এই বিজ্ঞানী কলকাতায় বসে দুই মহামারী থেকে বাঁচিয়েছিলেন দেশকে, তাঁকে আজ ভুলতেই বসেছে দেশ

Last Updated:
এর আগেও ভারত একের পর মহামারীর মুখে পড়েছে। কিন্তু লড়াই করে উঠে দাঁড়িয়েছে দেশ। কিন্তু সেই আজকের করোনা যোদ্ধাদের মতো এমন অনেক যোদ্ধারা এসেছেন, যাঁদের হাত ধরে রক্ষা পেয়েছে কলকাতার সমাজ।
1/5
• তেমনই একজন জন্মসূত্রে ইউক্রেনের নাগরিক এম হফকিন। বিখ্যাত গবেষক লুই পাস্তুরের সঙ্গে কাজ করতে করতেই তিনি সাক্ষাৎ পান তৎকালীন ভারতের ভাইসরয় ফ্রেডরিক হ্যামিলটন ডাফরিনের। ডাফরিন ১৮৯৩ সালে ভারতে হওয়া মারণ কলেরার কথা বলেন। সেই চিকিৎসার স্বার্থেই মার্চ মাসে কলকাতায় আসেন হফকিন। মানুষ তাঁকে গ্রহণ করতে চায়নি।
• তেমনই একজন জন্মসূত্রে ইউক্রেনের নাগরিক এম হফকিন। বিখ্যাত গবেষক লুই পাস্তুরের সঙ্গে কাজ করতে করতেই তিনি সাক্ষাৎ পান তৎকালীন ভারতের ভাইসরয় ফ্রেডরিক হ্যামিলটন ডাফরিনের। ডাফরিন ১৮৯৩ সালে ভারতে হওয়া মারণ কলেরার কথা বলেন। সেই চিকিৎসার স্বার্থেই মার্চ মাসে কলকাতায় আসেন হফকিন। মানুষ তাঁকে গ্রহণ করতে চায়নি।
advertisement
2/5
• প্যারিসে যে কলেরা হয়েছিল, তাঁর থেকে ভারতের কলেরার চরিত্র ছিল অনেকটা আলাদা। তাই সেই প্রতিষেধক এখানে কাজ করার কথা ছিল না। তাই বাংলায় একটি আলাদা গবেষণাগার তৈরি করেছিলেন হফকিন। তারপর সেখান থেকেই প্রতিষেধক তৈরি করে রাজ্যের মানুষকে বাঁচিয়েছিলেন তিনি।
• প্যারিসে যে কলেরা হয়েছিল, তাঁর থেকে ভারতের কলেরার চরিত্র ছিল অনেকটা আলাদা। তাই সেই প্রতিষেধক এখানে কাজ করার কথা ছিল না। তাই বাংলায় একটি আলাদা গবেষণাগার তৈরি করেছিলেন হফকিন। তারপর সেখান থেকেই প্রতিষেধক তৈরি করে রাজ্যের মানুষকে বাঁচিয়েছিলেন তিনি।
advertisement
3/5
• তারপর তাঁর ডাক পড়ল ভারতীয় সেনায়। আগ্রায় পৌঁছে তারপর প্রায় দশ হাজার ভারতীয় সেনাকে কলেরার প্রতিষেধক দিলেন তিনি। এবং সেই সময়ে ওষুধ সফল হল। স্বাভাবিকভাবে তাঁর প্রতিষেধকের চাহিদা বাড়তে লাগলো দেশ জুড়ে। কলকাতায় ফের কলেরা ফিরলে তিনি আবার এলেন রোগ আটকাতে। গেলেন অসমের চা বাগানেও।
• তারপর তাঁর ডাক পড়ল ভারতীয় সেনায়। আগ্রায় পৌঁছে তারপর প্রায় দশ হাজার ভারতীয় সেনাকে কলেরার প্রতিষেধক দিলেন তিনি। এবং সেই সময়ে ওষুধ সফল হল। স্বাভাবিকভাবে তাঁর প্রতিষেধকের চাহিদা বাড়তে লাগলো দেশ জুড়ে। কলকাতায় ফের কলেরা ফিরলে তিনি আবার এলেন রোগ আটকাতে। গেলেন অসমের চা বাগানেও।
advertisement
4/5
• সারা দেশে প্রায় ৪২ হাজার মানুষের ওপর এই কলেরার প্রতিষেধক এককথায় পরীক্ষা করা হয়ে গিয়েছিল। এমন হিউম্যান ট্রায়াল আগে, পরে, কোনওদিনই হয়নি। এর পর প্রতিষেধকটিকে আরও উন্নততর অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাই জীবনে একবার প্রতিষেধক নিলেই আর কলেরা হত না।
• সারা দেশে প্রায় ৪২ হাজার মানুষের ওপর এই কলেরার প্রতিষেধক এককথায় পরীক্ষা করা হয়ে গিয়েছিল। এমন হিউম্যান ট্রায়াল আগে, পরে, কোনওদিনই হয়নি। এর পর প্রতিষেধকটিকে আরও উন্নততর অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাই জীবনে একবার প্রতিষেধক নিলেই আর কলেরা হত না।
advertisement
5/5
• কিন্তু কলেরা সেরে যাওয়ার পরে দেশে শুরু হল প্লেগ। হফকিন প্লেগের প্রতিষেধক বানাতে শুরু করলেন। তাঁকে মুম্বই আনা হল। তিনি সেখানেই গবেষণা করলেন। ১৮৯৬ সালে, মাত্র তিনমাসের মধ্যে তিনি প্রতিষেধক তৈরি করে সফল পরীক্ষা করে দেখালেন একটি খরগোশের শরীরে। এবং অবিশ্বাস্য বিষয়, এই টিকা তিনি মানুষের শরীরে দেওয়ার আগে প্রথমে নিজের শরীরে প্রয়োগ করেছিলেন। তারপর বায়কুল্লা জেলের বন্দিদের শরীরে এটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। যা সাফল্য পায়। পরে অবশ্য দাবি করা হয়, সাফল্যের পরিমাণ ৫০ শতাংশ।
• কিন্তু কলেরা সেরে যাওয়ার পরে দেশে শুরু হল প্লেগ। হফকিন প্লেগের প্রতিষেধক বানাতে শুরু করলেন। তাঁকে মুম্বই আনা হল। তিনি সেখানেই গবেষণা করলেন। ১৮৯৬ সালে, মাত্র তিনমাসের মধ্যে তিনি প্রতিষেধক তৈরি করে সফল পরীক্ষা করে দেখালেন একটি খরগোশের শরীরে। এবং অবিশ্বাস্য বিষয়, এই টিকা তিনি মানুষের শরীরে দেওয়ার আগে প্রথমে নিজের শরীরে প্রয়োগ করেছিলেন। তারপর বায়কুল্লা জেলের বন্দিদের শরীরে এটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। যা সাফল্য পায়। পরে অবশ্য দাবি করা হয়, সাফল্যের পরিমাণ ৫০ শতাংশ।
advertisement
advertisement
advertisement