Glacial lake: ‘টাইম বোমা’, পাহাড়ে ফুঁসছে হিমবাহী হ্রদ, অন্য রাজ্যের সঙ্গেও পশ্চিমবঙ্গেরও চরম বিপদ, দেখুন
- Published by:Uddalak B
- news18 bangla
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Glacial lake: গ্লেসিয়ার বা হিমবাহের চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য। দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা এর রূপ উপভোগ করতে আসেন। হিমালয় অঞ্চলে এই ধরনের প্রচুর হিমবাহী হ্রদ রয়েছে।
কোনও জায়গায় ভূমিকম্প হলে আশেপাশের এলাকায় তার প্রভাব পড়ে। এটা শুধু ভূমিকম্পের ‘আফটার শক’ নয়। পরিবেশগত নানা সমস্যা দেখা দেয়। যেমন ৩ অক্টোবর নেপালে প্রচণ্ড ভূমিকম্প হয়। ঠিক তার পরদিন সিকিমে বন্যা। তিস্তা নদী ফুলেফেঁপে উঠে ভাসিয়ে দেয় দু’পাশ। খড়কুটোর মতো ভেঙে পড়ে বাঁধ, ব্রিজ। এমনকী উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকাও ভেসে যায়। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
এটাই প্রকৃতির চলন। তবে ইদানীং এই নিয়ে চর্চা হচ্ছে। ভূমিকম্প এবং বন্যার মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে পরিবেশের আরও একটা দিক নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে কথা হলেও কেউই খুব একটা গুরুত্ব দেন না। সেটা হল হিমালয় অঞ্চলের হিমবাহী হ্রদ। যে কোনও দুর্ঘটনা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে এই হ্রদ ফেটে যেতে পারে। আর একবার ফেটে গেলে শুরু হবে ধ্বংসযজ্ঞ। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
গ্লেসিয়ার বা হিমবাহের চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য। দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা এর রূপ উপভোগ করতে আসেন। হিমালয় অঞ্চলে এই ধরনের প্রচুর হিমবাহী হ্রদ রয়েছে। একসময় এগুলো হিমবাহ ছিল। কিন্তু বরফ গলতে গলতে এখন হ্রদের আকার নিয়েছে। বিজ্ঞানীরা এই হিমবাহী হ্রদগুলোকে ‘টাইমবোমা’ আখ্যা দিয়েছেন। যে কোনও সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। আসলে পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ছে। হিমবাহের বরফ গলছে। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
তাণ্ডব চালাতে পারে: হিমবাহের বরফ ক্রমাগত গলে যাওয়ার ফলে যে কোনও সময় ‘দেওয়াল’ ভেঙে যেতে পারে। তেমনটা হলে বিধ্বংসী বন্যা। হিমালয়ের হিমবাহী হ্রদের সংখ্যা এবং তারা কতটা ক্ষতি করতে পারে তার বিভিন্ন পরিসংখ্যান রয়েছে। ডাউন টু আর্থ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত, চিন ও নেপালের হিমালয় অঞ্চলে প্রায় ৩৯টি হিমবাহী হ্রদ রয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এই সব হ্রদের জল ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
advertisement
এর আগেও এই নিয়ে একাধিক গবেষণা হয়েছে। কেউই আশার আলো দেখাতে পারেনি। ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্যাটেলাইট ডেটা থেকে দেখা যাচ্ছে, হিমালয়ের হিমবাহের হ্রদগুলি ভারত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শিয়রে টাইমবোমার মতো। ১৯৬২ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত স্যাটেলাইট ডেটা দেখাচ্ছে, সিকিমের ৭ হাজার মিটার উচ্চতায় অবস্থিত দক্ষিণ লোনক হিমবাহ সবচেয়ে বড় হুমকি। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
হিমবাহী হ্রদগুলির কিছু স্বতন্ত্র্য বৈশিষ্ট রয়েছে। গ্লেসিয়ারের সামনে অনেকটা জল থাকে। সেটাই আসলে হ্রদ। হ্রদে জল বাড়লে তা চারপাশের মাটি এবং পাথরের উপর চাপ সৃষ্টি করে। ফলে মাটি আলগা হয়। এর কারণে বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। ভূমিধ্বস নামতে পারে। যার ফলে আকস্মিক বন্যা। টের পাওয়ার আগেই সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে চলে যাবে। সিকিমে যেমনটা হল। লেকের ঠিক নিচেই ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
হিমবাহী হ্রদের জল সবচেয়ে বেশি বেড়েছে অরুণাচলপ্রদেশে। তবে সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমের পরিস্থিতি কম উদ্বেগজনক নয়। অরুণাচলে ২০০৯ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে হ্রদের জল ৭২ শতাংশ থেকে ৯৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। উত্তর-পূর্বের সমস্ত এলাকাতেই ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গেছে। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হল, ২০২০ সালের অক্টোবরে হিমালয়ে মোট ১৩৬টি হিমবাহ ছিল, যার ক্ষেত্রফল মাত্র ২০ শতাংশই বেড়েছে। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
advertisement
গ্লোবাল ওয়ার্মিং সবচেয়ে বড় সমস্যা। তার জন্যেই এত কিছু। পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ছে। বরফ গলছে। শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বেই এই সমস্যা। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও গ্লেসিয়ারের বরফ গলতে শুরু করেছে। পৃথিবীর উষ্ণতা কমানো সহজ কাজ নয়। সময়সাপেক্ষও। কিন্তু তাই বলে তো আর দুর্ঘটনার জন্য বসে থাকা যায় না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমন ব্যবস্থা করতে যাতে হ্রদের জল কমে, এতে আশপাশের জমির উপর চাপ কমবে। দুর্ঘটনার সম্ভাবনা হ্রাস পাবে। কীভাবে জল কমবে? সেই উত্তর এখনও অজানা। (প্রতীকী ছবি)