরমন সম্প্রদায় রয়েছে যেখানে একজন পুরুষকে একাধিক স্ত্রী রাখার বা একাধিক বিবাহ করার অনুমতি দেওয়া হয়। তাঁদের নিজস্ব আলাদা গির্জা আছে। আফ্রিকা এবং হিমালয়ে এমন অনেক উপজাতি এবং শ্রেণী রয়েছে, যেখানে নারী একাধিক পুরুষকে বিয়ে করে।
বর্তমান যুগে পশ্চিমের দেশগুলোতে ধর্মীয়ভাবে ব্যভিচারকে পাপ বা অপরাধ হিসেবে দেখা হয়। এখনও অনেক জায়গা আছে  যেখানে বহুবিবাহের প্রথা চালু আছে এবং অনেক স্ত্রীও রাখা হয়।  মরমন সম্প্রদায় রয়েছে যেখানে একজন পুরুষকে একাধিক স্ত্রী রাখার বা একাধিক বিবাহ করার অনুমতি দেওয়া হয়। তাঁদের নিজস্ব আলাদা গির্জা আছে। আফ্রিকা এবং হিমালয়ে এমন অনেক উপজাতি এবং শ্রেণী রয়েছে, যেখানে নারী একাধিক পুরুষকে বিয়ে করে।
advertisement
7/9
ইসলাম ধর্মে ব্যভিচারকে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্যই অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে এবং ১০০  বেত্রাঘাতের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ইসলাম ধর্মগ্রন্থে এই কথা  স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, ব্যভিচারে দোষী ব্যক্তির শাস্তি একশত বেত্রাঘাত, তা সে বিবাহিত বা অবিবাহিত হোন বা পুরুষ কিম্বা নারী। (ছবির ক্রেডিট: pixabay.com)
ইসলাম ধর্মে ব্যভিচারকে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্যই অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে এবং ১০০  বেত্রাঘাতের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ইসলাম ধর্মগ্রন্থে এই কথা  স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, ব্যভিচারে দোষী ব্যক্তির শাস্তি একশত বেত্রাঘাত, তা সে বিবাহিত বা অবিবাহিত হোন বা পুরুষ কিম্বা নারী। (ছবির ক্রেডিট: pixabay.com)
advertisement
8/9
প্রাচীন চৈনিক আইন অনুসারে, যদি কোনও স্ত্রী তার স্বামীকে প্রতারণা করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন, তবে তিনি তাঁকে আইনত হত্যা করতে পারেন, অর্থাৎ  তিনি  নিজের হাতে করে তাঁর স্বামীকে হত্যা করতে পারেন। তবে কোনও  অস্ত্রের  ব্যবহার নিষিদ্ধ৷
প্রাচীন চৈনিক আইন অনুসারে, যদি কোনও স্ত্রী তার স্বামীকে প্রতারণা করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন, তবে তিনি তাঁকে আইনত হত্যা করতে পারেন, অর্থাৎ  তিনি  নিজের হাতে করে তাঁর স্বামীকে হত্যা করতে পারেন। তবে কোনও  অস্ত্রের  ব্যবহার নিষিদ্ধ৷
advertisement
9/9
ভারতের পৌরাণিক গ্রন্থে অবৈধ সম্পর্কের অনেক গল্প পাওয়া যাবে। যদিও হিন্দু ধর্ম অবৈধ সম্পর্কের অনুমতি দেয় না। বিবাহ একটি পবিত্র সম্পর্ক হিসাবে বিবেচিত হয়। কিন্তু এক সময়ে  প্রাচীন ভারতে একজন মানুষ অনেক বিয়ে করতে পারত। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বহু বিবাহ এখন অবৈধ। (ছবির ক্রেডিট: pixabay.com)
ভারতের পৌরাণিক গ্রন্থে অবৈধ সম্পর্কের অনেক গল্প পাওয়া যাবে। যদিও হিন্দু ধর্ম অবৈধ সম্পর্কের অনুমতি দেয় না। বিবাহ একটি পবিত্র সম্পর্ক হিসাবে বিবেচিত হয়। কিন্তু এক সময়ে  প্রাচীন ভারতে একজন মানুষ অনেক বিয়ে করতে পারত। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বহু বিবাহ এখন অবৈধ। (ছবির ক্রেডিট: pixabay.com)
advertisement
advertisement
advertisement