ভারতে যুদ্ধের রোডম্যাপ রেডি! সেনাবাহিনীতে কী কী থাকবে? অস্ত্রের বহর জানেন? ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান

Last Updated:
India 2040 War Roadmap: রাশিয়া-ইউক্রেন, গাজা, পাহালগাম হামলার প্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ১৫ বছরের রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে, ভারতীয় সেনা কোন কোন অস্ত্রে সজ্জিত হবে।
1/16
বিশ্ব এখন ভয়াবহ এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অব্যাহত, গাজায় ইজরায়েল ও হামাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ থামছে না, আর কয়েক মাস আগেই পাহালগামে জঙ্গি হামলার পর ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর জেরে ভারত-পাকিস্তানও প্রায় যুদ্ধের মুখে দাঁড়িয়ে পড়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সক্ষমতা ভারতের জন্য শুধু প্রয়োজন নয়, বাধ্যতাও।
 বিশ্ব এখন ভয়াবহ এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অব্যাহত, গাজায় ইজরায়েল ও হামাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ থামছে না, আর কয়েক মাস আগেই পাহালগামে জঙ্গি হামলার পর ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর জেরে ভারত-পাকিস্তানও প্রায় যুদ্ধের মুখে দাঁড়িয়ে পড়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সক্ষমতা ভারতের জন্য শুধু প্রয়োজন নয়, বাধ্যতাও।
advertisement
2/16
এই প্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আগামী ১৫ বছরের জন্য তার ‘টেকনোলজি ভিশন অ্যান্ড ক্যাপাবিলিটি রোডম্যাপ’ প্রকাশ করেছে। সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে ২০৪০ সালে ভারতীয় স্থল, নৌ ও বিমানবাহিনী দেখতে কেমন হবে এবং কী কী অস্ত্রে তারা সজ্জিত থাকবে।
এই প্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আগামী ১৫ বছরের জন্য তার ‘টেকনোলজি ভিশন অ্যান্ড ক্যাপাবিলিটি রোডম্যাপ’ প্রকাশ করেছে। সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে ২০৪০ সালে ভারতীয় স্থল, নৌ ও বিমানবাহিনী দেখতে কেমন হবে এবং কী কী অস্ত্রে তারা সজ্জিত থাকবে।
advertisement
3/16
রোডম্যাপ অনুযায়ী, ভারতীয় সেনা ১৮০০টি নতুন ট্যাঙ্ক কিনবে, যা উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তে মোতায়েন পুরনো টি-৭২ ট্যাঙ্কগুলিকে প্রতিস্থাপন করবে। এছাড়াও সেনাবাহিনীতে যোগ হবে ৩০০-৪০০ হালকা ট্যাঙ্ক, যেগুলি বিভিন্ন ভূখণ্ড ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কাজে লাগবে।
রোডম্যাপ অনুযায়ী, ভারতীয় সেনা ১৮০০টি নতুন ট্যাঙ্ক কিনবে, যা উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তে মোতায়েন পুরনো টি-৭২ ট্যাঙ্কগুলিকে প্রতিস্থাপন করবে। এছাড়াও সেনাবাহিনীতে যোগ হবে ৩০০-৪০০ হালকা ট্যাঙ্ক, যেগুলি বিভিন্ন ভূখণ্ড ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কাজে লাগবে।
advertisement
4/16
তাছাড়া সেনা কিনবে ৫০ হাজার ট্যাঙ্ক-মাউন্টেড অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল, ৭০০-রও বেশি রোবোটিক অ্যান্টি-আইইডি সিস্টেম এবং ৬ লক্ষ গোলা। প্রচুর ড্রোন ও মানববিহীন এয়ার সিস্টেম (UAS) সেনার সঙ্গে যুক্ত হবে, যা স্থলযুদ্ধকে আরও দ্রুত ও নিখুঁত করবে।
তাছাড়া সেনা কিনবে ৫০ হাজার ট্যাঙ্ক-মাউন্টেড অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল, ৭০০-রও বেশি রোবোটিক অ্যান্টি-আইইডি সিস্টেম এবং ৬ লক্ষ গোলা। প্রচুর ড্রোন ও মানববিহীন এয়ার সিস্টেম (UAS) সেনার সঙ্গে যুক্ত হবে, যা স্থলযুদ্ধকে আরও দ্রুত ও নিখুঁত করবে।
advertisement
5/16
আগামী ১৫ বছরে নৌবাহিনীতে যোগ হবে আরও একটি এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার। ২০২২ সালে আইএনএস বিক্রান্ত অন্তর্ভুক্তির পর এটি হবে বড় পদক্ষেপ। নৌবাহিনী ১০টি নেক্সট-জেনারেশন ফ্রিগেট, ৭টি উন্নত করভেট ও ৪টি ল্যান্ডিং ডক কিনবে।
আগামী ১৫ বছরে নৌবাহিনীতে যোগ হবে আরও একটি এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার। ২০২২ সালে আইএনএস বিক্রান্ত অন্তর্ভুক্তির পর এটি হবে বড় পদক্ষেপ। নৌবাহিনী ১০টি নেক্সট-জেনারেশন ফ্রিগেট, ৭টি উন্নত করভেট ও ৪টি ল্যান্ডিং ডক কিনবে।
advertisement
6/16
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, পারমাণবিক শক্তিচালিত যুদ্ধজাহাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে ভারতের জাহাজ শুধু শক্তিশালীই হবে না, দীর্ঘ সময় সমুদ্রে মোতায়েন থাকতেও সক্ষম হবে। নৌবাহিনী আরও পাবে ১০০টি দ্রুতগামী ইন্টারসেপ্টর ক্রাফট ও ২৫ কিমির বেশি পাল্লার ১৫০টি টর্পেডো।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, পারমাণবিক শক্তিচালিত যুদ্ধজাহাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে ভারতের জাহাজ শুধু শক্তিশালীই হবে না, দীর্ঘ সময় সমুদ্রে মোতায়েন থাকতেও সক্ষম হবে। নৌবাহিনী আরও পাবে ১০০টি দ্রুতগামী ইন্টারসেপ্টর ক্রাফট ও ২৫ কিমির বেশি পাল্লার ১৫০টি টর্পেডো।
advertisement
7/16
পরবর্তী ১৫ বছরে বিমানবাহিনীর শক্তি আরও বিস্ফোরক হতে চলেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৭৫টি হাই-অল্টিটিউড পসুডো স্যাটেলাইট, ১৫০টি স্টেলথ বোম্বার ড্রোন ও শত শত প্রিসিশন-গাইডেড অস্ত্র যুক্ত হবে। এছাড়াও মোতায়েন করা হবে ১০০-রও বেশি রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফ্ট।
পরবর্তী ১৫ বছরে বিমানবাহিনীর শক্তি আরও বিস্ফোরক হতে চলেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৭৫টি হাই-অল্টিটিউড পসুডো স্যাটেলাইট, ১৫০টি স্টেলথ বোম্বার ড্রোন ও শত শত প্রিসিশন-গাইডেড অস্ত্র যুক্ত হবে। এছাড়াও মোতায়েন করা হবে ১০০-রও বেশি রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফ্ট।
advertisement
8/16
ফলে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা হবে বহুস্তরীয়— মাটি থেকে আকাশ, আকাশ থেকে আকাশ, সব দিকেই শত্রু টক্কর পাবে।
ফলে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা হবে বহুস্তরীয়— মাটি থেকে আকাশ, আকাশ থেকে আকাশ, সব দিকেই শত্রু টক্কর পাবে।
advertisement
9/16
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পরিকল্পনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল লেজার অস্ত্র ও ডিরেক্টেড এনার্জি সিস্টেম। এগুলি এমন অস্ত্র, যেগুলি গুলি বা মিসাইল নয়, শক্তির বিম দিয়ে শত্রুকে ধ্বংস করে। চিন ইতিমধ্যেই প্যারেডে এগুলি দেখিয়েছে, আর এবার ভারতও দ্রুত এর উন্নয়ন শুরু করবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পরিকল্পনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল লেজার অস্ত্র ও ডিরেক্টেড এনার্জি সিস্টেম। এগুলি এমন অস্ত্র, যেগুলি গুলি বা মিসাইল নয়, শক্তির বিম দিয়ে শত্রুকে ধ্বংস করে। চিন ইতিমধ্যেই প্যারেডে এগুলি দেখিয়েছে, আর এবার ভারতও দ্রুত এর উন্নয়ন শুরু করবে।
advertisement
10/16
তাছাড়া সেনাবাহিনী পাবে ৫০০ হাইপারসনিক মিসাইল, যেগুলির গতি এত দ্রুত হবে যে কোনও শত্রু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তা আটকাতে পারবে না। পাশাপাশি ভারত শত্রুর হাইপারসনিক অস্ত্র সনাক্ত ও ধ্বংস করার প্রযুক্তিও কিনবে।
তাছাড়া সেনাবাহিনী পাবে ৫০০ হাইপারসনিক মিসাইল, যেগুলির গতি এত দ্রুত হবে যে কোনও শত্রু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তা আটকাতে পারবে না। পাশাপাশি ভারত শত্রুর হাইপারসনিক অস্ত্র সনাক্ত ও ধ্বংস করার প্রযুক্তিও কিনবে।
advertisement
11/16
নতুন পরিকল্পনায় সাইবার প্রতিরক্ষা ও স্যাটেলাইট সুরক্ষাকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে স্যাটেলাইট যোগাযোগ হবে ‘সাইবার-হার্ডেনড’, আর মহাকাশে বসানো হবে লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডার। এর মানে শত্রু যদি স্যাটেলাইট টার্গেট করার চেষ্টা করে, ভারতের আগেই তার প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকবে।
নতুন পরিকল্পনায় সাইবার প্রতিরক্ষা ও স্যাটেলাইট সুরক্ষাকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে স্যাটেলাইট যোগাযোগ হবে ‘সাইবার-হার্ডেনড’, আর মহাকাশে বসানো হবে লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডার। এর মানে শত্রু যদি স্যাটেলাইট টার্গেট করার চেষ্টা করে, ভারতের আগেই তার প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকবে।
advertisement
12/16
এই ভিশন ডকুমেন্ট প্রকাশিত হয়েছে একেবারে সেই সময়ে, যখন কয়েক মাস আগেই এপ্রিল মাসে পাহালগাম জঙ্গি হামলার পর ভারত চালায় অপারেশন সিঁদুর। ওই ঘটনায় ২৬ জন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারান। প্রতিক্রিয়ায় ভারত সুনির্দিষ্টভাবে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
এই ভিশন ডকুমেন্ট প্রকাশিত হয়েছে একেবারে সেই সময়ে, যখন কয়েক মাস আগেই এপ্রিল মাসে পাহালগাম জঙ্গি হামলার পর ভারত চালায় অপারেশন সিঁদুর। ওই ঘটনায় ২৬ জন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারান। প্রতিক্রিয়ায় ভারত সুনির্দিষ্টভাবে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
advertisement
13/16
জবাবে পাকিস্তান হাজার হাজার ড্রোন ও রকেট ছোড়ে, কিন্তু ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অধিকাংশই আকাশেই ধ্বংস করে দেয়। এতে স্পষ্ট, ভবিষ্যতের যুদ্ধ কেবল স্থলেই হবে না, আকাশ, সমুদ্র, সাইবার ও মহাকাশেও হবে। 
জবাবে পাকিস্তান হাজার হাজার ড্রোন ও রকেট ছোড়ে, কিন্তু ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অধিকাংশই আকাশেই ধ্বংস করে দেয়। এতে স্পষ্ট, ভবিষ্যতের যুদ্ধ কেবল স্থলেই হবে না, আকাশ, সমুদ্র, সাইবার ও মহাকাশেও হবে। 
advertisement
14/16
কেন এই রোডম্যাপ গুরুত্বপূর্ণ?প্রতিরক্ষা মন্ত্রক স্পষ্ট বলছে— কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স ও নতুন প্রযুক্তি ছাড়া ভবিষ্যতের যুদ্ধ জেতা সম্ভব নয়। তাই এই ১৫ বছরের পরিকল্পনা কেবল অস্ত্রের তালিকা নয়, এটি দেশের বেসরকারি শিল্প ও গবেষণা-উন্নয়ন ক্ষেত্রকে দিকনির্দেশ করছে, কোন পথে কাজ করতে হবে।
কেন এই রোডম্যাপ গুরুত্বপূর্ণ? প্রতিরক্ষা মন্ত্রক স্পষ্ট বলছে— কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স ও নতুন প্রযুক্তি ছাড়া ভবিষ্যতের যুদ্ধ জেতা সম্ভব নয়। তাই এই ১৫ বছরের পরিকল্পনা কেবল অস্ত্রের তালিকা নয়, এটি দেশের বেসরকারি শিল্প ও গবেষণা-উন্নয়ন ক্ষেত্রকে দিকনির্দেশ করছে, কোন পথে কাজ করতে হবে।
advertisement
15/16
মন্ত্রকের দাবি, এই রোডম্যাপ ভারতীয় বেসরকারি সংস্থা ও শিল্পক্ষেত্রকে সক্ষম করবে ভবিষ্যতের যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও প্রযুক্তি দেশেই তৈরি করতে।
মন্ত্রকের দাবি, এই রোডম্যাপ ভারতীয় বেসরকারি সংস্থা ও শিল্পক্ষেত্রকে সক্ষম করবে ভবিষ্যতের যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও প্রযুক্তি দেশেই তৈরি করতে।
advertisement
advertisement
advertisement