জে ডি ভ্যান্সের থেকে মোদির কথা শুনে শেহবাজ শরিফের যেন জ্বর আসে ! ভয়ে জড়োসড়ো ছিলেন মুনিরও, জানুন যুদ্ধবিরতির নেপথ্য ঘটনা
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Pakistan News: ডোনাল্ড ট্রাম্প গর্ব করতে পারেন, কিন্তু বাস্তবতা হল ভারত কেবল নিজের হৃদয়ের কথা শুনেছিল। যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তটি কেবল ভারতের ছিল, তাও পাকিস্তানের অনুরোধে।
Author: Shankar Pandit (News18 Hindi) ওয়াশিংটনে ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির দাবি করছেন যে ভারত কোণঠাসা হয়েছিল। আমেরিকা দাবি করছে যে তার মধ্যস্থতার জন্যই যুদ্ধবিরতি আসে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে। সত্যি ঘটনা কী, তা এবার জেনে রাখা প্রয়োজন। ১০ মে, ২০২৫ তারিখের রাতটি ছিল পাকিস্তানের জন্য এক ধ্বংসের সময়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে শিক্ষা দেওয়ার মনস্থির করেছিলেন। তবে, সেই রাতে এমন কিছু ঘটেছিল, যার কারণে পাকিস্তান ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল। ভারত যদি করুণা না করত, তাহলে হয়তো সেই রাতেই পাকিস্তান বিশ্ব মানচিত্র থেকে মুছে যেত। এখন যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে বিভিন্ন কথা শোনা যাচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প গর্ব করতে পারেন, কিন্তু বাস্তবতা হল ভারত কেবল নিজের হৃদয়ের কথা শুনেছিল। যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তটি কেবল ভারতের ছিল, তাও পাকিস্তানের অনুরোধে।
advertisement
মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি প্রত্যাখ্যান: প্রকৃতপক্ষে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবি স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। মঙ্গলবার নিজেই মোদি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে ভারত কোনও মধ্যস্থতা ছাড়াই পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি করেছে। মঙ্গলবার ফোনে ৩৫ মিনিটের দীর্ঘ কথোপকথনে মোদি ট্রাম্পকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে ভারত কখনও কারও মধ্যস্থতা গ্রহণ করে না এবং কখনই তা গ্রহণ করবেও না। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে ইসলামাবাদের আবেদনের পরেই ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
advertisement
সেই রাতে যা হয়েছিল: ১০ মে, ২০২৫ তারিখে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ফোন করেন। জে ডি ভ্যান্স জানান যে পাকিস্তান ভারতের উপর একটি বড় আক্রমণ চালাতে চলেছে। জে ডি ভ্যান্সের কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী মোদি মোটেও অবাক হননি। তিনি ফোনে জে ডি ভ্যান্সকে স্পষ্ট করে বলেন যে পাকিস্তানের ছোড়া প্রতিটি গুলির এখন শেল দিয়ে জবাব দেওয়া হবে। তাদের প্রতিটি আক্রমণের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
advertisement
সেই রাতে যা হয়েছিল: ১০ মে, ২০২৫ তারিখে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ফোন করেন। জে ডি ভ্যান্স জানান যে পাকিস্তান ভারতের উপর একটি বড় আক্রমণ চালাতে চলেছে। জে ডি ভ্যান্সের কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী মোদি মোটেও অবাক হননি। তিনি ফোনে জে ডি ভ্যান্সকে স্পষ্ট করে বলেন যে পাকিস্তানের ছোড়া প্রতিটি গুলির এখন শেল দিয়ে জবাব দেওয়া হবে। তাদের প্রতিটি আক্রমণের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। (Photo: Reuters)
advertisement
পাকিস্তানে ধ্বংসের বার্তা কীভাবে পৌঁছেছিল? জে ডি ভ্যান্স ফোনে বলতে চেয়েছিলেন যে পাকিস্তান এখন ভারতের উপর পারমাণবিক হামলা চালাবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি সেই সময় বলেছিলেন যে ভারতও একই ভাবে জবাব দেবে। ভারত প্রথমে পারমাণবিক হামলা চালাবে না, তবে পাকিস্তানের আক্রমণের পরে আর থামবে না, পুরো পাকিস্তানকে ধ্বংস করে দেওয়া হবে। জে ডি ভ্যান্স পাকিস্তানকে ভারতের এই বার্তাটি দিয়েছিলেন। জানার সঙ্গে সঙ্গে শাহবাজ শরিফ এবং আসিম মুনিরের পায়ের তলার মাটি সরে যায়। শাহবাজ শরিফের গায়ে ভয়ে যেন জ্বর এসে যায়।
advertisement
ভয়ে জড়োসড়ো মুনিরও: এর পরই জেনারেল আসিম মুনির শরিফকে ফোন করে সাহায্য চান। মুনির ফোনে শাহবাজ শরিফকে বলেন যে তাঁরা যদি আক্রমণ করেন, তাহলে অন্য দিক থেকে আক্রমণ দ্বিগুণ হবে। এখন যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এরপর পাকিস্তান ডিজিএমও-এর মাধ্যমে ভারতকে যুদ্ধবিরতির বার্তা পাঠায়। পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে ভারতের কাছে যুদ্ধবিরতির আবেদন করে। যখন পাকিস্তান সম্পূর্ণরূপে পিছিয়ে আসে, তখন শান্তিপ্রিয় দেশ ভারতও যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। (Photo: X)
advertisement
মুনির এখনও ভয় পাচ্ছেন: ভারতের আক্রমণে পাকিস্তান কতটা ভয় পেয়েছিল তা ট্রাম্পকে স্বাগত জানানো থেকেই বোঝা যায়। আসিম মুনির এও বলছেন যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল পুরষ্কার দেওয়া উচিত। এর থেকে বোঝা যায় যে সে দিন যুদ্ধবিরতি না হলে পাকিস্তানের কী অবস্থা হত। শাহবাজ শরিফ এবং আসিম মুনিরের খুব ভাল করেই জানেন যে যুদ্ধবিরতি কীভাবে পাকিস্তানকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছিল!