Kashmir to Kanyakumari: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান! কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী স্বপ্নের রেলযাত্রা চালুর পথে... পরিষেবা শুরু কবে থেকে? জানুন বিস্তারিত

Last Updated:
Kashmir to Kanyakumari: এবার রেলপথের মাধ্যমে সমগ্ৰ কাশ্মীরকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত সংযুক্ত করার কাজ শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে।
1/7
ভারতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গণপরিহবণ হল ট্রেন। ভারতীয় রেলের উপর ভরসা করেই প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ পথে বেরোন এই দেশে। তাঁরা ট্রেনে চেপেই পৌঁছে যান নিজেদের গন্তব্যে, কর্মক্ষেত্রে। সেই যাত্রীসাধারণের কথা মাথায় রেখেই দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় চলছে রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ। ঠিক সেই আবহেই এবার এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এল। জানা গিয়েছে, এবার রেলপথের মাধ্যমে সমগ্ৰ কাশ্মীরকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত সংযুক্ত করার কাজ শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে।
ভারতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গণপরিহবণ হল ট্রেন। ভারতীয় রেলের উপর ভরসা করেই প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ পথে বেরোন এই দেশে। তাঁরা ট্রেনে চেপেই পৌঁছে যান নিজেদের গন্তব্যে, কর্মক্ষেত্রে। সেই যাত্রীসাধারণের কথা মাথায় রেখেই দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় চলছে রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ। ঠিক সেই আবহেই এবার এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এল। জানা গিয়েছে, এবার রেলপথের মাধ্যমে সমগ্ৰ কাশ্মীরকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত সংযুক্ত করার কাজ শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে।
advertisement
2/7
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই কন্যাকুমারী পর্যন্ত পুরো কাশ্মীরকে রেলপথে সংযুক্ত করা হবে। ইতিমধ্যেই এর জন্য উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল সংযোগের ৯০ শতাংশ কাজও শেষ হয়েছে। পাশাপাশি, এই সংযোগ স্থাপনের জন্য টানেলগুলি সম্পন্ন হওয়া ছাড়াও বাকি কাজগুলিও দ্রুত চলছে বলে জানা গিয়েছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই কন্যাকুমারী পর্যন্ত পুরো কাশ্মীরকে রেলপথে সংযুক্ত করা হবে। ইতিমধ্যেই এর জন্য উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল সংযোগের ৯০ শতাংশ কাজও শেষ হয়েছে। পাশাপাশি, এই সংযোগ স্থাপনের জন্য টানেলগুলি সম্পন্ন হওয়া ছাড়াও বাকি কাজগুলিও দ্রুত চলছে বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
3/7
প্রসঙ্গত, যে কাটরা-বানিহালের ১১১ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল সেকশন তৈরি হচ্ছে। রিপোর্ট অনুসারে, এটাই ছিল এই রুটের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং অংশ। কারণ এই লাইনের মধ্যে দীর্ঘ ৯৭.৩৪ কিমি অংশ টানেলের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে জম্মু থেকে বারামুল্লা পর্যন্ত পাহাড়, ঢাল এবং ভূমিকম্পপ্রবণের মত সংবেদনশীল এলাকা রয়েছে। এই কারণে, সেখানে ২৭ টি প্রধান সেতু ও ১০ টি ছোট সেতু নির্মাণ করতে হবে। এর মধ্যে ২১টি সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। এই রুটের মাঝখানেই আছে চেনাব ব্রিজও।
প্রসঙ্গত, যে কাটরা-বানিহালের ১১১ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল সেকশন তৈরি হচ্ছে। রিপোর্ট অনুসারে, এটাই ছিল এই রুটের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং অংশ। কারণ এই লাইনের মধ্যে দীর্ঘ ৯৭.৩৪ কিমি অংশ টানেলের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে জম্মু থেকে বারামুল্লা পর্যন্ত পাহাড়, ঢাল এবং ভূমিকম্পপ্রবণের মত সংবেদনশীল এলাকা রয়েছে। এই কারণে, সেখানে ২৭ টি প্রধান সেতু ও ১০ টি ছোট সেতু নির্মাণ করতে হবে। এর মধ্যে ২১টি সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। এই রুটের মাঝখানেই আছে চেনাব ব্রিজও।
advertisement
4/7
উল্লেখ্য, ১৯০৫ সালে কাশ্মীরের তৎকালীন মহারাজা মুঘল রোডের মাধ্যমে শ্রীনগর থেকে জম্মুকে সংযুক্ত করার জন্য একটি রেললাইন স্থাপনের ঘোষণা করেছিলেন। যদিও, প্রাথমিক কাজ শেষে প্রকল্পটি আটকে পড়ে।
উল্লেখ্য, ১৯০৫ সালে কাশ্মীরের তৎকালীন মহারাজা মুঘল রোডের মাধ্যমে শ্রীনগর থেকে জম্মুকে সংযুক্ত করার জন্য একটি রেললাইন স্থাপনের ঘোষণা করেছিলেন। যদিও, প্রাথমিক কাজ শেষে প্রকল্পটি আটকে পড়ে।
advertisement
5/7
এমতাবস্থায়, ২,৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে আবার কাজ শুরু করা হয়েছিল। এরপরে, ২০০২ সালে বাজপেয়ী সরকার এটিকে একটি জাতীয় প্রকল্প হিসাবে ঘোষণা করে এবং এর খরচ গিয়ে দাঁড়ায় ৬,০০০ কোটি টাকায়। যদিও আজ এই প্রকল্পের খরচ পৌঁছে গিয়েছে ২৭,৯৪৯ কোটি টাকায়।
এমতাবস্থায়, ২,৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে আবার কাজ শুরু করা হয়েছিল। এরপরে, ২০০২ সালে বাজপেয়ী সরকার এটিকে একটি জাতীয় প্রকল্প হিসাবে ঘোষণা করে এবং এর খরচ গিয়ে দাঁড়ায় ৬,০০০ কোটি টাকায়। যদিও আজ এই প্রকল্পের খরচ পৌঁছে গিয়েছে ২৭,৯৪৯ কোটি টাকায়।
advertisement
6/7
রেললাইন চালু হলে কাশ্মীরের অর্থনীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন আসবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মূলত, এই রেললাইন স্থাপনের কাজটি ছিল খুবই কঠিন। যদিও, সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এখন এই নেটওয়ার্কটি সমাপ্তির পথে। এর পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য সুবিধে রেলপথে কাশ্মীর যেতে পারবেন। এছাড়াও, কাশ্মীরের আপেলের মতো ফল সহজেই দেশের বাকি অংশে নিয়ে যাওয়া যাবে। সর্বোপরি, এর ফলে দক্ষিণ ভারত সরাসরি কাশ্মীরের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে।
রেললাইন চালু হলে কাশ্মীরের অর্থনীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন আসবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মূলত, এই রেললাইন স্থাপনের কাজটি ছিল খুবই কঠিন। যদিও, সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এখন এই নেটওয়ার্কটি সমাপ্তির পথে। এর পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য সুবিধে রেলপথে কাশ্মীর যেতে পারবেন। এছাড়াও, কাশ্মীরের আপেলের মতো ফল সহজেই দেশের বাকি অংশে নিয়ে যাওয়া যাবে। সর্বোপরি, এর ফলে দক্ষিণ ভারত সরাসরি কাশ্মীরের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে।
advertisement
7/7
মূলত, এই রেললাইন স্থাপনের কাজটি ছিল খুবই কঠিন। যদিও, সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এখন এই নেটওয়ার্কটি সমাপ্তির পথে। এর পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য সুবিধে রেলপথে কাশ্মীর যেতে পারবেন। এছাড়াও, কাশ্মীরের আপেলের মতো ফল সহজেই দেশের বাকি অংশে নিয়ে যাওয়া যাবে। সর্বোপরি, এর ফলে দক্ষিণ ভারত সরাসরি কাশ্মীরের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে।
মূলত, এই রেললাইন স্থাপনের কাজটি ছিল খুবই কঠিন। যদিও, সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এখন এই নেটওয়ার্কটি সমাপ্তির পথে। এর পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য সুবিধে রেলপথে কাশ্মীর যেতে পারবেন। এছাড়াও, কাশ্মীরের আপেলের মতো ফল সহজেই দেশের বাকি অংশে নিয়ে যাওয়া যাবে। সর্বোপরি, এর ফলে দক্ষিণ ভারত সরাসরি কাশ্মীরের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে।
advertisement
advertisement
advertisement