Meerut Murder Case: দামি পোশাক পরা থেকে নতুন মোবাইল কেনা, জলের মতন টাকা খরচ করত মুসকান! অন্যদিকে মেয়ের ওষুধের টাকা জোগাতে হিমশিম খেত সৌরভ, মেরঠ মামলায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

Last Updated:
1/7
মেরঠের সৌরভ রাজপুত হত্যা মামলা ক্রমশই জটিল দিকে রূপ নিচ্ছে। শেষ খবর অনুসারে সৌরভের স্ত্রী মুসকান রস্তোগি এবং মুসকানের প্রেমিক সাহিল শুক্লা এখন মেরঠ জেলে রয়েছেন। নিয়ম অনুসারে দু’জনকে আলাদা ব্যারাকে রাখা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে দু’জনেরই আচরণ প্রায় একই রকম!
স্বপ্ন ছিল অভিনেত্রী হওয়ার আর সেই জন্য একবার মুম্বইও চলে গিয়েছিল সৌরভ হত্যায় অন্যতম অভিযুক্ত মুসকান রাস্তোগি। আর এই মুম্বই যাওয়া নিয়েই স্বামী সৌরভ রাজপুতের সঙ্গে শুরু হয় ঝগড়া।
advertisement
2/7
মুুসকান ও সৌরভ৷
ধীরে ধীরে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে, বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করতে যান মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ। উত্তরপ্রদেশের মেরঠে সৌরভ রাজপুত হত্যা মামলায় খুনের সম্ভাব্য কারণ তবে কি স্বামী-স্ত্রীর গন্ডগোল? প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ইঙ্গিতই সেদিকেই। অন্যদিকে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে আরও বেশ কিছু বিষয়। যা শুনলে মাথা ঘুরে যাবে সাধারণ মানুষের।
advertisement
3/7
খুনের পর সৌরভের দেহ ১৫ টুকরো করা হয়।
পুলিশ জানতে পেরেছে, যথেচ্ছহারে টাকা খরচ করত মুসকান । দামি পোশাক কেনা থেকে বড় রেস্তরাঁয় দামি খাবার খাওয়া কিংবা নতুন নতুন মোবাইল বা প্রসাধনী কেনার শখ ছিল মুসকানের। অন্য দিকে স্বামীর আর্থিক অবস্থা কিংবা মেয়ের শারীরিক অবস্থা নিয়ে কোনওদিনই মাথা ঘামায়নি সে। এমনটাই জানাচ্ছেন তরুণীর বন্ধুবান্ধবেরাও। নিজের ইচ্ছা এবং স্বপ্নপূরণের জন্য স্বামীকে খুন করতে পিছপা হয়নি মুসকান।
advertisement
4/7
 গত ৪ মার্চ মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভকে ১৫ টুকরো করেছিল স্ত্রী মুসকান। এরপরে প্রেমিক সাহিলকে ডেকে এনে দেহের টুকরোগুলো নীল রঙের একটি ড্রামে ভরে উপরে ঢেলে দিয়েছিল সিমেন্ট।
গত ৪ মার্চ মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভকে ১৫ টুকরো করেছিল স্ত্রী মুসকান। এরপরে প্রেমিক সাহিলকে ডেকে এনে দেহের টুকরোগুলো নীল রঙের একটি ড্রামে ভরে উপরে ঢেলে দিয়েছিল সিমেন্ট।
advertisement
5/7
মার্চেন্ট নেভি অফিসারকে খুন করল তাঁর স্ত্রী এবং প্রেমিক৷
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন মুসকান। ক্রমেই স্বামী-সন্তানকে দূরে ঠেলছিল সে। আর ওই সময়ে তাঁর কাছাকাছি চলে আসে তাঁরই ছোটবেলার বন্ধু সাহিল শুক্ল। সন্তান হওয়ার পরে স্কুলের বন্ধুর সঙ্গে চুটিয়ে মেলামেশা শুরু করে মুসকান। দুজনেই মাদকাসক্ত ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এছাড়াও দুজনের পরকীয়ার মাঝে বারবার বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল সৌরভ। তাই তাঁকে একেবারে 'শেষ' করে দেওয়ার ফন্দি আঁটে মুসকান।
advertisement
6/7
জেলের দিনগুলি: গত ১৯ মার্চ শারীরিক পরীক্ষার পর মুসকান এবং সাহিলকে জেলে ঢোকানো হয়। তার আগে অবশ্য তাদের উপর চড়াও হয়েছিলেন আইনজীবীরা। যার জেরে বেশ নড়েচড়ে গিয়েছিল দু’জনেই। এরপর তাদের একসঙ্গে রাখা হোক, এমন আর্জিও জানিয়েছিল দু’জন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেই আবেদনে কর্ণপাত করেননি। ওই দিন খাবার ছুঁয়েও দেখেনি মুসকান। অস্থির ভাবে গোটা রাতটাই কাটিয়েছিল সে। তবে অন্যদিকে সাহিল অবশ্য ডাল-রুটি খেয়ে দিব্যি গভীর ঘুম দিয়েছিল।
সৌরভকে ছেড়ে সাহিলের সঙ্গে থাকতে চেয়েছিল মুসকান। দু’জনে একসঙ্গে মুম্বই পাড়ি দেওয়ার কথা । তাঁর স্বপ্নপূরণে স্বামীকে কাঁটা হিসাবে দেখতে শুরু করেন মুস্কান। প্রেম করে যাঁকে বিয়ে, তাঁকেই খুন করার জন্য নানা ছক করতে থাকে মুসকান। সৌরভের এক বন্ধুর কথায়, ‘‘মেয়ে পিহুর প্রতি মুসকানের টান ছিল না। ও কেবল নিজের কথাই ভাবত। নিজের তৈরি জগতে সুখী ছিল। ছবি তুলতে ভালবাসত। সেগুলো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করতে পছন্দ করত। ভাল পোশাক, ভাল খাবার এবং নতুন নতুন মোবাইল কেনা ছিল মুসকানের পছন্দের তালিকায়।’’
advertisement
7/7
নিউজ 18-এর সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে জেল সুপার বীরেশ রাজ শর্মা বলেন, প্রতিটি ব্যারাকে একটি করে টিভি লাগানো আছে। মাঝে মাঝে টিভি চালু থাকে। এর ফলে, সাহিল এবং মুসকানও জেলে বসে বসে টিভি দেখছেন। সুপারিনটেনডেন্ট জানান, মুসকান এবং সাহিল উভয়েই তাঁদের হয়ে মামলা লড়ার জন্য একজন সরকারি আইনজীবীর দাবি করেছেন।
ওই বন্ধুর আরও দাবি, সৌরভদের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল ছিল। তবে মুসকানের খরচের ফলে বেশ কয়েক বার আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়েছে সৌরভকে। এক সময় তাঁদের মেয়ের ওষুধ কেনার টাকাও ফুরিয়ে যায়। তাতেও হুঁশ ফেরেনি মুসকানের!
advertisement
advertisement
advertisement