Siliguri: আধুনিকতার ছায়াতে নিভে যাচ্ছে 'আলো'! ধুঁকছে শিলিগুড়ির ঐতিহ্যবাহী শিল্প, হঠাৎ কমল ডিমান্ড, মুখ ফিরিয়েছে গ্রাহক, 'ভিলেন' কে জানেন?

Last Updated:
Candle Business: আধুনিকতার ছোঁয়ায় ঝুঁকছে শিলিগুড়ির মোমবাতি শিল্প। একসময় শিলিগুড়িতে ৩০ থেকে ৪০টি মোমবাতির কারখানা ছিল। কিন্তু সেই ব্যবসা গ্রাস করেছে আধুনিক টুনি বাল্ব, ইলেকট্রিক প্রদীপ। বন্ধ হয়ে গিয়েছে একের পর এক কারখানা। টিকে আছে হাতেগোনা কয়েকটি।
1/7
একটা সময় ছিল, কালীপুজো মানেই মোমবাতির আলোয় ঝলমল করত প্রতিটি ঘর। ছোট-বড় সবাই মিলে ঘর সাজাতে ব্যস্ত থাকত রঙিন মোমবাতি দিয়ে। সেই আলোয় যেমন উজ্জ্বল হতো শহরের রাত, তেমনই উজ্জ্বল থাকত মোমবাতি কারিগরদের মুখের হাসি। কিন্তু এখন আর আগের মতো নেই সেই দৃশ্য। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে একসময় শিলিগুড়ির গর্বের ঐতিহ্য - মোমবাতি শিল্প। (ছবি ও তথ্য: ঋত্বিক ভট্টাচার্য)
একটা সময় ছিল, কালীপুজো মানেই মোমবাতির আলোয় ঝলমল করত প্রতিটি ঘর। ছোট-বড় সবাই মিলে ঘর সাজাতে ব্যস্ত থাকত রঙিন মোমবাতি দিয়ে। সেই আলোয় যেমন উজ্জ্বল হতো শহরের রাত, তেমনই উজ্জ্বল থাকত মোমবাতি কারিগরদের মুখের হাসি। কিন্তু এখন আর আগের মতো নেই সেই দৃশ্য। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে একসময় শিলিগুড়ির গর্বের ঐতিহ্য - মোমবাতি শিল্প। (ছবি ও তথ্য: ঋত্বিক ভট্টাচার্য)
advertisement
2/7
শহরের নরেশ মোড় সংলগ্ন এক গলিতে এখনও টিকে আছে সেই হারিয়ে যাওয়া দিনের একমাত্র সাক্ষী। অসিত পালের ছোট্ট কারখানা। ৩৫ বছর ধরে নিজের বাড়িতেই এই কারখানা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আগে যেখানে ৩০-৪০ জন কারিগর একসঙ্গে কাজ করতেন, এখন সেখানে মাত্র তিনজন কর্মী কোনোমতে ধরে রেখেছেন এই শিল্পকে।
শহরের নরেশ মোড় সংলগ্ন এক গলিতে এখনও টিকে আছে সেই হারিয়ে যাওয়া দিনের একমাত্র সাক্ষী। অসিত পালের ছোট্ট কারখানা। ৩৫ বছর ধরে নিজের বাড়িতেই এই কারখানা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আগে যেখানে ৩০-৪০ জন কারিগর একসঙ্গে কাজ করতেন, এখন সেখানে মাত্র তিনজন কর্মী কোনোমতে ধরে রেখেছেন এই শিল্পকে।
advertisement
3/7
অসিতবাবুর কথায়, 'এখন কেউ আর এই কাজে আসতে চায় না। লাভ নেই বললেই চলে। বছরের দশ মাস কোন কাজ থাকে না। কালীপুজোর আগে দু’এক মাস একটু অর্ডার পাই, সেই ভরসাতেই টিকে আছি'।
অসিতবাবুর কথায়, 'এখন কেউ আর এই কাজে আসতে চায় না। লাভ নেই বললেই চলে। বছরের দশ মাস কোন কাজ থাকে না। কালীপুজোর আগে দু’এক মাস একটু অর্ডার পাই, সেই ভরসাতেই টিকে আছি'।
advertisement
4/7
কিন্তু তাতেও সহজ নয় লড়াই। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখন তিনি নিজে কাজ করতে পারেন না, কারিগর দিয়ে কাজ করাতে হয়। অথচ দক্ষ কারিগর পাওয়াই এখন মুশকিল। পাহাড় বা আশপাশের অঞ্চল থেকেও আগের মতো অর্ডার আসে না।
কিন্তু তাতেও সহজ নয় লড়াই। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখন তিনি নিজে কাজ করতে পারেন না, কারিগর দিয়ে কাজ করাতে হয়। অথচ দক্ষ কারিগর পাওয়াই এখন মুশকিল। পাহাড় বা আশপাশের অঞ্চল থেকেও আগের মতো অর্ডার আসে না।
advertisement
5/7
অসিতবাবুর সঙ্গে কাজ করা প্রবীণ কারিগর সুভাষ সরকার বলেন, '৩০ বছর ধরে এই কাজ করছি। এটা ছাড়া আর কিছু জানি না। কিন্তু এখন তাতে আর লাভ নেই, তবু চালিয়ে যাচ্ছি অভ্যেসে'। অন্যদিকে কারিগর সান্তনা রায় জানান, 'দিনের শেষে যা মেলে, তাতে সংসার চালানো দুষ্কর। তবু হাতের কাজটা ছাড়তে পারি না'।
অসিতবাবুর সঙ্গে কাজ করা প্রবীণ কারিগর সুভাষ সরকার বলেন, '৩০ বছর ধরে এই কাজ করছি। এটা ছাড়া আর কিছু জানি না। কিন্তু এখন তাতে আর লাভ নেই, তবু চালিয়ে যাচ্ছি অভ্যেসে'। অন্যদিকে কারিগর সান্তনা রায় জানান, 'দিনের শেষে যা মেলে, তাতে সংসার চালানো দুষ্কর। তবু হাতের কাজটা ছাড়তে পারি না'।
advertisement
6/7
একসময় শিলিগুড়িতে ৩০ থেকে ৪০টি মোমবাতির কারখানা ছিল। উৎসবের মরশুমে ব্যস্ততা লেগে থাকত দিনরাত। এখন সেই সংখ্যা নেমে এসেছে হাতে গোনা কয়েকটিতে। বাজার ভরে গিয়েছে রংবেরঙের টুনি বাল্ব, ইলেকট্রিক প্রদীপ আর আলোকসজ্জার আধুনিক সামগ্রীতে। মানুষও তাই ঝুঁকেছেন সহজ, ঝলমলে বিকল্পের দিকে।
একসময় শিলিগুড়িতে ৩০ থেকে ৪০টি মোমবাতির কারখানা ছিল। উৎসবের মরশুমে ব্যস্ততা লেগে থাকত দিনরাত। এখন সেই সংখ্যা নেমে এসেছে হাতে গোনা কয়েকটিতে। বাজার ভরে গিয়েছে রংবেরঙের টুনি বাল্ব, ইলেকট্রিক প্রদীপ আর আলোকসজ্জার আধুনিক সামগ্রীতে। মানুষও তাই ঝুঁকেছেন সহজ, ঝলমলে বিকল্পের দিকে।
advertisement
7/7
আর এই আধুনিকতার ছায়াতেই নিভে যাচ্ছে একসময়ের আলো - মোমবাতি কারিগরদের শিল্প আর জীবনযুদ্ধের দীপশিখা।(ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য)
আর এই আধুনিকতার ছায়াতেই নিভে যাচ্ছে একসময়ের আলো - মোমবাতি কারিগরদের শিল্প আর জীবনযুদ্ধের দীপশিখা।(ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য)
advertisement
advertisement
advertisement