পহেলগাঁও হামলার ঠিক আগেই 'সন্দেহজনক' জিপলাইন অপারেটরের মুখে ‘আল্লা হু আকবর’! কী অর্থ এই শব্দবন্ধের?

Last Updated:
Pahalgam Terrorist Attack: পহেলগাঁও হামলার সময় পর্যটক 'আল্লা হু আকবর' বলেছিলেন প্রাণ বাঁচাতে। কিন্তু আসলে এই বাক্যটির মানে কী? কোথায় কোথায় ব্যবহৃত হয়? ইসলাম ধর্মে এর স্থান ও গুরুত্ব ঠিক কতটা?
1/9
পহেলগাঁও জঙ্গি হানার সময় কিছু পর্যটক নিজেদের রক্ষা করতে ‘আল্লাহু আকবর’ উচ্চারণ করেন। এই বাক্যটির অর্থ কী এবং ইসলামে এর সাংস্কৃতিক তাৎপর্যই বা কী, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে কৌতূহল।
পহেলগাঁও জঙ্গি হানার সময় কিছু পর্যটক নিজেদের রক্ষা করতে ‘আল্লাহু আকবর’ উচ্চারণ করেন। এই বাক্যটির অর্থ কী এবং ইসলামে এর সাংস্কৃতিক তাৎপর্যই বা কী, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে কৌতূহল। (File Image)
advertisement
2/9
২২ এপ্রিলের জঙ্গিহামলায় ২৭ জন ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছে।সেদিনের সেই ভয়াবহ জঙ্গিহামলার একটি নতুন ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, বৈসরনে জিপলাইন রাইডে চড়ছেন গুজরাতের এক প্রত্যক্ষদর্শী পর্যটক ঋষি ভাট। গোটা জিপলাইনের রাইডেই তিনি সেলফি স্টিকে ক্যামেরা ধরে রেখেছেন। আর তাঁর অজান্তেই সেই ক্যামেরায় উঠে এসেছে জঙ্গিদের বর্বর হত্যাকাণ্ড।
২২ এপ্রিলের জঙ্গিহামলায় ২৭ জন ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছে। সেদিনের সেই ভয়াবহ জঙ্গিহামলার একটি নতুন ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, বৈসরনে জিপলাইন রাইডে চড়ছেন গুজরাতের এক প্রত্যক্ষদর্শী পর্যটক ঋষি ভাট। গোটা জিপলাইনের রাইডেই তিনি সেলফি স্টিকে ক্যামেরা ধরে রেখেছেন। আর তাঁর অজান্তেই সেই ক্যামেরায় উঠে এসেছে জঙ্গিদের বর্বর হত্যাকাণ্ড।
advertisement
3/9
কাশ্মীরের পহেলগাঁও-এ ২২ এপ্রিল জঙ্গি হামলার সময় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায় এক পর্যটক, যিনি নিজেকে ঋষি ভাট নামে পরিচয় দেন, জিপলাইন রাইড নেওয়ার সময় আচমকা গুলির শব্দ শোনা যায়। সেই মুহূর্তে তাঁকে এবং রাইড অপারেটরকে ‘আল্লাহু আকবর’ উচ্চারণ করতে শোনা যায়।
জঙ্গি হামলার সময় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায় পর্যটক ঋষি ভাট , জিপলাইন রাইড নেওয়ার সময় আচমকা গুলির শব্দ শোনা যায়। সেই মুহূর্তে তাঁকে এবং রাইড অপারেটরকে ‘আল্লা হু আকবর’ উচ্চারণ করতে শোনা যায়। (File Image)
advertisement
4/9
পরে ঋষি জানান, তিনি বেঁচে গিয়েছেন কারণ গুলির সময় তিনি রাইডে ছিলেন। একইভাবে, পুনের এক মহিলা পর্যটক, যাঁর স্বামী ওই হামলায় নিহত হন, বলেন যে, হামলাকারীরা যখন পুরুষদের কলমা পাঠ করতে বলছিল, তখন তিনি এবং আরও কয়েকজন মহিলা কপাল থেকে টিপ খুলে ‘আল্লাহু আকবর’ বলা শুরু করেন, যাতে তাঁদের মুসলিম মনে হয় এবং তাঁরা প্রাণে রক্ষা পান।
পরে ঋষি জানান, তিনি বেঁচে গিয়েছেন কারণ গুলির সময় তিনি রাইডে ছিলেন। একইভাবে, পুনের এক মহিলা পর্যটক, যাঁর স্বামী ওই হামলায় নিহত হন, বলেন যে, হামলাকারীরা যখন পুরুষদের কলমা পাঠ করতে বলছিল, তখন তিনি এবং আরও কয়েকজন মহিলা কপাল থেকে টিপ খুলে ‘আল্লা হু আকবর’ বলা শুরু করেন, যাতে তাঁদের মুসলিম মনে হয় এবং তাঁরা প্রাণে রক্ষা পান। (File Image)
advertisement
5/9
‘আল্লাহু আকবর’ একটি আরবি বাক্য, যার অর্থ ‘আল্লাহ্ সবচেয়ে মহান’ বা ‘আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান’। এটি ইসলামে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এবং কৃতজ্ঞতা জানানোর একটি উপায়।
‘আল্লা হু আকবর’ একটি আরবি বাক্য, যার অর্থ ‘আল্লাহ্ সবচেয়ে মহান’ বা ‘আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান’। এটি ইসলামে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এবং কৃতজ্ঞতা জানানোর একটি উপায়। (File Image)
advertisement
6/9
মুসলিমরা এই বাক্যটি নামাজ পড়ার সময়, দুঃখ ও আনন্দের মুহূর্তে, কঠিন পরিস্থিতিতে, এমনকি প্রতিবাদ জানানোর সময়ও উচ্চারণ করেন। এই বাক্যটিকে আরবিতে বলা হয় ‘তাকবীর’, যার অর্থ স্রষ্টার মহত্ব ঘোষণা।
মুসলিমরা এই বাক্যটি নামাজ পড়ার সময়, দুঃখ ও আনন্দের মুহূর্তে, কঠিন পরিস্থিতিতে, এমনকি প্রতিবাদ জানানোর সময়ও উচ্চারণ করেন। এই বাক্যটিকে আরবিতে বলা হয় ‘তাকবীর’, যার অর্থ স্রষ্টার মহত্ব ঘোষণা। (File Image)
advertisement
7/9
যেহেতু বাক্যটির অর্থ হল ‘আল্লাহই সবচেয়ে বড়’, তাই মুসলিম সমাজ বিশ্বাস করে, তাঁরা আল্লাহ ছাড়া আর কিছু উপাসনা করেন না। এই বাক্য তাঁদের মনে করিয়ে দেয় যে, একমাত্র আল্লাহই রক্ষাকর্তা এবং তিনি দয়া বর্ষণ করেন।
যেহেতু বাক্যটির অর্থ হল ‘আল্লাহই সবচেয়ে বড়’, তাই মুসলিম সমাজ বিশ্বাস করে, তাঁরা আল্লাহ ছাড়া আর কিছু উপাসনা করেন না। এই বাক্য তাঁদের মনে করিয়ে দেয় যে, একমাত্র আল্লাহই রক্ষাকর্তা এবং তিনি দয়া বর্ষণ করেন। (File Image)
advertisement
8/9
এই বাক্য ব্যবহৃত হয় নামাজের প্রতিটি রাকাতে, সেজদা দেওয়ার সময়, দাঁড়ানোর সময়, আবার আজানের মধ্যেও শোনা যায়। হজ, ঈদ বা কুরবানি উপলক্ষেও এই বাক্য ধ্বনিত হয়। অনেক পরিবারে শিশুর জন্মের পর প্রথম এই বাক্যটিই তার কানে ফিসফিসিয়ে বলা হয়।
এই বাক্য ব্যবহৃত হয় নামাজের প্রতিটি রাকাতে, সেজদা দেওয়ার সময়, দাঁড়ানোর সময়, আবার আজানের মধ্যেও শোনা যায়। হজ, ঈদ বা কুরবানি উপলক্ষেও এই বাক্য ধ্বনিত হয়। অনেক পরিবারে শিশুর জন্মের পর প্রথম এই বাক্যটিই তার কানে ফিসফিসিয়ে বলা হয়। (Representative Image: AI)
advertisement
9/9
জানাজা ও দাফনের সময়ও এই বাক্য উচ্চারিত হয়। পাশাপাশি বিস্ময়, আনন্দ বা আশ্চর্যের মুহূর্তেও এটি বলা হয়। অতীতে যুদ্ধক্ষেত্রে বিজয়ের মুহূর্তেও এই বাক্য শোনা যেত।
জানাজা ও দাফনের সময়ও এই বাক্য উচ্চারিত হয়। পাশাপাশি বিস্ময়, আনন্দ বা আশ্চর্যের মুহূর্তেও এটি বলা হয়। অতীতে যুদ্ধক্ষেত্রে বিজয়ের মুহূর্তেও এই বাক্য শোনা যেত। (Representative Image: AI)
advertisement
advertisement
advertisement