উত্তরপ্রদেশ পুলিশের পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ একই গ্রামের ২৬ যুবক-যুবতী! ‘এই’ একটা কারণে সবাই সফল, দেখুন বিশদে
- Published by:Tias Banerjee
- trending desk
Last Updated:
Police Constable Recruitment Exam: গোটা গ্রামে এখন উৎসবের পরিবেশ। গ্রামের ছেলেমেয়েরা পুলিশে চাকরি করবে, এলাকার ভোল পাল্টে যাবে, এ কী কম আনন্দের কথা!
advertisement
গোটা গ্রামে এখন উৎসবের পরিবেশ। গ্রামের ছেলেমেয়েরা পুলিশে চাকরি করবে, এলাকার ভোল পাল্টে যাবে, এ কী কম আনন্দের কথা! তবে লড়াই শেষ হয়নি। লিখিত পরীক্ষার পর এবার শারীরিক পরীক্ষা হবে। এখন তারই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষায় গ্রামের ৭০ জন ফর্ম ফিলাপ করেছিলেন। এর মধ্যে ২৬ জন লিখিত পরীক্ষায় সফল হয়েছেন।
advertisement
এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, গ্রামের অধিকাংশ যুবক যুবতীই সরকারি চাকরি করেন। তাঁদের মতে, এমন কোনও সরকারি পরীক্ষা নেই যেখানে এই গ্রামের ছেলেমেয়েরা সফল হয়নি। উত্তর প্রদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষাতেও একই ছবি। লিখিত পরীক্ষায় সফল হওয়া ২৬ জনের মধ্যে রয়েছেন দুই ভাই-বোন, পারুল এবং প্রিন্স। তাঁরা জানিয়েছেন, পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কোনও কোচিং ক্লাসে ভর্তি হননি তাঁরা। অনলাইনে ইউটিউবে পড়াশোনা করেছেন।
advertisement
গ্রামের যুবক অতুল কোলি বলেন, “উত্তর প্রদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় গ্রামের ২৬ জন যুবকযুবতীর নাম এসেছে। এটা খুব আনন্দের খবর। সবাই ইউটিউব দেখে পড়াশোনা করেছে, অনলাইনে নোটস তৈরি করেছে, রিভিশন দিয়েছে। এখন শারীরিক পরীক্ষা হবে। অনুশীলনের জন্য গ্রামের এক-দেড় কিলোমিটার দূরে একটি ট্র্যাক তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই সবাই যাচ্ছেন। গ্রামে সুযোগ সুবিধা বাড়লে আরও ভাল হবে। একটা স্টেডিয়াম রয়েছে। সেটা পুরোপুরি তৈরি হয়ে গেলে সবাই সুবিধা পাবেন।”
advertisement
advertisement
রশ্মি কাপাসিয়া বলছেন, “গ্রামের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় বরাবরই ভাল। তাঁদের দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হই, সেই মতো ছোট থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলাম। গ্রামে একটা লাইব্রেরি রয়েছে। সেখানেই মেয়েরা পড়াশোনা করেন। ছেলেরা প্রায়ই বাইরে যান। এ বছর উত্তর প্রদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষায় সবাই ভাল ফল করেছে। গ্রামের ২৬ জন উর্ত্তীর্ণ হয়েছেন। সাব ইন্সপেক্টর হোক কিংবা অন্য কোনও পরীক্ষা, আমাদের গ্রামের ছেলেমেয়েরা পাশ করবেই। ফিজিক্যাল পরীক্ষার জন্য গ্রামেই ট্র্যাক তৈরি করা হয়েছে। গোটা গ্রামে এখন আনন্দের পরিবেশ।”