

এ রিপোর্ট ভারত সরকারের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ২০১৯ সালের। যা জানাচ্ছে যে ২০১৯ সালে এ দেশে ৪,৪৯,০০২ সংখ্যক গাড়ি দুর্ঘটনায় ৪,৫১,৩৬১ জন আহত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ১,৫১,১১৩ জনের। রিপোর্ট বলছে যে এই হিসেবে দেশে প্রতি দিন ৫১টি গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটে এবং প্রতি ঘণ্টায় তাতে প্রাণ হারান ১৭ জন করে দেশবাসী। খুব জোরে গাড়ি চালানোই এই দুর্ঘটনার কারণ বলে জানিয়েছে মন্ত্রক।


এ প্রসঙ্গে গাড়ি দুর্ঘটনার নেপথ্য কারণ একটু বিশদে ব্যাখ্যা করা হয়েছে মন্ত্রকের তরফে। এমন নয় যে অন্য কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে না। কিন্তু এর সিংহভাগই ঘটছে খুব জোরে গাড়ি চালাতে গিয়ে। রিপোর্ট বলছে যে মৃত্যুহারের ৬৭.৩ শতাংশই ঘটেছে এই কারণে। ৭২.৪ শতাংশ আহত ব্যক্তির অনুপাত এবং দুর্ঘটনার ৭১ শতাংশও ঘটছে স্রেফ অবিবেচকের মতো গাড়ি চালানোর কারণে।


এ জায়গায় এসে দুর্ঘটনার নেপথ্যে আরেকটি কারণ তুলে ধরেছে মন্ত্রকের রিপোর্ট। বলা হয়েছে যে দুর্ঘটনার ১৫ শতাংশ ঘটেছে গাড়ি চালানো শিখতে গিয়ে। রাস্তার খানাখন্দের কারণে দুর্ঘটনার হার বৃদ্ধি পেয়েছে ২০১৯ সালে ৬.২ শতাংশ, যা ২,১৪০ জনের মৃত্যুর কারণও। ৪১ শতাংশ মৃত্যু ঘটেছে গাড়ির বয়স ১০ বছরের উপরে হওয়ার কারণে অর্থাৎ দুর্ঘটনায় যাত্রীসহ গাড়ি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে পুরনো হয়ে যাওয়ায়। শহরাঞ্চলে এবং গ্রামাঞ্চলে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার যথাক্রমে ৩২.৯ আর ৬৭.১ শতাংশ।


গাড়ি দুর্ঘটনায় পথচারীদের মৃত্যুর হারও ২০১৯ সাসে বেড়েছে। ২০১৮ সালে এই পরিসংখ্যানের হার ছিল ২২,৬৫৬। ২০১৯ সালে তা বেড়ে গিয়ে হয়েছে ২৫,৮৫৮, অর্থাৎ মোটামুটি ১৪.১৩ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। এই মৃত্যু হারের মধ্যে ৫৪ শতাংশের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে টু-হুইলার, জানাচ্ছে রিপোর্ট।


এই দুর্ঘটনায় অতিরিক্ত ভারী পণ্যবাহী গাড়ির ভূমিকাও উল্লেখ না করলে নয়। রিপোর্ট বলছে যে এ কারণে উল্টে গিয়ে ৮ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১০ শতাংশের মোট হিসেবের নিরিখে। ৬৯,৬২১টি ঘটনার কারণ হিট অ্যান্ড রান যা মোট হিসেবের নিরিখে ১৫.৫ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে আহতের পরিমাণ ৬১,৭৫১ বা ১৩.৭ শতাংশ, মৃতের হার ২৯,৩৫৪ বা ১৯.৪ শতাংশ। ২০১৮ সালের তুলনায় দেশে হিট অ্যান্ড রান বেড়েছে ১.৫ শতাংশ, ঘটনায় মৃত্যুর হার বেড়েছে ০.৫ শতাংশ।