এলোপাথাড়ি বৃষ্টি...তার মাঝেই বারবার বাজছিল একটা বাঁশি! উত্তরকাশীর বিপর্যয়ের মাঝে কী করছিলেন ওই ব্যক্তি?
- Published by:Soumendu Chakraborty
Last Updated:
শুধু তা-ই নয়, কাদার ধসের তলায় চাপা পড়েছে বাড়ি, এমনকী হোটেলও। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভয়ঙ্কর মুহূর্তের ভিডিও। যা দেখে ভয় ধরেছে নেটিজেনদের মনেও।
আচমকাই প্রবল বৃষ্টিতে তছনছ হয়ে পড়েছে উত্তরকাশী। হুড়মুড়িয়ে আসা হড়পা বানে চোখের নিমেষে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। ভেসে গিয়েছেন বহু মানুষও। শুধু তা-ই নয়, কাদার ধসের তলায় চাপা পড়েছে বাড়ি, এমনকী হোটেলও। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভয়ঙ্কর মুহূর্তের ভিডিও। যা দেখে ভয় ধরেছে নেটিজেনদের মনেও।
advertisement
এ দিকে ওই ভাইরাল ভিডিওগুলি ভাল করে দেখলে বোঝা যাবে যে, ওই বিপর্যয় যখন দৈত্যের মতো ধেয়ে আসছে, সেই সময় ওই এলাকার বাসিন্দারা চিৎকার-চেঁচামেচি করার পরিবর্তে জোরে জোরে বাঁশি বাজাতে শুরু করেছিলেন। ক্যামেরাবন্দি এই দৃশ্য কিন্তু নেটাগরিকদের মনে এক কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। এর কারণটা ঠিক কী। আসলে জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে মানুষ চিৎকার করার পরিবর্তে বাঁশি বাজিয়ে থাকেন। কারণ চিৎকারের তুলনায় বাঁশির আওয়াজ তীক্ষ্ণ প্রকৃতির হয়। যা দ্রুত সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।
advertisement
বাঁশি সতর্কতার সঙ্কেত দেয়:উত্তরাখণ্ডের বহু গ্রামীণ এলাকায় বাঁশি বা হুইসেল বাজানো কিন্তু বিনোদনের আওতায় পড়ে না। বরং তা বহু বছর ধরে চলে আসা জরুরিকালীন অবস্থার সিগন্যাল দেওয়ার একটা পন্থাও বটে! আসলে মোবাইল নেটওয়ার্ক, লাউডস্পিকার অথবা কোনও ফর্ম্যাল ওয়ার্নিং সিস্টেম আসার বহু আগে থেকেই জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে বাঁশি বাজিয়ে সতর্ক করাটাই ছিল অন্যতম প্রধান পন্থা।
advertisement
advertisement
চিৎকারের পরিবর্তে বাঁশি কেন?উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি এলাকায় চিৎকার করলে তা প্রতিধ্বনিত হয়ে অনেক দূর পর্যন্ত পৌঁছে যায়। ফলে মানুষের চিৎকারকে অনেক সময়ই কোনও গোলমাল বা ঝামেলা ভেবে বসেন অনেকেই। অন্যদিকে বাঁশির আওয়াজ স্পষ্ট এবং তীক্ষ্ণ। যা শুনে সহজেই বোঝা যায়। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, বাঁশির আওয়াজ কেবলমাত্র মানুষকেই নয়, পশুপাখিদেরও সতর্ক করে দিতে পারে।
advertisement
advertisement