তিল তিল করে মাটির নীচে ঢুকে যাচ্ছে উত্তরাখণ্ডের এই মন্দির শহর, কিন্তু কেন?

শুক্রবার সন্ধে নাগাদ ভয়ানক পরিণতি। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল উত্তরাখণ্ডের মন্দির নগরী যোশীমঠের একটি মন্দির। কিন্তু কেন? আতঙ্কের শুরু দিন কয়েক আগে থেকেই। গৃহস্থ বাড়ির দেওয়াল থেকে রাস্তা, বড় বড় ফাটলে ছেয়ে যায় গোটা মন্দির নগরী। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ চওড়া হতে শুরু করে সেই ফাটল। আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে কনকনে ঠান্ডায় খোলা আকাশের নীচে বেরিয়ে আসেন বহু মানুষ। যোশীমঠের প্রায় ৫০০ বাড়িতে দেখা দিয়েছে ফাটল। গৃহহীন প্রায় ৩ হাজার। ধীরে ধীরে বসে যাচ্ছে মাটির স্তর। আর তাতেই দেখা দিয়েছে বিপত্তি। বাস্তুহারা মানুষদের অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। আগামী ছমাস তাদের ৪ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত উত্তরাখণ্ড সরকারের। পাহাড়ি রাস্তার ধারে ধারে গড়ে ওঠা একাধিক হোটেল এখন বিপজ্জনক ভাবে হেলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। চার ধাম যাত্রার এই অন্যতম শহরে সবসময়েই পুণ্যার্থীদের ভিড় লেগে থাকে। এখান থেকেই কেদারনাথ কিংবা বদ্রীনাথ ধামের উদ্দেশে রওনা দেন পুণ্যার্থীরা। আতঙ্কে এখন পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সেই যোশীঠের মানুষ। শনিবার যোশীমঠে পৌঁছচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একটি দল। গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামিরও সেখানে যাওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই যে কোনও রকমের পরিস্থিতির কথা ভেবে যোশীমঠে পাঠানো হয়েছে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর একটি দল। বিপজ্জনক এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অন্যত্র। আজ থেকে নয়। গত কয়েক বছর ধরেই এই সমস্যা চলছে উত্তরাখণ্ডের একাধিক শহরে। নজর দেয়নি কোনও সরকারই। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর পিছনে দায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের মতো কারণ। এছাড়া, ক্রমাগত পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে সুড়ঙ্গ খোঁড়া, রাস্তা চওড়া করতে পাহাড়ে একের পর এক বিস্ফোরণ, একাধিক হাইড্রো ইলেক্ট্রিক পাওয়ার প্লান্ট তৈরি, সব কিছুই প্রভাব ফেলছে উত্তরাখণ্ডের প্রকৃতিতে।

তিল তিল করে মাটির নীচে ঢুকে যাচ্ছে উত্তরাখণ্ডের এই মন্দির শহর, কিন্তু কেন?

ছবি

লেটেস্ট খবর