Husband-Wife Car Scam: বিলাসবহুল গাড়ি কিনে বেচতেন জলের দরে, এই দম্পতি কীভাবে 'এত' ধনী? ফাঁস হল কীর্তি
- Published by:Tias Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
Husband-Wife Car Scam: তাঁদের রোজগারের উপায় জেনে পুলিশও অবাক। গাড়ির শোরুমের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
advertisement
তাঁদের রোজগারের উপায় জেনে পুলিশও অবাক। গাড়ির শোরুমের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর রহস্য। চেক ক্লিয়ারেন্সের জাল বার্তা দেখিয়ে ২৬ লাখ টাকার টাটা সাফারি নিয়ে শোরুম থেকে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে! পেশায় সফটওয়্যার কোম্পানির এই পরিচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
advertisement
এই প্রতারণার ঘটনায় কোম্পানির পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যাতে অভিযুক্তের স্ত্রীর নামও রয়েছে। মহিলার খোঁজে পুলিশের দুটি দল সম্ভাব্য আস্তানায় অভিযান চালাচ্ছে। যেদিন দম্পতি ২৬ লাখ টাকার চেক দিয়েছিলেন, সেদিন তাঁদের অ্যাকাউন্টে ছিল মাত্র ৯৯৫ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় এ জালিয়াতি ধরা পড়ে। অভিযুক্ত ব্যক্তি অতীতেও এ ধরনের অপরাধ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
এসিপি শৈব্য গোয়াল জানান, রাজদেব তাঁর স্ত্রী কোয়েল দেবের সঙ্গে ফেজ ৩ থানা এলাকার ক্লিও কাউন্টি সোসাইটিতে একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। ফ্ল্যাটের ভাড়া ৫৫,000 টাকা। দুজনেই সেক্টর-৬৩-এ Devex নামে একটি সফটওয়্যার কোম্পানি চালান। এই দম্পতি গত বছরের ১০ আগস্ট সেক্টর ৫-এ অবস্থিত সাগর মোটরস থেকে ১১,000 টাকা দিয়ে অনলাইনে টাটা সাফারি বুক করেছিলেন।
advertisement
এই দম্পতি সাগর মোটরসের নামে তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি চেক ইস্যু করেছিলেন। প্রতারণার পরিকল্পনা করে দু'জনেই সঙ্গে সঙ্গে চেকটি তুলে নেন এবং জাল রিপোর্ট তৈরি করে সাগর মোটরসের অ্যাকাউন্টে ২৬ লাখ টাকা জমা দেন। জাল পেমেন্ট দেখিয়ে টাটা সাফারির ডেলিভারি নিয়েছিলেন ওই দম্পতি। পরে সাগর মোটরসের তদন্তে জানা যায় যে রাজদেবের দেওয়া চেকটি ক্লিয়ার হয়নি।
advertisement
অভিযুক্তরা তাঁদের মোবাইলে এজেন্সিকে যে মেসেজ দেখিয়েছিলেন তাও জাল বলে জানা গিয়েছে। চেক ক্লিয়ারেন্সের সময়, পেমেন্ট টাটা মোটরসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কিছু সময়ের জন্য প্রদর্শিত হয়েছিল। এর সুযোগ নিয়ে রাজ ও তাঁর স্ত্রী সাফারির ডেলিভারি নেন। তবে অভিযুক্তের অ্যাকাউন্ট থেকে সাগর মোটরসের অ্যাকাউন্টে কোনও প্রকার অর্থপ্রদান করা হয়নি।
advertisement
কোম্পানির অভ্যন্তরীণ রিপোর্টের মাধ্যমে পুরো জালিয়াতি প্রকাশ্যে আসলে, রাজদেব এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ফেজ ওয়ান থানায় জালিয়াতি-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে অভিযান শুরু করে। শুক্রবার পুলিশের হাতে ধরা পড়েন মূল অভিযুক্ত রাজদেব। স্বামীকে আটকের খবর পেয়ে স্ত্রী পলাতক। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত জানান, স্ত্রীর সঙ্গে অতীতেও একই ধরনের প্রতারণা করেছেন।
advertisement
এর আগে, এই দম্পতি রানা মোটরস নয়ডা থেকে গ্র্যান্ড ভিটারা এবং গ্যালাক্সি টয়োটা, নাজাফগড় রোড, দিল্লি থেকে টয়োটা হিলাক্স গাড়ির ডেলিভারি নিয়েছিলেন। তাঁরা দু'জনেই একইভাবে ২২ লাখ টাকার গ্র্যান্ড ভিটারা এবং ৩০ লাখ টাকার টয়োটা হিলাক্স গাড়ি নিয়ে জালিয়াতি করেছেন। অভিযুক্তরা ২৬ লাখ টাকার টাটা সাফারি বিক্রি করেছেন, যেটি নয়ডা থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে কেনা হয়েছিল, ১২ লাখ টাকায়। পুলিশ তদন্তে নেমে পাচ্ছে দম্পতির একের পর এক জালিয়াতির তথ্য। তাঁদের কোম্পানিতে কতজন কাজ করেন সে বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য মেলেনি যদিও।
advertisement