'Ghost Village Of Uttarakhand': ভোট না এলে নেতারা ফিরেও তাকায়নি! ছবির মতো সুন্দর এই গ্রাম এখন 'ভূতুড়ে'

Last Updated:
Uttarakhand Assembly Election 2022: এখন এই গ্রাম ভূতুড়ে। লোকজনের দেখা নেই। তাই এখন ভোটের সময়ও নেতাদের দেখা নেই।
1/6
'বিভিন্ন দলের নেতারা এখানে শুধু নির্বাচনের সময় আসতেন, প্রতিশ্রুতি দিতেন... তারপর কেউ এদিকে তাকায়নি।' উত্তরাখণ্ডের তেহরি জেলার একটি গ্রাম। সেখানে এখন শতাধিক নির্জন বাড়ি পড়ে আছে। এখন সেখানে মাত্র কয়েকজন লোক বাস করে। এই মানুষরা বলেন, নেতারা যদি তাঁদের গ্রামের দিকে নজর দিত, তা হলে আজ তাঁদের এমন অবস্থা হত না। উত্তরাখণ্ডে নির্বাচনী প্রচারাভিযান তুঙ্গে। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই নেতাদের মুখে বিকাশের কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তুু এই গ্রামের নির্জনতা বলছে অন্য কথা।
'বিভিন্ন দলের নেতারা এখানে শুধু নির্বাচনের সময় আসতেন, প্রতিশ্রুতি দিতেন... তারপর কেউ এদিকে তাকায়নি।' উত্তরাখণ্ডের তেহরি জেলার একটি গ্রাম। সেখানে এখন শতাধিক নির্জন বাড়ি পড়ে আছে। এখন সেখানে মাত্র কয়েকজন লোক বাস করে। এই মানুষরা বলেন, নেতারা যদি তাঁদের গ্রামের দিকে নজর দিত, তা হলে আজ তাঁদের এমন অবস্থা হত না। উত্তরাখণ্ডে নির্বাচনী প্রচারাভিযান তুঙ্গে। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই নেতাদের মুখে বিকাশের কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তুু এই গ্রামের নির্জনতা বলছে অন্য কথা।
advertisement
2/6
উত্তরাখণ্ড নির্বাচনে এবার উন্নয়নের কথা শোনা যাচ্ছে সব থেকে বেশি। পাহাড়ে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য প্রতিটি পক্ষের নিজস্ব দাবি রয়েছে। কিন্তু 'ভূতের গ্রাম' নিয়ে কারও মুখে কোনও কথা নেই। গানগর হল তেহরি জেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রাম। একসময় 'সেঠদের গ্রাম' হিসেবে পরিচিত ছিল এটি। কিন্তু এখন তা ধ্বংসের মুখে!
উত্তরাখণ্ড নির্বাচনে এবার উন্নয়নের কথা শোনা যাচ্ছে সব থেকে বেশি। পাহাড়ে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য প্রতিটি পক্ষের নিজস্ব দাবি রয়েছে। কিন্তু 'ভূতের গ্রাম' নিয়ে কারও মুখে কোনও কথা নেই। গানগর হল তেহরি জেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রাম। একসময় 'সেঠদের গ্রাম' হিসেবে পরিচিত ছিল এটি। কিন্তু এখন তা ধ্বংসের মুখে!
advertisement
3/6
দেশের ২০১১ সালের আদমশুমারির পরিসংখ্যান দেখায়, ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ উত্তরাখণ্ড থেকে স্থানান্তরিত হয়েছেন। যা রাজ্যের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের সমান। পাউরি, গাড়োয়াল, আলমেরায় গ্রামের পর গ্রামফাঁকা হয়ে গেছে। উত্তরাখণ্ড মাইগ্রেশন কমিশনের ২০১৮ সালের একটি সমীক্ষা দেখায়, ২০১১ সাল থেকে ৭৩৪টি গ্রাম জনবসতিহীন হয়ে পড়েছে। সেগুলিকে ভূতের গ্রাম বলা হয়। গুনগর, যা ঘোস্ট ভিলেজের অন্তর্ভুক্ত, এখন  সেখানে চারপাশে দারিদ্র্যের ছাপ স্পষ্ট।
দেশের ২০১১ সালের আদমশুমারির পরিসংখ্যান দেখায়, ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ উত্তরাখণ্ড থেকে স্থানান্তরিত হয়েছেন। যা রাজ্যের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের সমান। পাউরি, গাড়োয়াল, আলমেরায় গ্রামের পর গ্রামফাঁকা হয়ে গেছে। উত্তরাখণ্ড মাইগ্রেশন কমিশনের ২০১৮ সালের একটি সমীক্ষা দেখায়, ২০১১ সাল থেকে ৭৩৪টি গ্রাম জনবসতিহীন হয়ে পড়েছে। সেগুলিকে ভূতের গ্রাম বলা হয়। গুনগর, যা ঘোস্ট ভিলেজের অন্তর্ভুক্ত, এখন সেখানে চারপাশে দারিদ্র্যের ছাপ স্পষ্ট।
advertisement
4/6
স্থানীয় গ্রামবাসী কিষাণ দত্ত যোশীর মতে, গানগর গ্রাম কেমারপট্টির শেঠ গঙ্গারামের জন্য পরিচিত ছিল। রাজার শস্যও এখানে ভাণ্ডারে রাখা হত এবং রাজার সরাসরি শেঠদের সাথে পরিচয় ছিল। তারপর সময়ের সাথে সাথে রাজতন্ত্রের অবসান হয়ে গেলেও মৌলিক সুযোগ-সুবিধা পৌঁছায়নি এই গ্রামে। স্থানীয় লোকজনের মতে, একসময় ২৫০ পরিবারের গ্রাম গনগর খালি হয়ে যায় ধীরে ধীরে। নেতারা এখানে আসতেন শুধু ভোট চাইতে।
স্থানীয় গ্রামবাসী কিষাণ দত্ত যোশীর মতে, গানগর গ্রাম কেমারপট্টির শেঠ গঙ্গারামের জন্য পরিচিত ছিল। রাজার শস্যও এখানে ভাণ্ডারে রাখা হত এবং রাজার সরাসরি শেঠদের সাথে পরিচয় ছিল। তারপর সময়ের সাথে সাথে রাজতন্ত্রের অবসান হয়ে গেলেও মৌলিক সুযোগ-সুবিধা পৌঁছায়নি এই গ্রামে। স্থানীয় লোকজনের মতে, একসময় ২৫০ পরিবারের গ্রাম গনগর খালি হয়ে যায় ধীরে ধীরে। নেতারা এখানে আসতেন শুধু ভোট চাইতে।
advertisement
5/6
বিজয় রাতুরী নামে আরেক গ্রামবাসী বলেন, নির্বাচনের সময় অনেক নেতাও গনগরে পৌঁছে ভোটের নামে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিতেন। তবু এখানে রাস্তা, প্রাইমারি স্কুল, হাসপাতাল হয়নি। এখানকার অধিকাংশ বাড়িঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখন এখানে খুব কম লোকই থাকে।
বিজয় রাতুরী নামে আরেক গ্রামবাসী বলেন, নির্বাচনের সময় অনেক নেতাও গনগরে পৌঁছে ভোটের নামে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিতেন। তবু এখানে রাস্তা, প্রাইমারি স্কুল, হাসপাতাল হয়নি। এখানকার অধিকাংশ বাড়িঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখন এখানে খুব কম লোকই থাকে।
advertisement
6/6
কোন কর্মসংস্থান না থাকায় গনগরের গ্রামবাসীরা এখন ঘানসালি, চামিয়াল, তেহরি এবং ঋষিকেশে চলে গেছে। মাঝে মাঝে পূজার জন্য গ্রামে আসে কেউ কেউ। এখন আবার নির্বাচনের সময়। তবে এখন এখানে আর কেউ নেই। তাই নেতাদেরও দেখা নেই।
কোন কর্মসংস্থান না থাকায় গনগরের গ্রামবাসীরা এখন ঘানসালি, চামিয়াল, তেহরি এবং ঋষিকেশে চলে গেছে। মাঝে মাঝে পূজার জন্য গ্রামে আসে কেউ কেউ। এখন আবার নির্বাচনের সময়। তবে এখন এখানে আর কেউ নেই। তাই নেতাদেরও দেখা নেই।
advertisement
advertisement
advertisement