Netaji Subhas Chandra Bose: নেতাজির জন্য নিজের স্বামীর পেটেই ছুরি গেঁথেছিলেন! দেশের প্রথম মহিলা গুপ্তচর.. চেনেন এই মহিয়সী নারীকে
- Published by:Satabdi Adhikary
Last Updated:
এই মহান বিভূতির ওপর চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন পরিচালক রূপা আইয়ার। নেতাজির ভূমিকায় রয়েছেন অভিনেতা শ্রেয়াস তালপাড়ে। নীরা আর্য চরিত্রে অভিনয় করছেন রূপা আইয়ার। দিল্লিতে এই ছবির মোশন পোস্টার লঞ্চ করা হয়েছে।
দেশের প্রথম নারী গোয়েন্দা, যাঁর সম্পর্কে খুব কমই মানুষই জানেন। প্রাক স্বাধীনতা পর্বের সেই উত্তাল সময়ের এক মহিলা গুপ্তচর৷ যিনি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর সেনাবাহিনী আইএনএ-তে যোগদান করেছিলেন৷ শুধু তা-ই নয়, বরং তাঁর হয়ে ব্রিটিশদের উপরে গুপ্তচরবৃত্তিও করেছিলেন। এমনকি, সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন বাঁচাতে নাকি তিনি নিজের স্বামীকেও হত্যা করেছিলেন। গুপ্তচরবৃত্তি এবং স্বামীকে হত্যার অভিযোগে তাঁকে কালান্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে তাঁর উপরে চলে অমানুসিক অত্যাচার৷ তা সত্ত্বেও নিজের মাতৃভূমির সঙ্গে, নেতাজির সঙ্গে কখনও বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। জানেন তিনি কে? সেই মহিয়সী মহিলার নাম নীরা আর্য। কেমন ছিল এই মহান ব্যক্তিত্বের জীবন, তাঁর সংগ্রামের অধ্যায়, আসুন জেনে নিই...
advertisement
বর্তমান উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলার খেখরায় ১৯০২ সালের ৫ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন নীরা৷ কিন্তু, খুব ছোট বয়সেই তাঁর জীবনে দুঃখ নেমে আসে৷ হারান বাবা ও মাকে। ভাইও তখন ছোট৷ সেই সময় তাঁকে এবং তাঁর একমাত্র ভাইকে দত্তক নেন এক স্বনামধন্য ব্যবসায়ী শেঠ ছাজুমাল। নীরা আর্যের প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ সম্পূর্ণ হয় কলকাতায়। হিন্দি, সংস্কৃত ও ইংরেজিতে তুখোড় ছিলেন নীরা৷ শৈশব থেকেই ছিল দেশ মাতৃকার প্রতি অমোঘ টান৷ অনেক ছোট বয়স থেকেই নীরা স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে শুরু করেন।
advertisement
খুব অল্প বয়সেই নীরার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল ইংরেজ সরকারের এক অফিসারের সাথে। তাঁর স্বামীর নাম ছিল শ্রীকান্ত জয়রঞ্জন দাস৷ ইংরেজের প্রতি চূড়ান্ত অনুগত এক সিআইডি অফিসার। তবে ইংরেজ অফিসারের সঙ্গে বিয়ে হলেও দেশের প্রতি নীরার ভালবাসা এতটুকু কমেনি। শোনা যায়, বিয়ের কিছুদিন পরেই তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর 'আজাদ হিন্দ ফৌজ'-এর 'ঝাঁসি রেজিমেন্ট'-এ যোগ দেন। বেশ কয়েকদিন ছিলেন মায়ানমারেও৷
advertisement
'ঝাঁসি রেজিমেন্ট' মূলত ব্রিটিশদের গুপ্তচরবৃত্তি বিভাগ হিসাবে বিবেচিত হত বলে শোনা যায়। একসময় নীরার স্বামীর কাছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে হত্যা করার নির্দেশ আসে এবং সেই কথা জানতে পেরে যান নীরা৷ জানা যায়, নেতাজিকে বাঁচাতে নিজের স্বামীকেই খুন করেছিলেন নীরা৷ জয়রঞ্জনের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে তাঁকে খুন করে বেরিয়ে আসেন বাড়ি থেকে৷ তারপর, এলাকা ছাড়েন৷ এই ঘটনার জন্য নীরাকে নেতাজি ‘নাগিন’ বলে ডাকতেন বলে শোনা যায়৷
advertisement
নেতাজি সুভাষচন্দ্রের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাঁর সঙ্গে দেশের কাজ করে যাওয়ার লক্ষ্যেই অবিচল ছিলেন নীরা৷ কিন্তু, এর মধ্যেই ঘটে যায় বিপদ৷ গুপ্তচরবৃত্তি ও স্বামীকে খুনের অভিযোগে ব্রিটিশদের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি৷ বিচার শেষে নীরাকে পাঠিয়ে দেওয়া আন্দামান জেলে৷ জানা যায়, সেই সময় মহিলা বন্দিদের অন্ধকার বদ্ধ ঘরে বন্দিরাখা হত৷ চলত বীভৎস নির্যাতন৷ এমন অত্যাচার যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না৷
advertisement
advertisement
advertisement