Kabuliwalas : তালিবানি তাণ্ডবে কেমন আছে পরিবার? উদ্বেগ বাড়ছে কলকাতার কাবুলিওয়ালাদের...
- Published by:Sanjukta Sarkar
Last Updated:
Kabuliwalas : আবার তালিবানি শাসন। দেশের নাগরিকদের ওপর চলবে পাশবিক অত্যাচার। তালিবানিরা তাদের নিয়ম অনুসারে বিচার করবে সবার।
ঘরের মধ্যে পাশ বালিশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। কয়েকজন হেলান দিয়ে বসে রয়েছেন। করোও হাতে ফোন। অহরহ কী যেন খুঁজে বেড়াচ্ছে চোখ। কারও আবার শূন্য দৃষ্টি কোন এক মরুভূমিতে আটকে। ওঁদের সবাই কাবুলিওয়ালা বলেই জানে। মাঝেমাঝেই মোবাইল ফোন ঘাঁটছেন কেউ কেউ।ফেসবুকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের দেওয়া খবরগুলো ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখছেন। গত দু-দিন ধরে ওদের উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। কেমন আছে আত্মীয় পরিজন?
advertisement
চারু মার্কেটের ঘড়ি ঘর এলাকাতে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন ছয় কাবুলিওয়ালা। মহম্মদ সেলিম। বয়স বাষট্টি বছর। এক দেড় বছর অন্তর দেশ, আফগানিস্তানে যান সেলিম। গত তিনদিন আফগানিস্তানে ইন্টারনেট,মোবাইল নেটওয়ার্ক কাজ করছে না। সেলিমের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে শেষ দেখা তিন দিন আগে। ফোনের ভিডিও কলের মাধ্যমে।তারপর থেকে আর কোনওভাবে ওদের সঙ্গে দেখা হয়নি। তাই উদ্বেগ আর হতাশা ক্রমশ গ্রাস করছে সেলিমকে।
advertisement
একই ভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন মাসুম,হায়দার। হায়দারের কথায়,কুড়ি বছর আগে তালিবানদের অত্যাচার ভয়ঙ্কর ছিল। এই বলতে বলতে ওর চোখ দুটো ভিজে গেল। একটা ভিডিও দেখিয়ে বলছিল, এরোপ্লেনে ওঠার জন্য মানুষ যে ভাবে ব্যাকুল হচ্ছে, দেশ ছেড়ে চলে যেতে গিয়ে প্রাণ দিচ্ছে, তাতে ওদের এখন একটাই চিন্তা পরিবারের সবাই কেমন আছে ওখানে?
advertisement
একই ভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন মাসুম,হায়দার। হায়দারের কথায়,কুড়ি বছর আগে তালিবানদের অত্যাচার ভয়ঙ্কর ছিল। এই বলতে বলতে ওর চোখ দুটো ভিজে গেল। একটা ভিডিও দেখিয়ে বলছিল, এরোপ্লেনে ওঠার জন্য মানুষ যে ভাবে ব্যাকুল হচ্ছে, দেশ ছেড়ে চলে যেতে গিয়ে প্রাণ দিচ্ছে, তাতে ওদের এখন একটাই চিন্তা পরিবারের সবাই কেমন আছে ওখানে?
advertisement
তিনি যদি দেশে থাকতেন,তাহলে তালিবানদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হত। তাতে আম জনতা মরত। নতুন করে কোনও খুন যাতে না হয়, তার জন্যই দেশ ছেড়েছেন গনি। এই অখ্যাত কাবুলিওয়ালা আরও বলেন, আগামী ছয় মাসের পরে ওখানে নির্বাচন হবে। তার জন্য কোনওভাবে বর্তমানের সরকার কোনোরকম সংঘর্ষে গেল না। তবে তালিব প্রদেশের মানুষেরাও যে তালিবানদের কোনো ভাবে চায় না, সেটাও বারে বারে বলছিলেন প্রবীণ কাবুলিওয়ালা।
advertisement
বাংলায় প্রচুর কাবুলি ওয়ালা রয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সৃষ্টিতে আরও বেশি করে বাঙালি পরিবারের সদস্য করে দিয়েছেন এই কাবুলিওয়ালাদের। আজ সেই কাবুলিওয়ালাদের চোখের কোনায় জল, মুখ ভার, কপালে চিন্তার ভাঁজ। তাই বাঙালির কাছের মানুষ এই কাবুলিদের জন্যও কোথাও কি কষ্ট লুকিয়ে নেই বাঙালি মনের আনাচে কানাচে?