Jagdeep Dhankhar Resign: রাজ্যপাল থাকার সময় পদে পদে মমতার সঙ্গে বিবাদ, উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা আসলে ঘুরিয়ে শাস্তি নাকি, ধনখড়ের সরে যাওয়ার আসল কারণ ফাঁস
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
Jagdeep Dhankhar Resignation contro: বিস্তর গণ্ডগোল! শরীর খারাপ কি শুধুই অজুহাত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বারবার বিবাদে জড়ানো জগদীপ ধনখড়ের সরে যাওয়ার পিছনের কারণ ফাঁস
নয়াদিল্লি: এই বছরের মার্চ মাসে হৃদরোগজনিত অসুস্থতার কারণে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে চার দিনের জন্য দিল্লির এইমস-এ ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরে আসেন। কিন্তু সোমবার রাতে মেগা ট্যুইস্ট ভারতের উপরাষ্ট্রপতির৷ এক চমকপ্রদ ঘোষণায় তিনি স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে পদ থেকে পদত্যাগ করেন। জগদীপ ধনখড়ের হঠাৎ পদত্যাগের কারণে তুমুল পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেছে৷
advertisement
৭৪ বছর বয়সী জগদীপ ধনখড় বলেছেন যে তিনি তাঁর স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন এবং চিকিৎসা পরামর্শ অনুসরণ করছেন। সোমবারের শুরুতে সংসদে এক আলোচনার পর অপ্রত্যাশিতভাবে হঠাৎ করেই এই ঘটনা ঘটে৷ প্রধানমন্ত্রী এবং সিনিয়র মন্ত্রীরা সংসদে একান্ত আলোচনায় বসেছিলেন সম্ভবত সেই সময়েই এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। মনে হচ্ছে শারীরিক কারণ দেখানোটা একেবারেই আইওয়াশ! ধনখড়ের এই হঠাৎ ইস্তফাদানের পদক্ষেপের পেছনের গল্প আরও জটিল৷
advertisement
জগদীপ ধনখড় তিন বছরেরও কিছু কম সময় উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২১ জুলাই বিকেল ৪টা নাগাদ, তার কার্যালয় ২৩ জুলাই জয়পুরে তাঁর সরকারি সফরের পরিকল্পনা সম্পর্কে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। জগদীপ ধনখড়ও সংসদে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে তিনি বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার অভিশংসনের দাবিতে ৫০ জনেরও বেশি সাংসদের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাওয়ার ঘোষণা করেন৷ চিঠিটিতে বিরোধী দলের সাংসদরা স্বাক্ষর করেন এবং জগদীপ ধনখড় তা গ্রহণ করেন। এরপর তিনি মহাসচিবকে বিষয়টি অনুসরণ করার নির্দেশ দেন।
advertisement
সূত্রের খবর, কোনও পূর্বনির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়াই হঠাৎ করেই রাষ্ট্রপতি ভবনে এসে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন উপরাষ্ট্রপতি। এখন প্রশ্ন হল কেন তিনি হঠাৎ পদত্যাগ করলেন? সম্প্রতি সংসদের করিডোরে জগদীপ ধনখড় কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে। তিনি গত সপ্তাহে ভিপি এনক্লেভে মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং রবিবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। বিচার বিভাগে দুর্নীতি রোধে NJAC-এর মতো প্রতিষ্ঠান ফিরিয়ে আনার জন্য জগদীপ ধনখড়ের মতবাদ সরকারের সঙ্গে মেলেনি।
advertisement
জগদীপ ধনখড় কে?১৯৫১ সালে রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলায় জন্মেছিলেন ধনখড় ৷ তিনি কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে রাজস্থান বারে যোগদান করেন। সুপ্রিম কোর্ট এবং বিভিন্ন হাইকোর্টে রাজ্যের সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসেবে অনুশীলন করেছেন এবং রাজস্থান হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
advertisement
জগদীপ ধনখড়ের রাজনৈতিক যাত্রা১৯৯০-এর দশকে রাজনীতিতে প্রবেশ করে, তিনি জনতা দলের হয়ে ঝুনঝুনু থেকে লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হন এবং চন্দ্রশেখর সরকারে সংসদীয় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৯ সালে, তাকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল নিযুক্ত করা হয়, যেখানে তিনি প্রায়শই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সঙ্গে একাধিকবার দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন৷
advertisement
তিনি কখন উপরাষ্ট্রপতি হন?জগদীপ ধনখড় ২০২২ সালে ভারতের ১৪তম উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তিনি ১১ অগাস্ট ২০২২ তারিখে শপথ গ্রহণ করেন। তাঁর নেতৃত্ব দৃঢ়তা এবং কখনও কখনও পক্ষপাতমূলক মনোভাবের জন্য বিখ্যাত ছিল। এর ফলে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বিরোধী দলগুলি এক অভূতপূর্ব অভিশংসন প্রস্তাব দাখিল করে। জগদীপ ধনখড় বিরোধী দলের এই পদক্ষেপে গভীর হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে তিনি আহত বোধ করছেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো কিছু বিরোধী সাংসদ সংসদের গেটে ধনখড়ের নকল করেছিলেন, বিরোধী দলের সঙ্গে তাঁর বিতর্কিত সম্পর্কের কথা তুলে ধরেছিলেন।
advertisement
এখন কত দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে?সরকারকে এখন আগামী ৬০ দিনের মধ্যে একজন নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে। সংসদের গুরুত্বপূর্ণ বর্ষাকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগপত্র জমা পড়ে।যেখানে অপারেশন সিঁদুর এবং বিচারপতি ভার্মার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হবে। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ, জগদীপ ধনখড়ের জায়গায় বর্ষা অধিবেশনে দায়িত্ব পালন করবেন৷
advertisement