বিদেশ যাওয়ার আনন্দে আত্মহারা যুবক পৌঁছলেন এয়ারপোর্টে, পাসপোর্ট দেখাতেই শোরগোল...! আঠালো ওটা কী লেগে?
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
Passport: কাউন্টারে ইমিগ্রেশন অফিসারদের তীক্ষ্ণ নজরদারি, নিরাপত্তার কড়াকড়ি—সবকিছুই যেন এক নিখুঁত ছন্দে চলে। কিন্তু এ দিন সব হিসেব পাল্টে গেল!
ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতিদিন হাজারো যাত্রী আসা-যাওয়া করে। কাউন্টারে ইমিগ্রেশন অফিসারদের তীক্ষ্ণ নজরদারি, নিরাপত্তার কড়াকড়ি—সবকিছুই যেন এক নিখুঁত ছন্দে চলে। কিন্তু এ দিন সব হিসেব পাল্টে গেল!
advertisement
যাত্রীর মুখে তখনও নির্ভার হাসি, কিন্তু অফিসারের কড়া দৃষ্টি যেন তার আনন্দকে ধীরে ধীরে মুছে দিচ্ছে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বদলে গেল দৃশ্যপট—অ্যালার্ম বাজল না, তবে চোখের ইশারাতেই সক্রিয় হল নিরাপত্তারক্ষীরা। শুরু হল জেরা, আর তার পরেই যা জানা গেল, তাতে কেঁপে উঠল গোটা বিমানবন্দর!
advertisement
এক তরুণ উচ্ছ্বাস নিয়ে পাসপোর্ট দেখান, বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন চোখে। কিন্তু অফিসারের চোখ আটকে গেল ছোট্ট এক অস্বাভাবিকতায়—পাসপোর্টের একটি পাতায় আঠালো দাগ! মুহূর্তের মধ্যেই বদলে গেল সবকিছু। অফিসাররা একে অপরের দিকে তাকালেন, চাপা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ল চারপাশে।
advertisement
আসলে, ২৩ বছরের কনওয়ালজিৎ সিং বিদেশ যাওয়ার আনন্দে দিল্লির IGI বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন। উড়ানে ওঠার আগেই ইমিগ্রেশন অফিসারের কাছে তাঁর পাসপোর্ট জমা দেন চেকিংয়ের জন্য। তখনই এক অফিসারের সন্দেহ হয়।
advertisement
এরপর কনওয়ালজিৎকে আটকে রেখে নজরদারিতে রাখা হয়। তদন্তে প্রমাণ মেলে, সত্যিই পাসপোর্টের সেই পাতায় আঠা ছিল। এর মাধ্যমে গ্রিসের জাল ভিসার স্টিকার মুছে ফেলা হয়েছিল।
advertisement
তৎক্ষণাৎ তাঁকে হেফাজতে নিয়ে IGI বিমানবন্দর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়।
advertisement
জেরার মুখে কনওয়ালজিৎ স্বীকার করেন যে, তাঁর আত্মীয়দের উৎসাহেই তিনি বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। এরপর তিনি তাঁর এক আত্মীয়ের মাধ্যমে রাহুল নামে এক এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রাহুল তাঁকে ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে গ্রিসের ভিসা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে সেই ভিসা ছিল ভুয়ো।
advertisement
এ কথা জানার পর রাহুল কনওয়ালজিৎকে আশ্বাস দেন যে, তিনি চাইলে প্রথমে ব্যাঙ্কক যেতে পারেন, সেখান থেকে নতুন ভিসার ব্যবস্থা করা হবে। এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে কনওয়ালজিৎ টাকা দেন ও থাইল্যান্ডের একটি টিকিট সংগ্রহ করেন। রাহুলের পরামর্শেই তিনি পাসপোর্ট থেকে ভুয়ো গ্রিসের ভিসাযুক্ত পাতাটি সরিয়ে ফেলেন, যা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকিংয়ে ধরা পড়ে।
advertisement
কনওয়ালজিৎ সিংয়ের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে এজেন্ট রাহুল অরোরা ও গুরশান্ত সিংকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরপাড়ার সঞ্জীব কুমারের নাম। তদন্তকারী দল সঞ্জীবকে ধরতে অভিযান চালালেও প্রথমে তিনি পুলিশের চোখ এড়িয়ে যান। চার মাসের দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর, পুলিশের কাছে তাঁর অবস্থান সংক্রান্ত গোপন খবর আসে। এরপর দিল্লি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
advertisement