*এ দিন আগুন লাগার পরে কর্তব্যরত নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা সাহসিকতার সঙ্গে ৭ আক্রান্তকেই অন্য ওয়ার্ডে শিফট করে। বাইরে তখন আক্রান্তদের আত্মীয়দের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। চারপাশ ঢাকা পড়ে কালো ধোঁয়ায়। ওয়ার্ডের জানালার কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। বাইরে দ্রুত বের করে আনা হয় অক্সিজেন সিলিণ্ডার, বেড সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সামগ্রী।
*কীভাবে লাগল এই আগুন? এ নিয়ে এখোনো ধোঁয়াশায় মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ আগুন লাগে। কোভিড ব্লক ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়। শিলিগুড়ি থেকে দমকলের ২টি ইঞ্জিন ছুটে যায়। আধিকারীকদের প্রাথমিক অনুমান, অক্সিজেন সিলিণ্ডারের পাইপ লাইনে লিকেজ থেকেই আগুন লেগে যায়। আবার কারও অনুমান, ৬ নং বেডের অক্সিজেনের লাইন থেকেই শর্ট সার্কিট হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে মেডিকেক্যালের বিদ্যুৎ বিভাগ এবং বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়িররা। তাদের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
*হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার সঞ্জয় মল্লিক জানান, বায়ো মেডিকেল বিভাগের ইঞ্জিনিয়রদের রিপোর্ট পেলেই আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে কর্তব্যরত নার্সিং স্টাফ এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছেন। চিকিৎসাধীন ৭ আক্রান্তই সুস্থ রয়েছেন। ধোঁয়া বের হওয়ায় ঘরের মধ্যে গুমোট অবস্থার সৃষ্টি হয়। জানালার কাঁচ ভেঙে ধোঁয়া বের করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অন্য ওয়ার্ডেও পরিষেবা বহাল রয়েছে।
*প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অক্সিজেনের লাইন থেকেই এমনটা হয়েছে। মূহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও স্বাস্থ্য কর্মীদের চেষ্টায় অন্য ওয়ার্ডে তা ছড়িয়ে পড়েনি।তবে রোগীর আত্মীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কিন্তু কর্তব্যরত নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের তৎপরতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ তারা। আপাতত সিসিইউ ওয়ার্ড থেকে এইচডিইউতে তাদের চিকিৎসা চলছে। দ্রুত সিসিইউ ওয়ার্ড চালুর প্রক্রিয়া শুরু করেছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।