Kalimpong Landslide Update : বৃষ্টির জেরে সেবক-রংপো রেল টানেলে ধস, মৃত্যু হল ঝাড়খণ্ডের দুই শ্রমিকের!
- Published by:Sanjukta Sarkar
Last Updated:
টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির জেরেই বিপত্তি। ঘটনাটি ঘটেছে সেবক ও রংপো (Sevak-Rangpo Rail Tunnel) সংযোগকারী রেল লাইনের ১০ নং টানেলে। টানা বৃষ্টির জেরেই টানেলে মাটি ধসে (Landslide)গিয়ে বিপত্তি হয় বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে প্রশাসন। ঘটনাস্থলেই ২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
advertisement
ই সময় টানেলে কাজে ছিল ৭ জন শ্রমিক। মাটি খোঁড়াখুড়ির কাজ চলছিল। আচমকা ধসে ২ শ্রমিকের মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন ইরকনের আধিকারীকেরা। পৌঁছন স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারাও। আহত ৫ শ্রমিককে নিয়ে আসা হয় কালিম্পং জেলা হাসপাতালে। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক ২ শ্রমিককে ভর্তি করা হয়েছে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারী হাসপাতালে। বাকি ৩ জনের চিকিৎসা চলছে কালিম্পং জেলা হাসপাতালে।
advertisement
এই প্রথম এই রেল লাইন পাতার কাজে দূর্ঘটনা ঘটলো বলে আধিকারীকেরা জানিয়েছেন। মৃত ২ শ্রমিক ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। তাদের নাম সাল্কু মূর্মূ এবং নরেশ সোরেন। আহতদের মধ্যে ৩ জন ঝাড়খণ্ড এবং ২ জন বিহারের বাসিন্দা। ২০০৯ সালের ১০ অক্টোবর সেবক ও রংপোর মধ্যে রেল লাইন চালুর শিলান্যাস হয়েছিল। সেবক স্টেশনের কাছে এর শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। পরদিন রংপোতেও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি, সিকিমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংও।
advertisement
সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত ৪৪ দশমিক ৯৮ কিলোমিটার রেল লাইনের দূরত্ব। এই রেলপথে ছোট, বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ মিলিয়ে ২২টি সেতু রয়েছে। টানেল রয়েছে ১৪টি। এর মধ্যে ১০ নং টানেলেই বিপত্তি ঘটেছে। ২০০৯ সালে প্রকল্পটির শিলান্যাস হলেও দীর্ঘ কয়েক বছর বন্ধ ছিল কাজ। কাজ শুরু করতে বাধা দেয় স্থানীয় বনবস্তীবাসীরা। চলে দীর্ঘ আইনি লড়াইও। পরে ২০১৫ সালে কাজ শুরুর পর ফের থমকে যায়। ২০১৭ সালে পাহাড়ে পৃথক রাজ্যের আন্দোলনের জেরে বন্ধ হয়ে যায় কাজ।
advertisement
advertisement