Extramarital Affair: দেওরের সঙ্গে বাঁধ ভাঙা প্রেম, নিজের স্বামীকে হত্যা করার চরম প্ল্যান

#সাতনা: সাতনা জেলার বনাঞ্চলে বীরহপুরবা গ্রামে একেবারে নাটকীয় ঘটনা সামনে এসেছে৷ বৌদি-দেওরের অবৈধ প্রেমের সম্পর্কের জেরে খুন হয়ে গেল মহিলার স্বামী৷ দুই অবৈধ প্রেমিক-প্রেমিকাই প্ল্যান করে এই হত্যাকাণ্ড করেছে৷ পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই নাটকীয় খুনের ঘটনার খবর সামনে নিয়ে এসেছে৷ অবৈধ সম্পর্কে প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে তিন মাস ধরে নিজেরই স্বামীকে হত্যার প্ল্যান করে নেন৷ -Photo- Representative 

সতনা জেলার বরৌধা থানা এলাকার বীরহপুরবা -র বাসিন্দা ২৮ বছরের রাজোলেকে গভীর রাতে হত্যা করে দেয়৷  বুধবার সকালে নিজের ঘরে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়৷ পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে৷ যুবককে হত্যা করার পর দড়ি দিয়ে গলা টিপে মেরে ফেলা হয়৷  ঘটনাস্থলে পুলিশ সংঘর্ষের চিহ্ন পায়৷ সেখানে ভাঙা চুড়িও পাওয়া যায়৷ মৃতের স্ত্রী শবদেহের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন৷ কিন্তু দেওর সেখানে ছিল না৷ কিন্তু পুলিশ তদন্তে নেমে দ্রুতই ঘটনার তল পেয়ে যায় কে খুন করেছে কেন খুন করেছে সেটাও জানতে পেরে যায়৷ 

পুলিশের জেরায় দেওর ও বৌদির অবৈধ সম্পর্কের খোঁজ পেয়ে যায়৷ পুলিশ দেওর ধীরজের খোঁজ শুরু করে৷ তখন তাকে খেতের মধ্যের ঝুপড়িতে পাওয়া যায়৷ পুলিশকে দেখে সে দৌড়তে শুরু করে৷ জেলা পুলিশ দৌড়ে তাকে ধরে ফেলে৷  পুলিশের খবর অনুযায়ি পাঁচ বছর আগে রজোলের বিয়ে হয় গায়ত্রীর সঙ্গে ৷ এক বছরের মধ্যে গায়ত্রী নিজের স্বামীকে লুকিয়ে দেওর ধীরজের সঙ্গে অবৈধ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন৷ Photo- Representative 

কিছুদিনের মধ্যে দেওর -বৌদির এই সম্পর্কের কথা জানাজানি হয়ে যায়৷ এবার গায়ত্রী নিজের স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক চোকানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে৷ তিন মাস আগে নিজের স্বামীকে কীটনাশক ভরা দুধ খাইয়ে দেয়৷ কিন্তু স্বামী দুধের গন্ধ পেয়ে আর সেটা খাননি৷ সে সময়ে কোনও রকমে বেঁচে যায় ওই স্বামী৷ Photo- Representative 

গায়ত্রী ও তার দেওর দমবার পাত্র ছিল না৷ দুজনের প্রেম এত চরম জায়গায় পৌঁছয় যে গায়ত্রীর মা -বাবাকেও জানানো হয় শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে৷ তারপর তাকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ ১৫ দিন আগে দুই পরিবারের মধ্য সমঝোতা হয়৷ ফের ভুল স্বীকার করে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসে৷ Photo- Representative 

কিন্তু এবার সে আরও বড় প্ল্যান করে এসেছিল৷ দেওরকে নিজের প্ল্যানে নিয়ে নেন৷ দুজনে মিলে স্বামীকে গলা টিপে হত্যা করে দেয়৷ বরৌধা থানার পুলিশ হত্যাকারী  দেওর ও বৌদিকে গ্রেফতার করে৷ সেখানে তাদের আদালতে তোলা হয় এবং জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷