God's Wish: ২৬ বছর আগের এক বিমান দুর্ঘটনা কেড়েছিল কাছের লোককে, এবার হারালেন বিয়ের ১৪ বছর পর ঠাকুরের আশীর্বাদে পাওয়া মেয়েকে
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
Air India Plane Crash: ''ঠিক যে সময়ে আমরা তাঁর বাগদানের পরিকল্পনা করছিলাম এবং তারপর তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করলাম৷"
আহমেদাবাদ: দিন কয়েক আগের এয়ার ইন্ডিয়ার প্লেন দুর্ঘটনা বহু পরিবারের থেকে কেড়ে নিয়েছে নিজের কাছের প্রিয় মানুষদের৷ এক একজনের হারানোর বেদনা এক একরকম৷ হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এক একটা ঘটনা শুনলে চোখের জল বাঁধ মানছে না৷ সেইরকম এক মর্মান্তিক কাহিনি ব্যবসায়ী সৌরিন পালখিওয়ালার৷ এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ১৭১-র দুর্ঘটনার খবর তার জীবনের সবচেয়ে বেদনাদায়ক স্মৃতি দ্বিতীয়বার ফিরিয়ে এনেছে।
advertisement
advertisement
"যখন আমি AI 171 বিমান দুর্ঘটনার খবর পেলাম, তখন আমি হতবাক হয়ে গেলাম কারণ আমি আগেও দুর্ঘটনাস্থল দেখেছি। সহজাতভাবেই, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমি আমার মেয়েকে হারিয়েছি এবং তাঁর জন্য প্রার্থনা করেছি। আমি অফিস থেকে তাড়াহুড়ো করে বাড়ি ফিরে আমার স্ত্রী সোনালিকে তুলে সিভিল হাসপাতালে চলে গেলাম৷" পালখিওয়ালা বলেন, তাঁর কান্নায় গলা বুঁজে আসছিল।
advertisement
advertisement
পালখিওয়ালারা বলেন যে সর্বশক্তিমান তাঁদের দেরিতে একটি সন্তানের আশীর্বাদ করেছিলেন এবং তাঁকেই তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে নিলেন। "বিয়ের ১৪ বছর পরে আমাদের ঘরে সঞ্জনার জন্ম হয়েছিল। আমার স্ত্রী দেবী গায়ত্রীর একজন একনিষ্ঠ ভক্ত এবং যখন সঞ্জনার জন্ম হয়েছিল, তখন আমরা ঐশ্বরিক উপহারের জন্য কৃতজ্ঞ ছিলাম। সে একজন মেধাবী ছাত্রী ছিল। আমাদের বাড়ি তাঁর স্মৃতি এবং তাঁর আঁকা ছবিতে ভরা। পুনে থেকে বিবিএ সম্পন্ন করার পর, সে নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনায় (এমওটি) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিল। সে তাঁর কলেজের বন্ধুদের সঙ্গে রিইউনিয়নের জন্য যুক্তরাজ্যে যাচ্ছিল," পালখিওয়ালা বলেন।
advertisement
পরিবারটি সঞ্জনার ছোট জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের অসংখ্য ফটো দিয়ে বাড়িটি সাজানো হয়েছে এবং তার অকাল মৃত্যুকে নিয়ে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ তিনি বলেছেন, ‘‘এই অপূরণীয় ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার একমাত্র উপায় হল এটা বুঝে নেওয়া এটা সর্বশক্তিমানের ইচ্ছা। এমন পরিস্থিতিতে আমরা কিছুই করতে পারি না। ঠিক যে সময়ে আমরা তাঁর বাগদানের পরিকল্পনা করছিলাম এবং তারপর তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করলাম৷"
advertisement
সঞ্জনা ছিলেন বিশ্বব্যাপী খাদ্য বিশেষজ্ঞ এবং ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহী ছিলেন। সঞ্জনার খুড়তুতো বোন সালোনি পালখিওয়ালা বলেন, "আমরা পারিবারিক ভাল বন্ধনে আবদ্ধ ছিলাম এবং যমজ বোনের মতো ছিলাম। সে সবেমাত্র টেনিস খেলতে শুরু করেছিল এবং ক্রিকেট উপভোগ করত। ও প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্ব, নাচ, পড়াশুনো, ছবি আঁকা এবং ভ্রমণ করতে ভালবাসত।"