Indian Railways: টিকিট কাটেন দলে-দলে মানুষ, কিন্তু ট্রেনে ওঠেন না কেউ! এই স্টেশনটির নাম, ঘটনা শুনলে আকাশ থেকে পড়বেন

Last Updated:
Indian Railways: তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু সেই সময়ে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীকে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের কাছে দয়ালপুরে একটি রেল স্টেশন নির্মাণের বিষয়ে জানান।
1/8
ভারতে ট্রেন পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। দূরে কোথাও যাওয়ার জন্য মোটামুটি সাধ্যের মধ্যে খরচে কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যায় এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে। সর্বস্তরের মানুষ এই রেল পরিষেবা স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারেন। আর এই রেল পরিষেবা উন্নতিকরণের কাজে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছে ভারতীয় রেল।
ভারতে ট্রেন পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। দূরে কোথাও যাওয়ার জন্য মোটামুটি সাধ্যের মধ্যে খরচে কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যায় এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে। সর্বস্তরের মানুষ এই রেল পরিষেবা স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারেন। আর এই রেল পরিষেবা উন্নতিকরণের কাজে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছে ভারতীয় রেল।
advertisement
2/8
আজ আমরা আপনাদের ভারতেরই এমন একটি রেল স্টেশনের বিষয়ে জানাবো যেখানে সবাই প্রতিদিন টিকিট কাটলেও ট্রেনে সফর করেন না। কী, শুনে মনে হচ্ছে অদ্ভভূত! কিন্তু বাস্তবে কিন্তু এমনই ঘটে।
আজ আমরা আপনাদের ভারতেরই এমন একটি রেল স্টেশনের বিষয়ে জানাবো যেখানে সবাই প্রতিদিন টিকিট কাটলেও ট্রেনে সফর করেন না। কী, শুনে মনে হচ্ছে অদ্ভভূত! কিন্তু বাস্তবে কিন্তু এমনই ঘটে।
advertisement
3/8
গল্পটি তাহলে শুনুন, ১৯৫৪ সালে রেলমন্ত্রী ছিলেন লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু সেই সময়ে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীকে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের কাছে দয়ালপুরে একটি রেল স্টেশন নির্মাণের বিষয়ে জানান।
গল্পটি তাহলে শুনুন, ১৯৫৪ সালে রেলমন্ত্রী ছিলেন লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু সেই সময়ে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীকে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের কাছে দয়ালপুরে একটি রেল স্টেশন নির্মাণের বিষয়ে জানান।
advertisement
4/8
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরই ওই রেল স্টেশনটি তৈরি করাও হয়েছিল, এবং উদ্বোধনের পর প্রায় ৫০ বছর চালুও ছিল। কিন্তু ২০০৬ সালে এই রেল স্টেশনটি হঠাৎই বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরই ওই রেল স্টেশনটি তৈরি করাও হয়েছিল, এবং উদ্বোধনের পর প্রায় ৫০ বছর চালুও ছিল। কিন্তু ২০০৬ সালে এই রেল স্টেশনটি হঠাৎই বন্ধ করে দেওয়া হয়।
advertisement
5/8
রেলের তরফে জানানো হয়, এই স্টেশন থেকে নির্ধারিত কোনও লাভ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই, স্টেশনটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ভারতীয় রেলের তরফে। রেলের নিয়ম অনুসারে, ব্রাঞ্চ লাইনে প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫ টি টিকিট এবং মেন লাইনের ট্রাঙ্ক রুটে প্রতিদিন ৫০ টি টিকিট বিক্রি করতে হয়। তা না হলে যে কোনো স্টেশন বন্ধ করে দিতে পারে রেল।
রেলের তরফে জানানো হয়, এই স্টেশন থেকে নির্ধারিত কোনও লাভ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই, স্টেশনটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ভারতীয় রেলের তরফে। রেলের নিয়ম অনুসারে, ব্রাঞ্চ লাইনে প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫ টি টিকিট এবং মেন লাইনের ট্রাঙ্ক রুটে প্রতিদিন ৫০ টি টিকিট বিক্রি করতে হয়। তা না হলে যে কোনো স্টেশন বন্ধ করে দিতে পারে রেল।
advertisement
6/8
সেই বিষয়টিই ঘটেছে দয়ালপুর স্টেশনের ক্ষেত্রেও। শেষমেশ ২০০৬ সাল থেকে বন্ধ হয়ে যায় দয়ালপুর স্টেশনটি। কিন্তু, ওই স্টেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন সেখানকার মানুষ। এমনকি, স্টেশনটি ফের চালু করার জন্য দয়ালপুরের মানুষ নানা আবেদনও করেন।
সেই বিষয়টিই ঘটেছে দয়ালপুর স্টেশনের ক্ষেত্রেও। শেষমেশ ২০০৬ সাল থেকে বন্ধ হয়ে যায় দয়ালপুর স্টেশনটি। কিন্তু, ওই স্টেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন সেখানকার মানুষ। এমনকি, স্টেশনটি ফের চালু করার জন্য দয়ালপুরের মানুষ নানা আবেদনও করেন।
advertisement
7/8
শেষ পর্যন্ত সরকার ২০২২ সালের জানুয়ারিতে স্টেশনটি পুনরায় চালু করার ঘোষণা করে। তবে, সেখানে খুব বেশি ট্রেন থামে না। কিন্তু দয়ালপুরের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এখন ট্রেনের আর কোনো নিয়মের জেরে তাঁদের স্টেশন বন্ধ হতে দেবেন না। তাই গ্রামের মানুষ একত্র হয়ে টিকিট কাটছেন।
শেষ পর্যন্ত সরকার ২০২২ সালের জানুয়ারিতে স্টেশনটি পুনরায় চালু করার ঘোষণা করে। তবে, সেখানে খুব বেশি ট্রেন থামে না। কিন্তু দয়ালপুরের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এখন ট্রেনের আর কোনো নিয়মের জেরে তাঁদের স্টেশন বন্ধ হতে দেবেন না। তাই গ্রামের মানুষ একত্র হয়ে টিকিট কাটছেন।
advertisement
8/8
যদিও, তাঁরা যাতায়াত করেন না। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, রেল স্টেশন ফের চালু করার পর থেকে সেখানে প্রতি মাসে ৭০০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়। ফলে রেলের আয় বাড়ছে। সেই সূত্রেই যদি স্টেশনটি পুরোমাত্রায় চালু হয়, সেই আশাতেই রয়েছে দয়ালপুরের মানুষজন।
যদিও, তাঁরা যাতায়াত করেন না। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, রেল স্টেশন ফের চালু করার পর থেকে সেখানে প্রতি মাসে ৭০০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়। ফলে রেলের আয় বাড়ছে। সেই সূত্রেই যদি স্টেশনটি পুরোমাত্রায় চালু হয়, সেই আশাতেই রয়েছে দয়ালপুরের মানুষজন।
advertisement
advertisement
advertisement