Marriage Chaos: বিনা নিমন্ত্রণে বিয়ে বাড়িতে গোগ্রাসে খাবার খাচ্ছিল ছাত্ররা! ধরা পড়তেই চলল গুলি, ফাটল বোমা

নিমন্ত্রণ ছাড়াই বিয়েতে উপস্থিত হয়ে এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ফ্রি-তে খাবার খাচ্ছিলেন৷ তারা ধরা পড়তেই হৈচৈ শুরু হয়ে যায়। বিয়ের অতিথিরা খাবার খাচ্ছিলেন, তখন যখন তাদের জিজ্ঞাসা করা হয় “কোন পক্ষ থেকে খাবেন?” তখন কিছু ছাত্র অতিথিদের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর তারা তাদের বন্ধুদের হোস্টেল থেকে ফোন করে ডেকে আনেন।

এরপর বিয়ের অনুষ্ঠানটা যেন যুদ্ধের মাঠে পরিণত হয়। জানা গেছে, মারধরের পাশাপাশি বোমা ফেলা এবং গুলি চালানো হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিরুদ্ধে বিয়েতে উপস্থিত মহিলাদের গয়না ছিনতাই করার অভিযোগও রয়েছে। পুরো ঘটনা হসনগঞ্জ থানার রামাধীন ম্যারেজ হলে ঘটেছে।

তথ্য অনুযায়ী, হসনগঞ্জ থানার রামাধীন ম্যারেজ হলে সোমবার রাতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। এই সময় লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র বিনা আমন্ত্রণে সেখানে এসে ফ্রি খাবার খাচ্ছিল। একসময় খাবার খাওয়ার সময় অতিথিদের সঙ্গে তাদের ঝগড়া শুরু হয়।

এরপর ছাত্ররা তাদের বন্ধুদের ফোন করে ডেকে আনে। তারপরেই সেখানে তুমুল ঝগড়া শুরু হয়ে যায়। মারধরের পাশাপাশি বোমা ফেলা এবং গুলি চালানো হয়েছিল।

এই ঘটনায় পাঁচজন বিয়ে অতিথি আহত হন। খবর পেয়ে বিভিন্ন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছাত্রদের বিতাড়িত করে এবং কিছু ছাত্রকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বিয়ের পাত্র রিশভের বাবা মনোজ সোনকার জানান, কেসরগঞ্জ থেকে বরযাত্রী রামাধীন ইন্টার কলেজে এসেছিল। সেখানে প্রায় ১০০ জন উপদ্রবকারী বিয়ের অনুষ্ঠানে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে। তারা মারধর করেছে, বোমা ফাটিয়েছে এবং গুলি চালিয়েছে।

মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয়েছে এবং গহনা লুট করে নেওয়া হয়েছে। এমনকি টাকা ভর্তি ব্যাগও লুট করে নেওয়া হয়েছে। তবে, হসনগঞ্জের ইন্সপেক্টর দিনেশ কুমার সিং বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনা অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। কিছু ছাত্রকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।