Darjeeling Disaster: উত্তরবঙ্গের প্রাকৃতিক বিপর্যয়, পুরোপুরি বন্ধ দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেন পরিষেবা, শতবর্ষের পদযাত্রা স্থগিত
- Reported by:Ricktik Bhattacharjee
- hyperlocal
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
Darjeeling Disaster: তিনধারিয়া থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত একাধিক স্থানে লাইনের নিচে মাটি সরে যাওয়ায় এবং ধস নামায় টয়ট্রেন চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। রবিবার ও সোমবার সকাল থেকে এনজেপি থেকে দার্জিলিং এবং দার্জিলিং থেকে এনজেপি পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
*দার্জিলিং, ঋত্বিক ভট্টাচার্য: উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভয়ংকর প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছে। পাহাড়ি অঞ্চলে অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও ধসের কারণে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ঐতিহ্যবাহী দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (টয়ট্রেন) পরিষেবাও ভোগান্তির মুখে পড়েছে।
advertisement
*রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনধারিয়া থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত একাধিক স্থানে লাইনের নিচে মাটি সরে যাওয়ায় এবং ধস নামায় টয়ট্রেন চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। রবিবার ও সোমবার সকাল থেকে এনজেপি থেকে দার্জিলিং এবং দার্জিলিং থেকে এনজেপি পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে আপাতত দার্জিলিং থেকে ঘুম এবং এনজেপি থেকে রংটং পর্যন্ত যাত্রা চালু রয়েছে।
advertisement
*কার্শিয়াংয়ের চার থেকে পাঁচটি স্থানে লাইনের উপর ধস নেমেছে, কোথাও আবার মাটি সরে যাওয়ায় লাইন ঝুলছে। স্থানীয় আধিকারিকরা অবিলম্বে ধসপ্রবণ এলাকায় পৌঁছে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন এবং নিরাপত্তার কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মেরামতের কাজ শুরু হলেও, কতদিন সময় লাগবে তা এখনও নির্ধারণ করা যায়নি।
advertisement
advertisement
*উত্তরবঙ্গের এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় শুধু মানুষের জীবন ও জীবিকাকেই নয়, প্রভাব ফেলেছে অঞ্চলের ঐতিহ্য ও পর্যটন ব্যবস্থার উপরও। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে—যা ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য—সেই পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হওয়ায় পর্যটন শিল্পে বড় ধাক্কা লেগেছে। শতবর্ষের ঐতিহাসিক পদযাত্রা স্থগিত হওয়ায় মনোবল ভেঙেছে বহু মানুষের। তবে প্রশাসন ও রেল কর্তৃপক্ষ দ্রুত মেরামতির কাজ শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে এলে আবারও শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে বাষ্প ইঞ্জিনের হুইসেল বেজে উঠবে—এই আশাতেই আপাতত অপেক্ষায় পাহাড়বাসী ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা।









