Ghee | Samosa | Indian Food: ঘি থেকে সিঙ্গাড়া, বিদেশে নিষিদ্ধ ভারতের এই ৭ জনপ্রিয় খাবার, কিন্তু কেন? সেটা কী জানেন..

টি টেবিলে এসে গিয়েছে বিকেলের চা৷ আর তার সঙ্গে টা হিসাবে গরম গরম সিঙ্গাড়া৷ প্রচণ্ড ডায়েট কনসাস হলেও ভারতীয়রা কিন্তু একটা গরম সিঙ্গাড়া খেয়েই নেয়৷ কিন্তু, জানেন কি, ভারতের এই অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবারই সোমালিয়ায় নিষিদ্ধ? সোমালিয়ার আল শাবাব গ্রুপের সদস্যেরা এই সিঙ্গাড়া মোটেই পছন্দ করেন না৷ সিঙ্গাড়ার ত্রিভূজ আকৃতি নিয়ে তাদের বেজায় সমস্যা৷

চ্যবনপ্রাশ৷ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বহু ভারতীয় বাড়িতেই এই চ্যবনপ্রাশ রাখা হয়৷ এই চ্যবনপ্রাশও কিন্তু একটি দেশে নিষিদ্ধ। ২০০৫ সালে চ্যবনপ্রাশ কানাডায় নিষিদ্ধ করা হয়৷ তাদের দাবি, চ্যবনপ্রাশে উচ্চ মাত্রার সীসা এবং পারদ রয়েছে।

গরম ভাতে একটুখানি ঘি৷ আর পাতের পাশে সমান্য নুন৷ এই দুটো জিনিস দিয়েই বাঙালিরা এক থালা ভাত সাবাড় করে দিতে পারে৷ তাছাড়া, ঘি দিয়ে রান্না করা হলে তাতে রান্নার স্বাদও বাড়ে৷ কিন্তু, আমেরিকায় ঘি নিষিদ্ধ৷ তাদের মতে, এটি খেলে উচ্চ রক্তচাপ এবং ওবেসিটির মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

বার্গার থেকে শুরু করে কেউ কেউ তাতে পিৎজার উপরেও কেচাপ দিয়ে খায়। শিশুদের কাছে কেচাপ বিষয়টা অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু, জেনে চমকে যাবেন যে, ফ্রান্সে কেচাপ নিষিদ্ধ৷ কারণ শিশু থেকে কিশোররা এটা অতিরিক্ত পরিমাণে খেতে শুরু করে দিয়েছিল।

স্টাইল হোক বা ব্যায়াম, চ্যুইংগাম আমাদের চারপাশের বহু লোকই খায়। কিন্তু, ১৯৯২ সালে সিঙ্গাপুরে চ্যুইংগাম নিষিদ্ধ করা হয়৷ তাদের কথায়, এটা চ্যাটচ্যাটে, যে কোনওজিনিসের সঙ্গে চট করে জড়িয়ে যায়।

আমিষপ্রিয় মানুষের কাছে কাবাবের গুরুত্ব কী, তা আর বলে বোঝানোর নয়৷ মধ্যপ্রাচ্যের এই খাবারটি ভারতেও খুব জনপ্রিয়৷ কিন্তু ২০১৭ সালে, ভেনিসে এটি নিষিদ্ধ করা হয়। শহরের ঐতিহ্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই এমনটি করা হয়েছিল বলে জানানো হয়েছিল তখন।

এবার আসি পোস্তর কথায়৷ যা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। ভারতে, পোস্ত রান্না থেকে শুরু করে শরবত সব জিনিসেই ব্যবহার করা হয়৷ তবে সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমীরাতের মতো দেশে এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ কারণ এতে মরফিন নামক মাদক উপাদান পাওয়া যায়। (সমস্ত ফটো ক্রেডিট- ক্যানভা)