Cyclone : ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়, ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু! ডুবে যায় কলকাতা, এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা বাংলায় আর হয়নি!

আজ থেকে ১৬০ বছর আগের সেই দুর্যোগ, সেদিন যা হয়েছিল শুনলে আপনার আজও আতঙ্কে বুক কেঁপে উঠতে পারে। বাংলার বুকে ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছিল সেদিন। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে সেদিন লন্ডভন্ড হয়েছিল বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। জলের তলায় ডুবে গিয়েছিল আজকের কলকাতা শহর।

ভয়ঙ্কর অবস্থা হয়েছিল সেদিন কলকাতার। বন্যা হয়েছিল কলকাতায়। একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়, সেই ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। এমনকী বন্যার জল নেমে যাওয়ার পরও বহু মানুষ সংক্রমণ ও রোগের জেরে প্রাণ হারান।

আমরা আজ কথা বলছি ১৮৬৪ সালের ৫ অক্টোবরের দুর্যোগ নিয়ে। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি তখন আমদানি ও রপ্তানির এক অন্যতম প্রধান কেন্দ্র ছিল। কিন্তু বরাবরই সামুদ্রিক ঝড়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে এই অঞ্চলকে। ওই দিনও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ঝড়ের তাণ্ডবে মারা যান প্রচুর সাধারণ মানুষ।

একাধিক সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল সেদিন। ঝড়ের দাপটে ৪০ ফিট পর্যন্ত জলের স্তর বেড়ে যায়। প্রায় ১০০টি পাকা বাড়ি ও হাজার হাজার মাটির বাড়ি সম্পূর্ণ মাটির সঙ্গে মিশে যায় সেদিন।

গোটা খেজুরি বন্দর সেদিনের সেই ঝড়ে সমুদ্রের গর্ভে তলিয়ে যায়। সরকারি নথি বলছে, ওই দিন একটি ডাকাতির মামলায় সাক্ষ্য দিতে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৩২ জনকে। রাস্তায় ঝড়ের তাণ্ডবের মুখে পড়েন তাঁরা। পরে দেখা যায়, ৩২ জনের মধ্যে কেবলমাত্র ২ জন জীবিত রয়েছেন।

ঝড়ের সময় প্রায় ৬০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল বলে জানা যায়। খেজুরি থেকে মাত্র 8 কিমি দূরে অবস্থিত কৌখালি গ্রামে সেদিন ১৩ ফুট উঁচু লাইট হাউজের সমান জল জমে যায়।

Bengal Administration Report 1864-65-তে বলা হয়েছে, সেদিনের ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রচুর মানুষ, গবাদি পশু খড়কুটোর মতো উড়ে যায়। রাত তিনটে থেকে ঝড় শুরু হয়েছিল।