What is CAA: দেশে চালু সিএএ! কী এই সিএএ? কী হবে CAA কার্যকর হলে? বিশদে জানুন
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
What is CAA: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি নেতারা বারবার বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ কার্যকর করা হবে।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
এই সিএএ কাদের জন্য কার্যকর হবে? ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্য এই নাগরকিত্ব সংশোধনী আইন। ওই তিন দেশ বা অন্য কোনও দেশ থেকে আসা মুসলিম-সহ অন্য কোনও বিদেশি শরণার্থীদের জন্য CAA লাগু হবে না।
advertisement
ওই তিন দেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের কীভাবে সুবিধা হবে সিএএ থেকে? পাসপোর্ট বা ভিসার মতো নথি না থাকলেও ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যাবে। সিএএ-র মাধ্য়মে এই শরণার্থীরা এমন সুযোগ পাবেন। দ্বিতীয়ত, ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য তাঁদের আবেদনের রাস্তা আরও মসৃণ হবে। এদেশে বসবাসের ন্যূনতম সময় ১+১১ বছরের পরিবর্তে ১+৫ বছর হবে।
advertisement
এই দেশগুলি থেকে এদেশে এসে অবৈধ ভাবে বসবাস করা মুসলিমদের কি বিতাড়িত করা হবে? একেবারেই কিন্তু না। কোনও নাগরিকের বিতাড়নের সঙ্গে সিএএ-র কোনও সম্পর্ক নেই। ১৯৪৬-এর বিদেশি আইন ও ১৯২০-র পাসপোর্ট আইন অনুযায়ী এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। বিদেশি নাগরিকদের ভারতে প্রবেশ এবং প্রস্থান সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত এই দুই আইনের ভিত্তিতেই নেওয়া হয়। কোনও ব্যক্তির ধর্ম বা দেশের ভিত্তিতে নয়। ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী যে কোনও বিদেশির জন্যই এই দুই আইন প্রযোজ্য।
advertisement
advertisement
সিএএ-র কারণে ধীরে ধীরে ভারতীয় নাগরিকত্ব হারাবেন মুসলিমরা? সিএএ কোনও ভারতীয় নাগরিকের উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না। সব ভারতীয় নাগরিকরাই তাদের সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার পাবেন। কোনও ভারতীয় নাগরিককে তার নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করবে না সিএএ। বরং, তিন পড়শি দেশের নির্দিষ্ট পরিস্থিতির শিকার বিশেষ বিদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় নাগরিকত্বের সুযোগ করে দেবে এই আইন।
advertisement
সিএএ-র পর এনআরসি হবে এবং মুসলিম বাদে সব শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এবং মুসলিমদের কি ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে? এনআরসি-র সঙ্গে সিএএ-র কোনও সম্পর্ক নেই। ২০০৪ সালের ডিসেম্বর থেকেই ১৯৫৫-এর নাগরিকত্ব আইনের সঙ্গে আইনত সংযুক্ত এনআরসি। এবং ২০০৩ সালের কিছু নির্দিষ্ট নিয়মের ভিত্তিতেই এই আইন কার্যকরী সম্ভব। ভারতীয় নাগরিকদের রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি এবং জাতীয় পরিচয় পত্র সম্পর্কিত বিষয়ের সঙ্গে তা জড়িত। বিগত ১৫-১৬ বছর ধরে এই আইন রয়েছে। সিএএ আলাদা করে এতে কোনও পরিবর্তন আনেনি।