শুরু হয়েছে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ সমীক্ষা! কোন কোন নথি থাকলে ভোটার হিসাবে SIR-এ আপনি নিরাপদ? জেনে নিন বিস্তারিত

Last Updated:
মোট ১১টি নথি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে দেশের নির্বাচন কমিশন। বিভিন্ন রাজ্যেও এসআইআর হলেও নথির সংখ্যা একই থাকবে বলেই মনে করছেন নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা। কোন কোন সেই নথি?
1/11
বিহারে ইতিমধ্যেই ৫২ লক্ষ মানুষের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে আসলে তলে তলে NRC হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা। সেই নিয়ে সংসদে বিক্ষোভেও শামিল হয়েছেন বিরোধীরা। কিন্তু এই SIR আসলে কী? কোন কোন নথি না থাকলে পড়বেন বিপাকে? জানুন বিশদে।
একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্বাচন কমিশন সংশোধিত তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে একটি সমীক্ষা করে। একে নিবিড় সমীক্ষা বলা হয়।
advertisement
2/11
সম্প্রতি একটি নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি ঘোষণা করল  Election Commission of India (ECI)। এর আওতায় মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে গ্রাহকদের ভোটার আইডেন্টিটি কার্ড (EPIC) ডেলিভারি করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর অর্থ হল, এখন থেকে মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই ভোটার আইডি কার্ড পেয়ে যাবেন গ্রাহকরা।
শেষবার এই সমীক্ষা হয়েছিল ২০০২ সাল থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে। শেষবার বিহারেও এই সমীক্ষা হয়েছিল ২০০৩ সালে। এই তালিকা থেকে মূলত কারা মৃত, কারা কারা অন্য কোথাও চলে গিয়েছে বা কারা ভুয়ো সেই বিষয়ে সমীক্ষা করবে কমিশন।
advertisement
3/11
বিএলওরা ঘরে ঘরে গিয়ে এই ফর্মটি ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেবেন। ভোটাররা এটি পূরণ করে নথিপত্রের সঙ্গে বিএলও-কে ফেরত দেবেন। ভোটাররা নির্বাচন বিভাগের ওয়েবসাইটে অনলাইনেও এই ফর্মটি আপলোড করতে পারবেন। এক্ষেত্রে নিয়মগুলি কী কী?
এরপরেই সেই বিষয়ে সমীক্ষা করে সংশোধিত তালিকা তৈরি করবে নির্বাচন কমিশন।বিহারে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জুন মাসে। প্রথম ধাপে ৫২ লক্ষ ভোটারদের তালিকা নাম বাদ পড়েছে। নির্বাচন কমিশন বিহারের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করবে আগামী ১ অগস্ট।
advertisement
4/11
Special Intensive Revision বা SIR আসলে কী? এই বছরই বিহারে হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই ভোটার তালিকার এই বিশেষ নিবিড় ও পুঙ্খানুপূর্ণ সংশোধন (SIR) শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন ভোটারদের ঘরে ঘরে সার্ভে পরিচালনা করবে।
সংশোধিত তালিকার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বিহারে। ওই রাজ্যে মোট ১১টি নথি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে দেশের নির্বাচন কমিশন। বিভিন্ন রাজ্যেও এসআইআর হলেও নথির সংখ্যা একই থাকবে বলেই মনে করছেন নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা। কোন কোন সেই নথি?
advertisement
5/11
সত্যি বলতে কী, এক কথায় এর উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। একেক পরিবারের সদস্যসংখ্যা একেকরকম, এক পরিবারের উপার্জন অন্য পরিবারের তুলনায় আলাদা, সবচেয়ে বড় বিষয় এই যে এক পরিবারের ব্যয়ভারও অন্য পরিবারের চেয়ে আলাদা। অতএব, যে জীবন বিমা পলিসি একটি পরিবার বা একক ব্যক্তিকে সুরক্ষা প্রদান করবে, তা অপরের জন্য ততটা সহায়ক প্রমাণিত নাও হতে পারে। এই নিয়ে পলিসি এজেন্টের সঙ্গে বিশদে আলোচনা করে নেওয়াই উচিত হবে। তবে, ভারতীয় জীবন বিমা কর্পোরেশনের (LIC) কিছু স্কিম বেতনভোগী শ্রেণীর জন্য খুবই উপকারী প্রমাণিত হচ্ছে দীর্ঘ কাল ধরে। এই প্ল্যানগুলো কেবল সাশ্রয়ীই নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে সুরক্ষা এবং বোনাসের মতো অনেক সুবিধাও প্রদান করে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক যে এই LIC পলিসিগুলোর সুবিধা এবং সেগুলো কী কী!
১ আপনার নামে ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগের কোনও সরকারি (কেন্দ্র বা রাজ্যের) ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস বা এলআইসির নথি গ্রহণযোগ্য হবে।২ আপনি কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারি কর্মচারী বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মী হলেও আপনার সেই পরিচয় গ্রাহ্য হবে।
advertisement
6/11
এই নতুন পদ্ধতি পাসপোর্ট তৈরির জটিলতা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে যারা কর্মব্যস্ত বা দূরে থাকেন, তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী। এভাবেই আরও অনেক সাধারণ পরিষেবাকে বাড়ির দরজায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।
৩ জন্মের শংসাপত্র গ্রহণ হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।৪ বৈধ পাসপোর্ট গ্রহণযোগ্য হবে জানিয়েছে কমিশন।
advertisement
7/11
 ৫ কোনও বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা শংসাপত্র যেখানে জন্মের নাম এবং তারিখের উল্লেখ রয়েছে। ৬ সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্থায়ী বসবাসকারীর শংসাপত্র
৫ কোনও বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা শংসাপত্র যেখানে জন্মের নাম এবং তারিখের উল্লেখ রয়েছে। ৬ সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্থায়ী বসবাসকারীর শংসাপত্র
advertisement
8/11
 ৭ তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত শংসাপত্রও গ্রহণযোগ্য হবে।<br />৮ জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা (এনআরসি) তালিকায় নাম থাকলে
৭ তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত শংসাপত্রও গ্রহণযোগ্য হবে।৮ জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা (এনআরসি) তালিকায় নাম থাকলে
advertisement
9/11
 ৯ বনাঞ্চলে অধিকারের শংসাপত্র<br />১০ রাজ্য সরকারের বা স্থানীয় প্রশাসনের তৈরি করা পারিবারিক 'রেজিস্টার'।
৯ বনাঞ্চলে অধিকারের শংসাপত্র১০ রাজ্য সরকারের বা স্থানীয় প্রশাসনের তৈরি করা পারিবারিক 'রেজিস্টার'।
advertisement
10/11
আধার অ্যাপের প্রযুক্তি। এই অ্যাপটিতে সংযোজন করা হয়েছে ফেস আইডি অথেন্টিকেশন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)। পাশাপাশি রয়েছে কিউআর কোড ভিত্তিক তাৎক্ষণিক যাচাইকরণ সুবিধা।
এসআইআর নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলাতেই গত ১৭ জুলাই শীর্ষ আদালত নির্বাচন কমিশন এসআইআর প্রক্রিয়ায় আধার, ভোটার আইডি এবং রেশন কার্ডকে নথি হিসাবে বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু, মঙ্গলবার কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয় তালিকার ক্ষেত্রে এই নথিগুলি গ্রহণযোগ্য নয়।কমিশনের যুক্তি, আধার পরিচয়পত্র মাত্র। অন্যদিকে, ভোটার আইডিও চূড়ান্ত পরিচয়পত্র নয়।
advertisement
11/11
উপযুক্ত যাচাইয়ের পর ভোটার তালিকা আপডেট করা হবে। প্রায় ২২ বছর পর বিহারে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন করা হচ্ছে। শেষবার এই কাজটি করা হয়েছিল ২০০৩ সালে। এমন পরিস্থিতিতে ভোটারদের মনে প্রশ্ন হল নির্বাচন কমিশনকে তাদের কী কী নথিপত্র দেখাতে হবে?
প্রত্যেককেই নথি জমা দিতে হবে?এইক্ষেত্রে জানানো হয়েছে প্রত্যেকে নথি জমা দিতে হবে না। বিহারে শেষবার ২০০৩ সালে এসআইআর হয়েছিল, তার ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছিল ভোটার তালিকা। কমিশন জানিয়েছে, বিহারের ক্ষেত্রে ২০০৩ সালে জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় যাদের নাম ছিল, তাঁদের নাম থাকবে। পশ্চিমবঙ্গে এই প্রক্রিয়া শেষবার হয়েছিল ২০০২ সালে। অতএব ২০০২ সালের তালিকাকেই নির্ভুল হিসাবে ধরবে নির্বাচন কমিশন।
advertisement
advertisement
advertisement