ইঁদুরে খেত টাকা! মেঝেতে পড়ে থাকত হীরে-মুক্ত! স্বাধীনতা কালে ইনি ছিলেন দেশের সবথেকে ধনী ব্যক্তি

Last Updated:
Last nizam of hyderabad Mir Osman Ali Khan was the richest man in india at the time of independence: স্বাধীনতার সময় অর্থাৎ ১৯৪৭ সালে হায়দরাবাদের নিজাম নবাব মীর ওসমান আলি খানকে শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হত।
1/7
স্বাধীনতার সময় অর্থাৎ ১৯৪৭ সালে হায়দরাবাদের নিজাম নবাব মীর ওসমান আলি খানকে শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হত। ১৮৮৬ সালের এপ্রিল মাসে জন্মগ্রহণকারী মীর ওসমান তার পিতার মৃত্যুর পর ১৯১১ সালে হায়দ্রাবাদের সিংহাসনে আরোহণ করেন। ৭৭ বছর আগে নিজামের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল প্রায় সাড়ে ১৭ লক্ষ কোটি টাকা।
স্বাধীনতার সময় অর্থাৎ ১৯৪৭ সালে হায়দরাবাদের নিজাম নবাব মীর ওসমান আলি খানকে শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হত। ১৮৮৬ সালের এপ্রিল মাসে জন্মগ্রহণকারী মীর ওসমান তার পিতার মৃত্যুর পর ১৯১১ সালে হায়দ্রাবাদের সিংহাসনে আরোহণ করেন। ৭৭ বছর আগে নিজামের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল প্রায় সাড়ে ১৭ লক্ষ কোটি টাকা।
advertisement
2/7
বিখ্যাত ঐতিহাসিক ডমিনিক ল্যাপিয়ের এবং ল্যারি কলিন্স তাদের বিখ্যাত বই 'ফ্রিডম অ্যান্ড মিডনাইট'-এ লিখেছেন যে হায়দরাবাদের নিজামের স্বাধীনতার সময় নগদ ২ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি নগদ ছিল। নিজামের প্রাসাদে খবরের কাগজে বান্ডিল-বান্ডিল নোট মুড়ে একটি থরে থরে রাখা হত।
বিখ্যাত ঐতিহাসিক ডমিনিক ল্যাপিয়ের এবং ল্যারি কলিন্স তাদের বিখ্যাত বই 'ফ্রিডম অ্যান্ড মিডনাইট'-এ লিখেছেন যে হায়দরাবাদের নিজামের স্বাধীনতার সময় নগদ ২ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি নগদ ছিল। নিজামের প্রাসাদে খবরের কাগজে বান্ডিল-বান্ডিল নোট মুড়ে একটি থরে থরে রাখা হত।
advertisement
3/7
বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ১৯৩৭ সালের ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় নিজামকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বলে প্রথম পৃষ্ঠায় রেখেছিল। লক্ষ লক্ষ 'টাকার ধুলো' জমত নিজামের প্রাসাদে। প্রতি বছর ইঁদুর কয়েক হাজার পাউন্ডের নোট খেয়ে ফেলত, যার কোনও হিসাব ছিল না।
বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ১৯৩৭ সালের ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় নিজামকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বলে প্রথম পৃষ্ঠায় রেখেছিল। লক্ষ লক্ষ 'টাকার ধুলো' জমত নিজামের প্রাসাদে। প্রতি বছর ইঁদুর কয়েক হাজার পাউন্ডের নোট খেয়ে ফেলত, যার কোনও হিসাব ছিল না।
advertisement
4/7
কলিন্স ও ল্যাপিয়ের লিখেছেন, নিজামের প্রাসাদের ড্রয়ারে তার টেবিলে রাখা ছিল বিখ্যাত 'জ্যাকব' হীরাটি। এই মূল্যবান হীরাটি একটি লেবুর সমান ছিল এবং ২৮০ ক্যারেট ছিল, তবে নিজাম এই হীরাটিকে ওয়েট পেপার হিসেবে ব্যবহার করতেন।
কলিন্স ও ল্যাপিয়ের লিখেছেন, নিজামের প্রাসাদের ড্রয়ারে তার টেবিলে রাখা ছিল বিখ্যাত 'জ্যাকব' হীরাটি। এই মূল্যবান হীরাটি একটি লেবুর সমান ছিল এবং ২৮০ ক্যারেট ছিল, তবে নিজাম এই হীরাটিকে ওয়েট পেপার হিসেবে ব্যবহার করতেন।
advertisement
5/7
কলিন্স এবং ল্যাপিয়ের তাদের বইয়ে লিখেছেন যে নিজামের বাগানে সোনার ইট বোঝাই ট্রাক থাকত। প্রাসাদে হীরে এবং রত্ন রাখার জন্য কোনও জায়গা অবশিষ্ট ছিল না। নীলকান্তমণি, পোখরাজ, হীরা, মুক্তো মেঝেতে কয়লার মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকত।
কলিন্স এবং ল্যাপিয়ের তাদের বইয়ে লিখেছেন যে নিজামের বাগানে সোনার ইট বোঝাই ট্রাক থাকত। প্রাসাদে হীরে এবং রত্ন রাখার জন্য কোনও জায়গা অবশিষ্ট ছিল না। নীলকান্তমণি, পোখরাজ, হীরা, মুক্তো মেঝেতে কয়লার মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকত।
advertisement
6/7
মীর ওসমান আলী খান যেমন ধনী ছিলেন তেমনি কৃপণতার জন্য কুখ্যাত ছিলেন। "ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট" অনুসারে, নিজামের কাছে একবারে ২০০ জনকে খাওয়ানোর মতো যথেষ্ট সোনার পাত্র ছিল, তবে তাঁর কৃপণতা ছিল যে তিনি নিজেই টিনের পাত্রে খেতেন। প্রায়শই তিনি নোংরা জামা কাপড় পড়তেন। নিজামের শয়নকক্ষটিও একেবারে সাদামাটা ছিল।  সেখানে একটি ভাঙা খাট, তিনটি চেয়ার আর কিছু আসবাবপত্র ছাড়া আর কিছুই ছিল না।
মীর ওসমান আলী খান যেমন ধনী ছিলেন তেমনি কৃপণতার জন্য কুখ্যাত ছিলেন। "ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট" অনুসারে, নিজামের কাছে একবারে ২০০ জনকে খাওয়ানোর মতো যথেষ্ট সোনার পাত্র ছিল, তবে তাঁর কৃপণতা ছিল যে তিনি নিজেই টিনের পাত্রে খেতেন। প্রায়শই তিনি নোংরা জামা কাপড় পড়তেন। নিজামের শয়নকক্ষটিও একেবারে সাদামাটা ছিল। সেখানে একটি ভাঙা খাট, তিনটি চেয়ার আর কিছু আসবাবপত্র ছাড়া আর কিছুই ছিল না।
advertisement
7/7
নিজাম হায়দ্রাবাদ প্রায়শই ভয় পেত যে কেউ তাকে বিষ প্রয়োগ করবে এবং তার সম্পত্তি দখল করা হবে। কলিন্স এবং ল্যাপিয়ের লিখেছেন যে নিজাম যেখানেই যেতেন, তিনি তার সাথে একটি খাবারের টেস্টার নিয়ে যেতেন। প্রথমে তিনি খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতেন, সব ঠিক থাকলে নিজাম খেতেন।  ১৯৬৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নিজাম।
নিজাম হায়দ্রাবাদ প্রায়শই ভয় পেত যে কেউ তাকে বিষ প্রয়োগ করবে এবং তার সম্পত্তি দখল করা হবে। কলিন্স এবং ল্যাপিয়ের লিখেছেন যে নিজাম যেখানেই যেতেন, তিনি তার সাথে একটি খাবারের টেস্টার নিয়ে যেতেন। প্রথমে তিনি খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতেন, সব ঠিক থাকলে নিজাম খেতেন। ১৯৬৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নিজাম।
advertisement
advertisement
advertisement