Elephant Attack: রাতের অন্ধকারে মরাঘাটে একপাল বুনো হাতির তাণ্ডব! লন্ডভন্ড গোটা এলাকা, বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা, দেখুন কী অবস্থা হয়েছে

Last Updated:
Jalpaiguri Elephant Attack: রাতের অন্ধকারে জলপাইগুড়ির বানারহাটে বুনো হাতির দলের হানা। দাঁতালদের তাণ্ডবে কার্যত লন্ডভন্ড গোটা এলাকা। রাতভর চিৎকার, আর পালানোর হুড়োহুড়ি। কোনমতে প্রাণে বেঁচেছেন এলাকাবাসী।
1/5
মাঝরাতে বাড়িতে হানা দিল কে? সারা বাড়িঘর লন্ডভন্ড। সঙ্গে উঠোন জুড়ে মলত্যাগ। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা আর প্রাণভয়ে আতঙ্কে কোনওরকমে রাত কাটল এখানকার বাসিন্দারা। কি হয়েছিল? গভীর নিশুতি রাতে দশটা বুনো হাতির তাণ্ডবে কার্যত লন্ডভন্ড গোটা এলাকা। জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের শালবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য শালবাড়ি প্রামাণিক পাড়ায় বুধবার গভীর রাতটা আতঙ্কে কেটেছে স্থানীয়দের। (ছবি ও তথ্য: সুরজিৎ দে)
মাঝরাতে বাড়িতে হানা দিল কে? সারা বাড়িঘর লন্ডভন্ড। সঙ্গে উঠোন জুড়ে মলত্যাগ। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা আর প্রাণভয়ে আতঙ্কে কোনওরকমে রাত কাটল এখানকার বাসিন্দারা। কি হয়েছিল? গভীর নিশুতি রাতে দশটা বুনো হাতির তাণ্ডবে কার্যত লন্ডভন্ড গোটা এলাকা। জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের শালবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য শালবাড়ি প্রামাণিক পাড়ায় বুধবার গভীর রাতটা আতঙ্কে কেটেছে স্থানীয়দের। (ছবি ও তথ্য: সুরজিৎ দে)
advertisement
2/5
মরাঘাট বনাঞ্চলের খট্টিমারির দিক থেকে হঠাৎই আট থেকে দশটি বুনো হাতির বিশাল দল ঢুকে পড়ে গ্রামে। রাতভর চলতে থাকে তাণ্ডব, চিৎকার, আর পালানোর হুড়োহুড়ি। সবচেয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখে পড়েন পিয়াসাল ওরাও এবং তাঁর স্ত্রী সাবন্তি ওরাও। ঘরের ভিতরে ছিলেন তাঁরা, ঠিক তখনই শুরু হয় হাতির আঘাত। ঘর ভেঙে পড়তে শুরু করে, চারদিকে বিশৃঙ্খলা।
মরাঘাট বনাঞ্চলের খট্টিমারির দিক থেকে হঠাৎই আট থেকে দশটি বুনো হাতির বিশাল দল ঢুকে পড়ে গ্রামে। রাতভর চলতে থাকে তাণ্ডব, চিৎকার, আর পালানোর হুড়োহুড়ি। সবচেয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখে পড়েন পিয়াসাল ওরাও এবং তাঁর স্ত্রী সাবন্তি ওরাও। ঘরের ভিতরে ছিলেন তাঁরা, ঠিক তখনই শুরু হয় হাতির আঘাত। ঘর ভেঙে পড়তে শুরু করে, চারদিকে বিশৃঙ্খলা।
advertisement
3/5
কোনওমতে প্রাণ বাঁচাতে ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যান সাবন্তি। কিন্তু পিয়াসাল আটকা পড়েন ভিতরে। শেষ আশায় শোয়ার চৌকির নিচে লুকিয়ে পড়েন তিনি। এর মধ্যেই চারটি ছোট হাতি ঢুকে পড়ে ঘরের ভিতরে। আসবাবপত্র, দেওয়াল - কিছুই রেহাই পায়নি। তবুও কাকতালীয়ভাবে প্রাণে বেঁচে যান পিয়াসাল। তাণ্ডব শেষে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে দু’জনের চোখেই ছিল আতঙ্কের ছাপ।
কোনওমতে প্রাণ বাঁচাতে ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যান সাবন্তি। কিন্তু পিয়াসাল আটকা পড়েন ভিতরে। শেষ আশায় শোয়ার চৌকির নিচে লুকিয়ে পড়েন তিনি। এর মধ্যেই চারটি ছোট হাতি ঢুকে পড়ে ঘরের ভিতরে। আসবাবপত্র, দেওয়াল - কিছুই রেহাই পায়নি। তবুও কাকতালীয়ভাবে প্রাণে বেঁচে যান পিয়াসাল। তাণ্ডব শেষে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে দু’জনের চোখেই ছিল আতঙ্কের ছাপ।
advertisement
4/5
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ডলাইফ স্কোয়ার্ডের বনকর্মীরা। দীর্ঘ সময় চেষ্টা চালিয়ে হাতির দলকে জঙ্গলের দিকে ঠেলে ফেরানো হয়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা নির্মল রায়।
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ডলাইফ স্কোয়ার্ডের বনকর্মীরা। দীর্ঘ সময় চেষ্টা চালিয়ে হাতির দলকে জঙ্গলের দিকে ঠেলে ফেরানো হয়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা নির্মল রায়।
advertisement
5/5
তিনি জানান, “এমন দুর্দিনে পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। বন দফতরের সঙ্গেও কথা বলে যথাযথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।” হাতির হানা উত্তরবঙ্গের গ্রামাঞ্চলে নিত্যদিনের আশঙ্কা। তবে মাঝরাতের এই ঘটনায় আবারও পরিষ্কার, মানুষ–পশুর সংঘাত দিন দিন কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠছে। (ছবি ও তথ্য: সুরজিৎ দে) 
তিনি জানান, “এমন দুর্দিনে পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। বন দফতরের সঙ্গেও কথা বলে যথাযথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।” হাতির হানা উত্তরবঙ্গের গ্রামাঞ্চলে নিত্যদিনের আশঙ্কা। তবে মাঝরাতের এই ঘটনায় আবারও পরিষ্কার, মানুষ–পশুর সংঘাত দিন দিন কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠছে। (ছবি ও তথ্য: সুরজিৎ দে)
advertisement
advertisement
advertisement