Meghalaya Honeymoon Couple Case: সর্বনাশ! মেঘালয়ে স্বামীকে খুন করিয়ে কোথায় গিয়েছিল সোনম? কী করেছিল জানেন? হানিমুন দম্পতি কাণ্ডে যা সামনে এল, শিউরে উঠবেন শুনে

Last Updated:
Meghalaya Honeymoon Couple Case: রীতিমতো পেশাদার খুনি ভাড়া করে স্বামীকে খুনের অভিযোগে উত্তরপ্রদেশ থেকে সোনম রঘুবংশীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
1/8
হানিমুনে গিয়ে মেঘালয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের দম্পতি রাজা রঘুবংশী ও তাঁর স্ত্রী সোনম। সেই ঘটনায় এবার নয়া মোড়। একটা সময় আশঙ্কা করা হচ্ছিল, হয়ত সোনমকে বাংলাদেশে পাচার করে দিয়ে থাকতে পারে দুষ্কৃতীরা। তবে সেই সোনমকে পাওয়া গেল উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে। সেখান থেকে তাঁকে আটক করেছে পুলিশ।
হানিমুনে গিয়ে মেঘালয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের দম্পতি রাজা রঘুবংশী ও তাঁর স্ত্রী সোনম। সেই ঘটনায় এবার নয়া মোড়। একটা সময় আশঙ্কা করা হচ্ছিল, হয়ত সোনমকে বাংলাদেশে পাচার করে দিয়ে থাকতে পারে দুষ্কৃতীরা। তবে সেই সোনমকে পাওয়া গেল উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে। সেখান থেকে তাঁকে আটক করেছে পুলিশ।
advertisement
2/8
রীতিমতো পেশাদার খুনি ভাড়া করে স্বামীকে খুনের অভিযোগে উত্তরপ্রদেশ থেকে সোনম রঘুবংশীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
রীতিমতো পেশাদার খুনি ভাড়া করে স্বামীকে খুনের অভিযোগে উত্তরপ্রদেশ থেকে সোনম রঘুবংশীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷১১ মে, ইনদওরের ২৯ বছর বয়সী ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশী এবং ২৫ বছর বয়সী সোনমের বিয়ে হয়। বিয়ের মাত্র ৯ দিন পরে, ২০ মে, নবদম্পতি তাদের হানিমুনের জন্য মেঘালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন। ২২ মে, তারা দুজনেই শিলংয়ের একটি হোমস্টেতে থেকেছিলেন। পরের দিন, অর্থাৎ ২৩ মে, তারা চেরাপুঞ্জির কাছে নংগ্রিট গ্রামে ডাবল ডেকার লিভিং রুট ব্রিজ দেখতে যান, কিন্তু গল্পের মোড় এখান থেকেই শুরু হয়।
advertisement
3/8
সোনম ছাড়াও তিন ভাড়াটে খুনিকে পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল গ্রেফতার করেছে৷ তাদের মধ্যে একজনকে উত্তর প্রদেশ থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে৷ বাকি দু জনকে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ এখনও একজন অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ৷
সোনম ছাড়াও তিন ভাড়াটে খুনিকে পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল গ্রেফতার করেছে৷ তাদের মধ্যে একজনকে উত্তর প্রদেশ থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে৷ বাকি দু জনকে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ এখনও একজন অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ৷
advertisement
4/8
মেঘালয় পুলিশের ডিজিপি জানিয়েছেন , হানিমুনে আসা যুবক রাজা রঘুবংশীকে হত্যায় জড়িয়ে তাঁর স্ত্রী সোনমই। সেই স্বামীকে খুন করার জন্য খুনি ভাড়া করেছিল। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর থেকে স্ত্রী সোনম রঘুবংশীকে খুঁজে পায় পুলিশ।
মেঘালয় পুলিশের ডিজিপি জানিয়েছেন , হানিমুনে আসা যুবক রাজা রঘুবংশীকে হত্যায় জড়িয়ে তাঁর স্ত্রী সোনমই। সেই স্বামীকে খুন করার জন্য খুনি ভাড়া করেছিল। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর থেকে স্ত্রী সোনম রঘুবংশীকে খুঁজে পায় পুলিশ।
advertisement
5/8
গত ১৭ দিন তাঁর খোঁজ ছিল না। গাজিপুরে নন্দগঞ্জ থানা এলাকার একটি ধাবা থেকে সোনম রঘুবংশীকে খুঁজে পায় পুলিশ। তারপর পুলিশ তাঁকে জেলা হাসপাতালে পাঠায়। প্রাথমিক চিকিৎসা এবং চেকআপের পর, তাঁকে ওয়ান স্টপ সেন্টারে রাখা হয়।
গত ১৭ দিন তাঁর খোঁজ ছিল না। গাজিপুরে নন্দগঞ্জ থানা এলাকার একটি ধাবা থেকে সোনম রঘুবংশীকে খুঁজে পায় পুলিশ। তারপর পুলিশ তাঁকে জেলা হাসপাতালে পাঠায়। প্রাথমিক চিকিৎসা এবং চেকআপের পর, তাঁকে ওয়ান স্টপ সেন্টারে রাখা হয়।
advertisement
6/8
এই তদন্তের মধ্যেই গত শনিবার একজন ট্যুর গাইড জানিয়েছিলেন, ইন্দোর থেকে আসা সদ্য বিবাহিত দম্পতি রাজা রঘুবংশী এবং তার স্ত্রী সোনম যখন মেঘালয়ের সোহরা এলাকা থেকে নিখোঁজ হন, তখন তাদের সঙ্গে আরও তিন জন উপস্থিত ছিলেন। গাইডের কাছ থেকে পাওয়া এই তথ্যই তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
[caption id="attachment_2199922" align="alignnone" width="1200"] এই তদন্তের মধ্যেই গত শনিবার একজন ট্যুর গাইড জানিয়েছিলেন, ইন্দোর থেকে আসা সদ্য বিবাহিত দম্পতি রাজা রঘুবংশী এবং তার স্ত্রী সোনম যখন মেঘালয়ের সোহরা এলাকা থেকে নিখোঁজ হন, তখন তাদের সঙ্গে আরও তিন জন উপস্থিত ছিলেন। গাইডের কাছ থেকে পাওয়া এই তথ্যই তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমা টুইট করে জানিয়েছেন, ইন্দোরের যুবক রাজার হত্যা মামলায় মেঘালয় পুলিশ একটি বড় সাফল্য অর্জন করেছে। এই ঘটনায়, মধ্যপ্রদেশের তিন জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্ত্রী সোনম নিজেই আত্মসমর্পণ করেছেন।
advertisement
7/8
ভাকুপর বনশাই নামের স্থানীয় এক ট্যুর গাইড পুলিশকে জানান,  মাওলাখিয়াত থেকে নোনগ্রিয়াট পর্যন্ত ট্রেকিংয়ে তিনিই নিয়ে গিয়েছিলেন দম্পতিকে। প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লেগেছিল। এরপর তাঁরা হোমস্টেতে ফিরে যান। পরদিন তাঁরা গাইড নিতে চাননি। বলেছিলেন,এই রাস্তা তাঁদের চেনা।
ভাকুপর বনশাই নামের স্থানীয় এক ট্যুর গাইড পুলিশকে জানান, মাওলাখিয়াত থেকে নোনগ্রিয়াট পর্যন্ত ট্রেকিংয়ে তিনিই নিয়ে গিয়েছিলেন দম্পতিকে। প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লেগেছিল। এরপর তাঁরা হোমস্টেতে ফিরে যান। পরদিন তাঁরা গাইড নিতে চাননি। বলেছিলেন,এই রাস্তা তাঁদের চেনা।
advertisement
8/8
সেদিনই শেষ যখন তাঁদের দেখা যায় সঙ্গে ছিল আরও তিন পুরুষ। এরা কারা, এই প্রশ্নটাই খেলে যায় পুলিশের মাথায়। আরও চুলচেরা তদন্ত শুরু হয়। এই ঘটনা গত কয়েকদিন ধরে পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে মেঘালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, নিজের স্বামীকে খুন করিয়েছেন স্ত্রী সোনমই।
সেদিনই শেষ যখন তাঁদের দেখা যায় সঙ্গে ছিল আরও তিন পুরুষ। এরা কারা, এই প্রশ্নটাই খেলে যায় পুলিশের মাথায়। আরও চুলচেরা তদন্ত শুরু হয়। এই ঘটনা গত কয়েকদিন ধরে পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে মেঘালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, নিজের স্বামীকে খুন করিয়েছেন স্ত্রী সোনমই।
advertisement
advertisement
advertisement