Durga Puja Theme : শিলিগুড়ি জুড়ে এবার দুর্গোৎসবের থিমে নতুনত্বের ছটা! দর্শনার্থীদের জন্য রইল এক ঝলকে সব ক্লাবের থিমের তালিকা
- Published by:Pooja Basu
- hyperlocal
- Reported by:Ricktik Bhattacharjee
Last Updated:
সব মিলিয়ে এবারের শিলিগুড়ি দুর্গোৎসব ২০২৫ শুধু আধ্যাত্মিক উৎসব নয়, শিল্প, ইতিহাস, সমাজ ও কল্পনার মেলবন্ধনে পরিণত হয়েছে এক বিশাল সাংস্কৃতিক মহোৎসবে।
শিলিগুড়ি, ঋত্বিক ভট্টাচার্য : শিলিগুড়ি মানেই এখন দুর্গাপুজোর অন্যতম আকর্ষণকেন্দ্র। কলকাতার ধারা অনুসরণ করে শহরের প্রায় প্রতিটি পুজো উদ্যোক্তাই থিম-ভিত্তিক প্যান্ডেল ও প্রতিমা সাজসজ্জায় জোর দিয়েছেন। এবারের শিলিগুড়ি দুর্গোৎসব ২০২৫-এ অংশ নিচ্ছে প্রায় অর্ধশতাধিক ক্লাব, প্রত্যেকেরই নিজস্ব অভিনব ভাবনা।
advertisement
শহরের একাধিক বড় ক্লাব এবার ফিরেছে মূলের সন্ধানে। সেন্ট্রাল কলোনির ৬৩তম বর্ষের থিম “মাটির টানে” গ্রামীণ আবহকে মণ্ডপে নিয়ে আসছে। সুব্রত সংঘের ৬৮তম বর্ষে থাকছে “প্রকৃতি”— যেখানে মণ্ডপ ও প্রতিমা প্রকৃতির উপাদানকে কেন্দ্র করে সাজানো হবে। সুভাষ স্পোর্টিং ক্লাবর “সবুজের কোলে ত্রিনয়নী” থিম পরিবেশ ও সবুজের গুরুত্বকে তুলে ধরছে। সূর্য শিখা সমিতি আবার মণ্ডপ সাজাচ্ছে পুরোপুরি “বাঁশের শিল্পকলা” দিয়ে।ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য
advertisement
শহরের একাধিক পুজো কমিটি ভারতীয় স্থাপত্য ও ধর্মীয় ঐতিহ্যকে কেন্দ্র করে থিম সাজাচ্ছে। জাতীয় শক্তি সংঘ পাঠাগারের “বৃন্দাবনের চন্দ্রোদয় মন্দির”, ইয়ং ম্যানস অ্যাসোসিয়েশনের “রামেশ্বরম মন্দির”, শরৎচন্দ্র বোস দুর্গাপূজা কমিটির “শ্রী কেদারনাথ মন্দির”, জনশ্রী ক্লাবের “দীঘার জগন্নাথ মন্দির” এবং বিপ্লবী গণেশ ঘোষ কলোনির “মায়াপুরের ইসকন মন্দির” দর্শকদের ভার্চুয়াল ভ্রমণের স্বাদ দেবে।ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য
advertisement
এবারের পুজোয় বড় জায়গা করে নিয়েছে সামাজিক বার্তা। রামকৃষ্ণ ব্যায়াম শিক্ষা সমিতি তাদের ৭৭তম বর্ষে উপস্থাপন করছে “মোবাইল আসক্তি, শৈশবের উপর প্রভাব”— যা আধুনিক সমাজের এক গভীর সমস্যা। নবোদয় সংঘ তাদের সুবর্ণজয়ন্তীতে (৫০তম বর্ষ) করছে “আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে”, যা বাংলার চিরন্তন চাওয়া। বিবাদী সংঘর থিম “নারী জীবন” নারীশক্তির সম্মানকে সামনে আনছে।ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য
advertisement
শিশু থেকে বড় সবার জন্যই এক অন্য জগৎ তৈরি করছে কয়েকটি পুজো কমিটি। উজ্জ্বল সংঘ তাদের ৭২তম বর্ষে আনছে “ডিজনিল্যান্ড”, যা আনন্দ-রঙে ভরিয়ে তুলবে। একই থিম নিচ্ছে জনকল্যাণ সংঘও। স্বস্তিকা যুবক সংঘ তাদের ৬৮তম বর্ষে আনছে বিশাল চমক— ৫১ ফুট উচ্চতার মা দুর্গা, যা উত্তরবঙ্গের পুজো ইতিহাসে প্রথম।ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য
advertisement
অন্যদিকে অনেক ক্লাব দর্শকদের নিয়ে যেতে চাইছে অতীতে। শিলিগুড়ি সুকান্ত স্পোটিং ইউনিয়ন ক্লাবের থিম “স্বর্ণযুগের গান, রেডিও ছিল প্রাণ” এক পুরোনো দিনের আবেগকে ফিরিয়ে আনবে। চিত্তরঞ্জন অ্যাথলেটিক ক্লাব সাজাচ্ছে “পুরনো সেই দিনের কথা”।ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য
advertisement
কিছু থিম আবার ভিন্ন মাত্রা আনছে। তরুণ তীর্থ ক্লাবের “মায়ান সভ্যতা” দর্শকদের নিয়ে যাবে লাতিন আমেরিকার রহস্যময় ইতিহাসে। অগ্রণী সংঘের “পদ্মের দেশে ঝিনুক মালা”, সূর্যনগর ফ্রেন্ডস ইউনিয়নের “ত্রিমাত্রিক” কিংবা ক্ষনিক সংঘর “শরতের কানন” হবে শিল্পীদের সৃজনশীলতার প্রতিচ্ছবি।ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য
advertisement
দর্শকরা ইতিমধ্যেই উত্তেজিত। কারও মতে, “শিলিগুড়ির পুজো এখন আর কলকাতার চেয়ে কম নয়। এখানে প্রতিটি মণ্ডপ একেকটা গল্প।” আবার অনেকে বলছেন, “থিমপুজোর কারণে এখন পুজো মানেই শুধু ভক্তি নয়, একটা সাংস্কৃতিক ভ্রমণও।”ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য
advertisement